ad
ad

Breaking News

Lakshmi Puja

বছরভরই মালক্ষ্মীর আরাধনা করে বাঙালিরা, কোজাগরী লক্ষ্মীপুজোর কী বিশেষত্ব, কোজাগরী কথার কী অর্থ?

"এসো মা লক্ষ্মী বসো ঘরে আমার এ ঘরে থাকো আলো করে..." এই আহ্বান শুধু বাঙালির নয়, বাঙালি-অবাঙালি নির্বিশেষে আপামর ভারতবাসীর মনের আকুতি প্রাণের ডাক।

What is the specialty of Kojagari Lakshmi Puja, what is the meaning of Kojagari word

Bangla Jago Desk: মৌ বসু: “এসো মা লক্ষ্মী বসো ঘরে আমার এ ঘরে থাকো আলো করে…” এই আহ্বান শুধু বাঙালির নয়, বাঙালি-অবাঙালি নির্বিশেষে আপামর ভারতবাসীর মনের আকুতি প্রাণের ডাক। আমরা প্রত্যেকেই কায়মনোবাক্যে কামনা করি সুখ-সম্পদ-সৌভাগ্য-মঙ্গলের দাত্রী মা লক্ষ্মী যেন আমাদের দৈনন্দিন জীবনে, মনের ঘরে বসত করেন। সারা বছরই বাংলার ঘরে ঘরে সুখ, সম্পদ, সৌভাগ্য, মঙ্গলদাত্রী, শ্রী, সৌন্দর্য ও ঐশ্বর্যের প্রতীক দেবী লক্ষ্মীর আরাধনা চলে। বাঙালিরা ?শরৎকালে দেবী মহামায়া দুর্গার পুজোর পরেই পূর্ণিমায় বাংলার ঘরে ঘরে হয় কোজাগরী লক্ষ্মীপুজো। কোজাগরী শব্দের অর্থ কে জেগে আছো? কে তোমরা নিজেদের আরো সুন্দর, ঐশ্বর্যবান, চরিত্রবান, যশস্বী হতে সচেতন রয়েছো?, ঘরে ঘরে ঘুরে মালক্ষ্মী এদিন এই ডাকই দেন।

[আরও পড়ুনঃ আল্পনা আঁকা বাঁংলার নিজস্ব ঐতিহ্যবাহী লোকশিল্প, লক্ষ্মীপুজোর আল্পনায় থাকা প্রতীকের কী গুরুত্ব রয়েছে

মালক্ষ্মী গৌরবর্ণা, সর্বালঙ্কারভূষিতা, পদ্মফুলের ওপর আসীন। দ্বিভূজা দেবী একহাতে বর ও অন্যহাতে ঐশ্বর্য ও সৌন্দর্যের প্রতীক স্বর্ণকমল ধরে থাকেন। একপাশে অক্ষমালা, অন্যপাশে গাছকৌটো নিয়ে থাকেন। এছাড়া বাংলায় মালক্ষ্মীর হাতে থাকে ধানের শীষ। বাংলা ছাড়া লক্ষীকে কোথাও মাদুর্গার কন্যা বলে মানা হয় না। দেবী লক্ষ্মীর প্রণাম মন্ত্রে বলা হয়েছে – বিশ্বরূপস্য ভার্যাসি পদ্মে পদ্মালয়া শুভে সর্বতঃ পাহি মাং দেবী মহালক্ষ্মী নমোহস্তুতে। অর্থাৎ, পদ্মফুলের ওপর আসীন বিশ্বরূপে বা নারায়ণের ভার্যা বা স্ত্রী দেবী লক্ষ্মীই বিষ্ণুর সব শক্তির উৎস। শারদ পূর্ণিমায় কোজাগরী লক্ষ্মীপুজোকে শরৎকালের লক্ষ্মীপুজো নামেও ডাকা হয়।

এই পুজোয় রাত জাগার নিয়ম রয়েছে। ‘কঃ’ শব্দের অর্থ হল কে, আর ‘জাগর’ শব্দের অর্থ হল জেগে আছে। অর্থাৎ ‘কে জেগে আছে’? মনে করা হয়, লক্ষ্মীপুজোর দিন রাত পর্যন্ত জাগলে সেই বাড়িতে লক্ষ্মীদেবী প্রবেশ করেন।আর যে বাড়ির গৃহস্থ ঘুমিয়ে থাকেন, সেখান থেকে মুখ ফেরান দেবী। পৌরাণিক বিশ্বাস অনুযায়ী,শারদ পূর্ণিমায়, দেবী লক্ষ্মী তার পেঁচার উপর চড়ে পৃথিবীতে ভ্রমণ করেন আর নিজের ভক্তদের সমস্যা দূর করার জন্য বর দেন।এই তিথিকে অর্থ লাভের জন্যও শ্রেষ্ঠ বলে মনে করা হয়। আশ্বিন মাসের শুক্লপক্ষের পূর্ণিমাকে শারদ পূর্ণিমা অথবা শরৎ পূর্ণিমা বলা হয়।শারদ পূর্ণিমার রাতে চাঁদ পৃথিবীর সবচেয়ে কাছে থাকে।এই দিনে চাঁদ নিজের ষোলটি কলায় পূর্ণ থাকে।

[আরও পড়ুনঃ দ্রোহের কার্নিভালের জেরে হাসপাতালে বিনা চিকিৎসায় রোগী মৃত্যুর অভিযোগ