Bangla Jago Desk: ডিসেম্বর থেকে লক্ষ্মীর ভান্ডারের অনুদান পাবেন আরও ৫লক্ষ ৭হাজার মহিলা। যারজন্য রাজ্য সরকারের বাড়তি খরচ হবে। নারীশক্তিকে আশ্বস্ত করতে শুক্রবার বিধানসভায় এই তথ্য দেন শিল্প-বাণিজ্য মন্ত্রী শশী পাঁজা। আসলে আর্থিক ক্ষমতায়ণের কাজকে তরান্বিত করতে এই সিদ্ধান্ত বলে প্রশাসনের কর্তারা মনে করেন।
বাংলার অভিনব প্রকল্প, লক্ষ্মীর ভান্ডার এখন দেশের কাছে মডেল।বাংলাকে অনুকরণ করে মহারাষ্ট্র,মধ্যপ্রদেশের ত্রিপুরার মতো রাজ্য মহিলাদের নগদ অনুদান প্রদানের প্রকল্প এনেছে।সেইমতো রূপায়ণ করা হচ্ছে রাজ্যের বিশেষ প্রকল্প।ইতিমধ্যে মহিলাদের হাতে নগদ পৌঁছে দেওয়ার কাজ করে আর্থ-সামাজিক উন্নয়নকে তরান্বিত করেছে বাংলার সরকার। ২০২৩ সালে প্রতীচী ট্রাস্ট নামে এক গবেষণা সংস্থা লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের প্রভাব নিয়ে সারা বাংলা জুড়ে ১৫০০ জন মহিলার উপর সমীক্ষা চালায়।
সমীক্ষা থেকে উঠে আসে যে ৫৬.২১ শতাংশ মহিলা লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের জন্য আবেদন করেছিল তাঁদের পারিবারিক প্রয়োজনীয়তার জন্য। সুবিধপ্রাপকরা জানিয়েছেন,লক্ষ্মীর ভান্ডার মেলায় সংসারে আর্থিক সাশ্রয় যেরকম হচ্ছে , ঠিক সেরকমই পরিবারের প্রয়োজনীয় নানা কাজও সার্থকভাবে সাহায্য করছে্ লক্ষ্নীর ভান্ডার। ইতিবাচক দিক হল ৮৫.৫৫ শতাংশ মহিলা তাঁদের লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের টাকা কীভাবে খরচ করেন তা সম্পূর্ণ তাদের নিজেদের সিদ্ধান্তের উপরেই নির্ভর করে আর ১০.৭৬ শতাংশ মহিলা জানিয়েছেন তাঁরা এই খরচের সিদ্ধান্ত তাঁদের স্বামীর সঙ্গে যৌথভাবে গ্রহণ করেন।
৬১.০৭ শতাংশ মহিলা সরাসরি জানিয়েছেন এই প্রকল্পের ফলে পরিবারে তাঁদের মর্যাদা আগের তুলনায় বৃদ্ধি পেয়েছে। তাই নারীর মর্যাদা বাড়াতে, শুক্রবার বিধানসভায় এক প্রশ্নের উত্তরে একথা জানান সংশ্লিষ্ট দফতরে মন্ত্রী শশী পাঁজা।তাই নারীসমাজের সার্বিক বিকাশের স্বার্থে রোজগারমুখী প্রকল্প গ্রহণের মতোই এই নগদ নারায়ণের জোগান বৃদ্ধি সমাজকে শক্তিশালী করবে বলে আশা ।