সংগৃহীত
Bangla Jago Desk: গঙ্গার পাড়ে অবস্থিত ইমামবাজার, যেখানে ধর্মের বিভেদ মুছে গিয়ে এককাপটে উদযাপিত হচ্ছে সর্বজনীন দুর্গাপুজো। দানবীর হাজি মহম্মদ মহসীনের নির্মিত এই স্থাপনাটি স্থানীয় মানুষের মধ্যে ধর্মীয় ভেদাভেদ ভুলে একত্রিত হওয়ার উদাহরণ সৃষ্টি করেছে।
[ আরও পড়ুন: Shimla: সঞ্জৌলি মসজিদের তিন তলা অপসারণের নির্দেশ দিল আদালত]
পালবাড়ি থেকে ঠাকুর আনা থেকে শুরু করে বিসর্জন—প্রতিটি ধাপে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে কাজ করছেন হিন্দু ও মুসলিম উভয় সম্প্রদায়ের মানুষ। স্থানীয় যুবক মহম্মদ রমজান বলেন, “আমরা একসঙ্গে পুজো করি, খুব আনন্দ হয়। আমি নিজে গাড়ি করে ঠাকুর নিয়ে আসি।” দুর্গাপুজোর পাশাপাশি মহরমেও হিন্দু সম্প্রদায়ের মানুষ তাজিয়া বের করার সময় অংশগ্রহণ করেন। রমজান উল্লেখ করেন, “আমাদের মহরমে হিন্দু ভাইরা থাকেন। আমরা পাশাপাশি থাকি, কোনও ভেদাভেদ নেই।”
পুজো কমিটির সদস্য সৌমিত্র সিংহ বলেন, “জায়গাটার নাম ইমামবাজার হলেও আমরা হিন্দু-মুসলিম মিলিতভাবে পুজো করি। রমজান বিনামূল্যে আমাদের জন্য গাড়ি দেন। আমাদের অঞ্চলে যুবকের সংখ্যা কম, কিন্তু মুসলিম ভাইয়েরা সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দেন।”
তিনি আরও বলেন, “ভোগ, প্রসাদ খাওয়া, বিসর্জন—সবই একসাথে করি আমরা, ইদ ও মহরমও একইভাবে পালন করি। এখানে দুই সম্প্রদায়ের বসবাস হলেও অপ্রীতিকর ঘটনা কখনও ঘটেনি।” মা আসার সময় দুই সম্প্রদায়ই একসঙ্গে প্রার্থনা করেন, “এভাবেই যেন আমরা মিলেমিশে উৎসব পালন করতে পারি, কারণ উৎসব সবার।”
[ আরও পড়ুন: মুম্বইয়ের মুখোপাধ্যায় পরিবারের পুজোয় ভিড় জমাতে শুরু করেন সাধারণ দর্শনার্থী থেকে তারকারা]
এভাবে, গঙ্গার পাড়ের এই সম্প্রীতির উদাহরণ দেশজুড়ে একটি ইতিবাচক বার্তা পাঠাচ্ছে, যেখানে ধর্মের পরিচয় মুছে গিয়ে মানবতা এবং ভালোবাসার বন্ধন গড়ে উঠছে।