গ্রাফিক্স: নিজস্ব
Bangla Jago Desk: কাশী, বারাণসী বা বেনারস, যে নামেই ডাকা হোক না কেন তা বেশ জনপ্রিয় পর্যটক থেকে ধর্মপ্রাণ মানুষের কাছে। বেনারস হল এমন এক শহর যেখানে ইতিহাসও বর্তমান আবার আধুনিকতাও চলমান। ঐতিহ্য আর আধুনিকতা হাত ধরাধরি করে চলে বেনারসে। কাশী পরিচিত বিশ্বনাথ মন্দিরের জন্য।
এই কাশীতে মা অন্নপূর্ণা রূপে অধিষ্ঠান করছে দেবী দুর্গা। কাশীর রানি বলা হয় মা অন্নপূর্ণাকে। খাদ্য দিয়ে মা অন্নপূর্ণা কাশীবাসীর পেট ভরান বলে মনে করা হয়। বছরে একবার অন্নকূট উৎসবের সময় সোনার অন্নপূর্ণা প্রতিমা দর্শন করা যায়। সোনার দেবী অন্নপূর্ণার পাশে থাকেন শ্রীদেবী ও ভূদেবী। পাশে থাকেন দেবী লক্ষ্মী ও সরস্বতীও। ডানদিকে নৃত্যরত অবস্থায় রয়েছেন সোনার বাঘছাল পরা দেবাদিদেব মহাদেব। তাঁর একহাতে ত্রিশূল, অন্যহাতে ভিক্ষাপাত্র। অন্নকূট উৎসব সাড়ম্বরে পালিত হয়। বছরের বাকি সময় পেতলের দেবী মূর্তি দেখা যায়।
দশাশ্বমেধ রোডে বিশ্বনাথ গলির মুখে বাঁদিকে রয়েছে অন্নপূর্ণা মহাগৌরী মন্দির। লালপাথরের পাঁচিল দিয়ে ঘেরা মন্দির। প্রবেশপথ পেতলের। তারওপর দেবীযন্ত্র খোদাই করা হয়েছে। ভেতরে লালপাথরের ১২ থামবিশিষ্ট নাটমন্দির। থামে নানান কারুকাজ রয়েছে। নাটমন্দিরের পরেই রয়েছে গর্ভগৃহ। ছোট্ট গর্ভগৃহের ৩টি দরজা। ভেতরে উঁচু বেদীর ওপর আসীন মা অন্নপূর্ণা। মায়ের মুখ ভারী করুণাময়ী। তবে একটি সোনার মুখোশ দিয়ে মুখ আবৃত। আসল মূর্তি কালো কষ্টিপাথরের। মাথায় সোনার মুকুট।
দেবীর এক হাতে হাতা, অন্য হাতে ছোট্ট হাঁড়ি। চুল চুড়ো করে বাঁধা। দেবীর আসনের নীচে রয়েছে অষ্টধাতুর দেবীযন্ত্র। মন্দিরের ৪ কোণে রয়েছে ৪টি প্রাচীন বিগ্রহের মন্দির। প্রতিদিন ভোর ৪টে থেকে সকাল সাড়ে ১১টা পর্যন্ত আর সন্ধ্যা ৭টা থেকে রাত ১১টা পর্যন্ত মন্দির খোলা থাকে। ১৭২৯ খ্রিস্টাব্দে কাশীর অন্নপূর্ণা মন্দির নির্মাণ করেন মরাঠা পেশোয়া বাজি রাও। নাগারা নির্মাণ শৈলী অনুযায়ী মন্দির তৈরি করা হয়।