ছবিঃ সংগৃহীত
Bangla jago Desk: টানা বৃষ্টিতে রুখা-সুখা বাঁকুড়ার ইন্দাস-পাত্রসায়েরের মানুষ জলবন্দি। এতদিন যাঁরা বৃষ্টির প্রার্থনা করছিলেন,এখন তাঁরা চাইছেন শ্রাবণের ধারাপাত বন্ধ হোক। কারণ ব্যাপক বৃষ্টিতে সব্জি চাষ মার খাচ্ছে। ঘরে জল ঢুকে যাওয়ায় কোথায় থাকবেন,ভেবেই পাচ্ছেন না। অগাস্টের জলযন্ত্রণা থেকে রেহাই পাওয়ার জন্য বাঁকুড়ার বাসিন্দারা প্রকৃতির মুখাপেক্ষী হয়ে রয়েছেন।
একেই বলে প্রকৃতির খেলা।কয়েকদিন আগে যেখানে দুফোটা বৃষ্টির জন্য বাঁকুড়ার মানুষ চাতকের মতো আকাশের দিকে চেয়েছিলেন,সেখানে এখন বেপরায়ো বৃষ্টি মাথা ব্যথার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে।মূলতঃ পাত্রসায়েরও ইন্দাসে জল যন্ত্রণা বেড়ে গেছে। এপর্যন্ত বাঁকুড়া জেলায় বৃষ্টি হয়েছে ৭০মিলিমিটারের কাছে। ঘূর্ণাবর্তের জেরে শনিবার পর্যন্ত বৃষ্টি চলবে। আপাতত বৃষ্টি কমার কোনও লক্ষ্ণণ নেই। একটানা বৃষ্টিতে মুখে হাসি ফুটেছে বাঁকুড়া জেলার পশ্চিম ও দক্ষিণের রুক্ষ্ম অংশের আমন চাষিদের।
তবে, ক্ষতির আশঙ্কা করছেন সোনামুখী ব্লকের বিস্তীর্ণ এলাকার সবজি চাষিরা। কারণ, নিচু এলাকায় থাকা সবজির জমিতে জল জমেছে।সোনামুখী ব্লকের রাধামোহনপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের নিত্যানন্দপুর , রাধামোহনপুর সহ বিভিন্ন এলাকায় বৃষ্টির জলে নাকাল সাধারণ মানুষরা । এলাকায় এই মুহূর্তে মাঠের বিঘার পর বিঘা ধান ও সবজি জলের তলায় চলে গিয়েছে,যার ফলে মাথায় হাত কৃষকদের। এভাবে ক্ষতির সম্মুখীন হতে হবে তা কৃষকরা ভাবেন নি। আগামী দিনে সংসার কিভাবে চলবে তাই ভেবে রাতের ঘুম ছুটেছে তাঁদের ।
অন্যদিকে রাস্তার ওপর দিয়ে বিপদসীমার ওপর বইছে বৃষ্টির জল। একপ্রকার জীবনের ঝুঁকি নিয়ে রাস্তায় যাতায়াত করতে হচ্ছে সাধারণ মানুষের। বৃষ্টির পরিমাণ যদি আরো বাড়তে থাকে তাহলে আরও ভয়ানক পরিস্থিতি তৈরি হবে। পটল , ঝিঙে , করোলা , শসা সহ বিভিন্ন সবজির ব্যাপক ক্ষতি হবে বলেই মনে করছেন কৃষকরা। অনেক চাষী রয়েছেন মহাজনের কাছে ঋণ নিয়ে তারা চাষ করেছেন। বৃষ্টির কারণে যেভাবে তাদের ক্ষতির মুখে পড়তে হচ্ছে আগামী দিনে মহাজনের সেই ঋণ কিভাবে শোধ করবেন তাই ভেবে রাতের ঘুম ফুটেছে কৃষকদের।
অন্যদিকে ইন্দাস ব্লকের মঙ্গলপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের গয়লা পুকুর গ্রামে সহ বেশ কয়েকটি গ্রামে গৃহস্থের বাড়ির ভেতর এক হাঁটু জল। জলে ডুবেছে রান্না শালা। বাড়িতে রান্না বন্ধ না খেয়েই দিন কাটাতে হচ্ছে সাধারণ মানুষকে। বৃষ্টির জলের ফলে ঘরের ভেতরে ঢুকে যাচ্ছে সব সহ বিভিন্ন বিষাক্ত পোকামাকর। সরকারি সাহায্যের আবেদন জানাচ্ছে এলাকার মানুষ।পাশাপাশি দুটি জায়গাতেই স্থানীয় প্রশাসন অত্যন্ত সতর্ক রয়েছে । সাধারণ মানুষদের যাতে কোনরকম কোন সমস্যার সম্মুখীন না হতে না হয় সে বিষয়ে করা নজর রেখেছেন স্থানীয় প্রশাসন। তাই ব্লক প্রশাসন এই জলবেষ্টিত এলাকার মানুষকে নিরাপদ জায়গা