চিত্রঃ নিজস্ব
Bangla Jago Desk: সৌগত রায়, হুগলি: কাশ্মীরের পহেলগাঁওয়ে ২২ এপ্রিল পর্যটকদের উপর বর্বর হামলার পালটা জবাব দিয়েছে ভারত ‘অপারেশন সিঁদুর’-এর মাধ্যমে। এরপর থেকেই ভারত-পাকিস্তানের মধ্যে উত্তেজনা চরমে পৌঁছায়। এই পরিস্থিতির মাঝেই নিখোঁজ হন রিষড়ার বাসিন্দা, বিএসএফ-এর ২৪ নম্বর ব্যাটেলিয়নের জওয়ান পূর্ণম কুমার সাউ। ২৩ এপ্রিল পাঞ্জাবের ফিরোজপুর সীমান্তে পাক রেঞ্জার্সের হাতে তিনি আটক হন।
তারপর কেটে গেছে কুড়ি দিন। পরিবারে উদ্বেগ চরমে। বারবার ফ্ল্যাগ মিটিং হলেও পাকিস্তানের তরফ থেকে পূর্ণমের মুক্তি নিয়ে কোনো ইতিবাচক বার্তা আসেনি। এক পাক রেঞ্জার্সকে ভারতীয় বিএসএফ রাজস্থানে বন্দি করায় কিছুটা আলো দেখা যায়, তবে সংঘর্ষ শুরু হতেই সেই আশায় জল পড়ে।
তবে সাম্প্রতি ভারত ও পাকিস্তান যৌথভাবে সংঘর্ষ বিরতির ঘোষণা করায় পূর্ণমের পরিবারে ফের আশার আলো জ্বলে উঠেছে। স্ত্রী রজনী সাউ বলেন, “প্রায় কুড়ি দিন ধরে পূর্ণম পাকিস্তানে বন্দি। এখনও ফিরেনি—কীভাবে চিন্তা না করি? তবে অস্ত্রবিরতির ঘোষণায় একটু স্বস্তি পাচ্ছি। যতক্ষণ না সে বাড়ি ফিরছে, মন শান্ত হবে না।” তিনি এই বিষয়ে মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করে সহযোগিতা চান।
এদিকে শ্রীরামপুরের সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় জানান, “আমি বিএসএফ ডিজির সঙ্গে কথা বলেছি। তিনি জানিয়েছেন, পূর্ণমের মুক্তির জন্য সর্বোচ্চ চেষ্টা চালানো হচ্ছে। আমি রাজনাথ সিং ও প্রধানমন্ত্রীর অফিসের সঙ্গেও যোগাযোগ করেছি। প্রত্যাশা করছি, খুব শিগগিরই পূর্ণম আমাদের কাছে ফিরে আসবে।”
পূর্ণমের মুক্তি এখন দুই দেশের কূটনৈতিক সদিচ্ছা ও মানবিক উদ্যোগের ওপর নির্ভর করছে। অস্ত্রবিরতির আবহে ফের বাড়ি ফেরা এক সৈনিকের অপেক্ষায় প্রহর গুনছে তাঁর পরিবার ও সমগ্র হুগলি।