ad
ad

Breaking News

Hoogly

ঝালমুড়ি বিক্রি করে উচ্চ মাধ্যমিকে নজর কারা সাফল্য! প্রতি বিষয়ে লেটার মার্কস

বাবা অশোক রায়, লকডাউনের কাজ হারিয়ে ঠেলা গাড়িতে ঘুরে ঘুরে রাস্তায় ঝালমুড়ি বিক্রি করেন।

Who is successful in higher secondary school by selling jhalmuri? Letter marks in every subject

চিত্র: নিজস্ব

Truth Of Bengal: রাকেশ চক্রবর্তী, হুগলি: বাবার সঙ্গে ঝালমুড়ি বিক্রি করে উচ্চ মাধ্যমিকে নজর কারা সাফল্য হুগলির শ্রীরামপুরের কৃতি ছাত্রের। প্রতি কাটা বিষয়ে এসেছে তার লেটার মার্কস। আগামী দিনে শিক্ষক হওয়ার স্বপ্ন নিয়ে ভবিষ্যতের পড়াশোনায় করতে চায় শ্রীরামপুরের এই মেধাবী ছাত্র সৌভিক রায়। উচ্চ মাধ্যমিকের সৌভিকের মোট প্রাপ্ত নম্বর ৪৬৫। ইতিহাস অনার্স নিয়ে তার পরে শিক্ষকতা করার স্বপ্ন দেখছে শ্রীরামপুরের এই মেধাবী ছাত্র।  

বাবা অশোক রায়, লকডাউনের কাজ হারিয়ে ঠেলা গাড়িতে ঘুরে ঘুরে রাস্তায় ঝালমুড়ি বিক্রি করেন। মা উমারানি রায় আয়ার কাজ করেন। পরিবারে অভাব অনটন নিত্য সঙ্গী। কিন্তু তারমধ্যেই দারিদ্রতা কে হেলায় হারিয়ে সব বিষয়ে লেটার মার্কস নিয়ে  ৪৬৫ নম্বর পেয়ে আশা জাগিয়েছে শৌভিক রায়। শ্রীরামপুর রাজ্যধরপুর গর্ভমেন্ট কলোনীতে এক চিলতে বাড়িতে বাবা মা ও ভাইকে নিয়ে ছোট পরিবার। শ্রীরামপুর রাজ্যধরপুর নেতাজী হাই স্কুলের কৃতী ছাত্র সৌভিক উচ্চ মাধ্যমিক টেষ্ট পরীক্ষায় বিদ্যালয়ের মধ্যে প্রথম স্থান অর্জন করে। তখন থেকেই পরিবার ও পাড়া পড়শিদের মধ্যে ছাত্র কে নিয়ে প্রত্যাশা তৈরী হয়।

সৌভিক জানিয়েছে, “পরিবারে আর্থিক দৈন্যতা আছে। কিন্তু দুই জন গৃহশিক্ষক আমাকে ইংরেজি ও রাষ্ট্রবিঞ্জান পড়িয়েছেন। এ ছাড়া স্কুলের শিক্ষক শিক্ষিকারা আমাকে পড়াশুনার জন্য সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিয়েছেন। স্কুলে নিয়মিত পড়িয়েছেন বলেই আমি সফল হয়েছি। তবে আগামী দিনে শিক্ষকতা করার ইচ্ছে রয়েছে। কিন্তু বাবা ও মা চেষ্টা করছেন। তাই ভবিষ্যতের পড়াশুনার খরচ কতটা বহন করতে পারব সেই নিয়ে দুশ্চিন্তায় রয়েছে। তবে পড়াশুনার সঙ্গে সঙ্গে চাকরির প্রতিযোগিতা মূলক পরীক্ষা গুলির জন্য নিজেকে এখন থেকেই প্রস্তুত করব। কেননা যে অবস্থার মধ্যে আমরা পরিবার নিয়ে বসবাস করছি সেখানে আমিই বাবা মা পরিবারের মূল ভরসা। তবে পড়াশুনার ফাঁকে বাবা যে ঝালমুড়ি বিক্রি করে তাতে আমি আমার সাধ্য মতো সাহা্য্য করি। বড়বাজার থেকে মাল আনা ও ঠেলা গাড়ি আমি গুছিয়ে দেওয়া সবই বাবার হাতে হাতে আমি করতাম। তাই ভবিষ্যতে শিক্ষকতা করে পরিবারের কষ্ট কিছুটা হলেও লাঘব করতে চাই।”