নিজস্ব ছবি
Bangla Jago Desk,নদিয়া,মাধব দেবনাথ: রাজ্যে গণপিটুনিতে মৃত্যু হয়েছে মোট পাঁচজনের। সম্প্রতি কালে বারাসাতে একের পর এক বিভিন্ন ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে সন্দেহভাজন ব্যক্তিকে ধরে বেদম প্রহার । তুষের আগুনের মতন ছরিয়ে পড়ছে এই ব্যাধি। লিলুয়া থেকে তমলুক ঝাড়গ্রাম থেকে সল্টলেক শিয়ালদহ কখনো মোবাইল চোর সন্দেহে কখনো বা ছেলে ধরা আইনের উপর ভরসা না রেখেই জনগণ আইন হাতে তুলে নিচ্ছেন নিজেদের হাতে। এই আগুন ছড়িয়ে পড়েছে নদীয়াতেও।
[ আরও পড়ুন: Nadia: ‘নতুন ভারতীয় নাগরিক সুরক্ষা সংহিতা ২০২৩’ চালুর প্রতিবাদে রানাঘাট আদালতে আইনজীবিদের বিক্ষোভ]
শুধুমাত্র সোশ্যাল মিডিয়ায় এক শিশু অপহরণকারীর ভাইরাল ছবি দেখেই নদিয়ার চাকদহে এক গৃহবধূ কে হেনস্থা এবং মারধোর। নবদ্বীপে ষাটঊর্ধ্ব এক বয়স্ক মানুষকে ইলেকট্রিক পোস্টে বেঁধে পাওনা টাকা আদায়ের চেষ্টা, একের পর এক অমানবিক ঘটনা ক্রমশ বেড়েই চলেছে।
প্রশ্ন উঠেছে প্রশাসনের ভূমিকা নিয়ে। যদিও বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই শেষমেষ সন্দেহ ভাজন ব্যক্তি কে জনতার রোষ থেকে রক্ষা করে পুলিশ। তবে এবার সেই বিষয়েই সচেতনতা বাড়াতে এবং আইন হাতে তুলে নেওয়ার বিরুদ্ধেও যে আইন আছে তা জানাতে প্রচারে নেমেছে রাজ্য পুলিশ। বুধবার রানাঘাট পুলিশ জেলার নির্দেশে কল্যাণী থানার পক্ষ থেকে এইরকমই এক ভ্রাম্যমান প্রচারকারী বের করা হয় জনসাধারণকে সচেতন করার লক্ষ্যে। শহরের বিভিন্ন ওয়ার্ড সারাদিন ধরে এই প্রচার করে। সূত্রের খবর অনুযায়ী জানা গেছে বিভিন্ন থানার তত্ত্বাবধানে এ ধরনের প্রচার অভিযান চালানো হবে বেশ কিছুদিন।