Bangla Jago Desk: এমএসএমই-তে আবারও বাংলা সেরার শিরোপা পেল। কেন্দ্রীয় এমএসএমই-র তথ্য বলছে,বিজেপি শাসিত উত্তরপ্রদেশ,গুজরাটকে পিছনে ফেলে মহিলা মালিকাধীন সংস্থার সাফল্যের শীর্ষে উঠে এসেছে পশ্চিমবঙ্গ। এরাজ্যে ২৩.৪২ শতাংশ শিল্পই মেয়েদের মালিকাধীন। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় দেবীপক্ষের আগে একথা সোশ্যাল মিডিয়ায় তুলে ধরেন। মুখ্যমন্ত্রীর মতে,পশ্চিমবঙ্গের প্রগতিশীল ভাবনার জন্য নারী ক্ষমতায়ন যে হচ্ছে তা এই সাফল্যই প্রমাণ দিচ্ছে।
বিকল্প অর্থনীতিতে বাংলা দেশের কাছে মডেল।নারীর আর্থিক ক্ষমতায়ন থেকে স্বনির্ভরতার স্বকীয় ধারা তৈরিতে বাংলা সবার সেরা।মহিলা মালিকানায় পশ্চিমবঙ্গ জাতীয় স্তরে নজির গড়ল। তথ্য বলছে,জাতীয় অর্থনীতির ৩০শতাংশ আসে এমএসএমই থেকে,রফতানির ৪৫ শতাংশ আসে এই ক্ষুদ্রও মাঝারি শিল্প থেকে। কেন্দ্রীয় এমএসএমই দফতরের পরিসংখ্যান বলছে,এই রাজ্যই সেরা। উল্লেখ্য,ছোট-মাঝারি শিল্পে মহিলা উদ্যোগীরা বরাবর সাফল্য পেয়েছে।
বলা যায়,বাংলার শ্রমনিবিড় কর্মসংস্থানমুখী প্রকল্পের জন্য এই রাজ্যের জিডিপি যেমন বেড়েছে,তেমনই আবার গতবছর জিএসডিপি দাঁড়ায় ১৭.১৯লক্ষ কোটি টাকা। বিগত দিনে এমএসএমইতে আমাদের রাজ্য বিজেপি শাসিত রাজ্যগুলোকে পিছনে ফেলে সাফল্যের নজির গড়ে। এই অবস্থায় দেখা যায়,কোভিড পরবর্তী সময়ে এই রাজ্যের সাফল্যের রেকর্ড সব থেকে বেশি।আর বাঙালির শ্রেষ্ঠ উত্সবের আগে এই বাংলা নারীর ক্ষমতায়নে উজ্বল দৃষ্টান্ত গড়ল।পশ্চিমবঙ্গ দেশের মধ্যে শীর্ষ স্থানে চলে এল এমএসএমই-র মতো রোজগারমুখী প্রকল্পে।সোশ্যাল মিডিয়ায় পুজোর আগে এই সাফল্যের কথা মহালয়ার আগে তুলে ধরেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
তিনি লেখেন,দেবীপক্ষের আগে গর্বের সঙ্গে জানাই এমএসএমই-তে পশ্চিমবঙ্গ শীর্ষে। ভারত সরকারের এমএসএমই ২০২৩-২৪ অর্থবর্ষের রিপোর্টে স্পষ্ট, এরাজ্যের ২৩.৪২ শতাংশ শিল্পই মহিলাদের মালিকানাধীন। দেশের মধ্যে বড় নজির গড়েছে বাংলা। এইপরিসংখ্যান স্পষ্ট করে নারীর ক্ষমতায়নে পশ্চিমবঙ্গের প্রগতিশীল ধারণার বিষয়টি।
রাজ্যের অর্থনৈতিক উন্নয়নে মহিলারা যে নির্ণায়ক ভূমিকা পালন করছে তা কেন্দ্রীয় রিপোর্টে পরিষ্কার। বাংলা যেখানে অনেকটা এগিয়ে,সেখানে বেশ পিছনে রয়েছে বিজেপি শাসিত উত্তরপ্রদেশ।উত্তরপ্রদেশ রয়েছে তৃতীয় স্থানে।দেশের বড় রাজ্যে মহিলা পরিচালিত এমএসএমই-র হার ৬.৯৬ শতাংশ। গুজরাটে এমএসএমই-র হার ৬.৮৭ শতাশ,এই রাজ্য রয়েছে সপ্তম স্থানে। নারীর ক্ষমতায়নের মিশন পূরণ হওয়ায় আনন্দিত মুখ্যমন্ত্রী।আগামীদিনে এই সাফল্যের হাত ধরে এই রাজ্য যে বিশেষ ছাপ রাখবে তার আভাসও দিয়েছেন প্রশাসনিক প্রধান।