Bangla Jago Desk: কৌশিকী অমাবস্যা উপলক্ষে তারাপীঠ, কঙ্কালিতলায় বিশেষ পুজোপাঠের আয়োজন করা হয়। সোমবার ভক্তরা পুণ্যলাভের আশায় মাহেন্দ্রক্ষণে দেবীর কাছে পুজো দেন। যারজন্য বামা খ্যাপার সাধনভূমি তারাপীঠ আর সতীপীঠ কঙ্কালিতলায় বিপুল জনসমাগম হয়। ভক্তদের জন্য মন্দির কর্তৃপক্ষ ভোগ বিতরণেরও ব্যবস্থা করেন। দুই পুণ্যভূমি থেকে বাংলা জাগোর একটি বিশেষ প্রতিবেদন।
ভাদ্র মাসের অমবস্যা তিথিতে মহাপীঠ তারাপীঠের মতোই সতীপীঠ কঙ্কালিতলায় বিপুল ভক্ত সমাগম হয়। পুজোপাঠের মাধ্যমে দেবীর আর্শীবাদ নেওয়ার আলাদা আগ্রহ নজরে আসে। মহাড়ম্বরে এই বিশেষ দিনের অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। তারাপীঠ মন্দিরে রাত ১২ টায় বিশেষ পুজোর ব্যবস্থা করেছে মন্দির কর্তৃপক্ষ। রাতভর রীতিমেনে পুজোপাঠে অংশ নিতে এসেছেন দূর দূরান্তের ভক্তরা।কী এই কৌশিকী অমবস্যা? কেন এত ভক্তদের জোয়ার দেখা যায় ? পুরাণমতে, শম্ভু-নিশুম্ভ, দুই অসুর ভাইকে বধ করার জন্য দেবী দুর্গা দেহকোষ থেকে রূপ বদল করে নতুন রূপে আর্বিভূত হন।
দেবী কৌশিকী মহামায়ারই অন্যতম রূপ। দূর্গার এই বিশেষ রূপকেই কৌশিকী বলে মনে করা হয়। সেইমতো অযোনি সম্ভবা হিসেবে শক্তির আধার হিসেবে আরাধনা করা হয় ভাদ্রের এই বিশেষ তিথিতে। মহাপীঠ তারাপীঠে যাঁরা পুজো দেন,তাঁরা নানা প্রতিকূলতা সরিয়ে সুদিনের আশা করেন। দুর্ভোগ –যন্ত্রণা নিরসন করে দেবী তাঁদের আর্শীবাদ করেন বলেও বিশ্বাস ভক্তসমাজের। কৌশিকী অমাবস্যার মাহাত্ম্য, আমাদের সামনে ব্যাখা করেন সেবাইতরা।
কৌশিকী অমাবস্যার সন্ধ্যায় গঙ্গা আরতির মতোই তারাপীঠে দ্বারকা আরতির আয়োজন করা হয়েছে। সারা বছরেই এই আরতি হয়। তবে আজকের পুণ্যলগ্নে এই আরতির আকর্ষণ তৈরি করেছে।ভক্তসমাজের কাছে এই মহাপীঠ সত্যিই বড় প্রাণের জায়গা। কথিত আছে,কৌশিকী অমাবস্যায় বামা খ্যাপা সিদ্ধিলাভ করেন। তাঁর আর্শীবাদ পেতে ভক্তরা বামা খ্যাপার সাধনক্ষেত্রে যায়।
অন্যদিকে,বীরভূমের সতীপীঠ বলে পরিচিত কঙ্কালিতলায় ধুমাধামের সঙ্গে চলে পুজোপাঠ। মায়ের কাছে আরাধনা করতে ভক্তরা ছুটে আসেন,গ্রাম-গ্রামান্তর ছাড়িয়ে। আসেন বাংলার বাইরের বহু মানুষ।পুণ্যার্থীদের কাছে কঙ্কালিতলায় কৌশিকী অমাবস্যায় পুজো দেওয়া মানে পুণ্যের ঝুলি ভর্তি করা। তাই বিশ্বাসে ভর করেই নারী-পুরুষ নির্বিশেষে সমাজের সব অংশের মানুষ আসেন এই কঙ্কালিতলায়।কার্যতঃ মিলন অনুষ্ঠান হয়ে ওঠে এই বিশেষ পুজোপাঠ।