সংগৃহীত
Bangla Jago Desk: শারদোৎসব আসন্ন। এর আগে, সোমবার নবান্নের মন্ত্রিসভার বৈঠকে দুইটি বিদ্যুৎ প্রকল্পের অনুমোদন দেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বৈঠক শেষে, বিদ্যুৎমন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস সংবাদমাধ্যমকে অনুমোদনের বিষয়টি জানান। তিনি বলেন, প্রতিটি কেন্দ্রে ৮০০ মেগাওয়াট করে মোট ১৬০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন হবে। এই দুইটি প্লান্ট পিপিপি মডেলে তৈরি হবে এবং গ্লোবাল টেন্ডারের মাধ্যমে কাজ শুরু হবে। নির্মাণের দায়িত্ব পাওয়া সংস্থাই বিদ্যুৎকেন্দ্রের অবস্থান নির্ধারণ করবে।
[ আরও পড়ুন: Do Patti: শীঘ্রই আসছে কৃতী-কাজলের ‘দো পাত্তি’, জেনে নিন কবে মুক্তি পাচ্ছে?]
অরূপ বিশ্বাস আরও জানান, চারটি নতুন বিদ্যুৎকেন্দ্র তৈরির জন্য মন্ত্রিসভা সবুজ সংকেত দিয়েছে এবং রাজ্য সরকার প্রয়োজনীয় কাগজপত্র তৈরির কাজে উদ্যোগী হয়েছে।
মুর্শিদাবাদ জেলার সাগরদিঘিতে ‘সুপার ক্রিটিকাল পাওয়ার প্লান্ট’ নামে একটি অত্যাধুনিক বিদ্যুৎকেন্দ্র চালুর ঘোষণা করেছেন তিনি, যার উৎপাদন ক্ষমতা ৬৬০ মেগাওয়াট। এই কেন্দ্রটি আগামী মার্চের মধ্যে উদ্বোধন হতে পারে এবং এর কাজ ৯৫ শতাংশ সম্পন্ন হয়েছে। এটি পূর্ব ভারতের প্রথম উচ্চক্ষমতা সম্পন্ন অত্যাধুনিক বিদ্যুৎকেন্দ্র। নতুন প্রযুক্তির ব্যবহারে এই কেন্দ্র কম কয়লা খরচ করে বেশি বিদ্যুৎ উৎপাদন করবে। রাজ্যের নিজস্ব ছয়টি বিদ্যুৎকেন্দ্র হল সাগরদিঘি, বক্রেশ্বর, কোলাঘাট, ব্যান্ডেল এবং দুর্গাপুর।
সোমবার অরূপ জানিয়েছেন, পশ্চিম বর্ধমান জেলার জামুরিয়ায় ৩২ এবং ৪০.১৭ একর সরকারি খাস জমি একটি শিল্প গোষ্ঠীকে বরাদ্দ করা হয়েছে। সেখানে তারা একটি স্টিল ও পাওয়ার প্লান্ট নির্মাণ করবে। অন্যদিকে, মঙ্গলবার থেকে মমতা পুজোর উদ্বোধন শুরু করবেন। দমকল মন্ত্রী সুজিত বসুর পুজো নামে পরিচিত শ্রীভূমি স্পোর্টিং ক্লাবের পুজো দিয়ে উৎসবের সূচনা করবেন তিনি।
[ আরও পড়ুন: ‘মন্দির হোক বা দরগাহ কেউ বাধা সৃষ্টি করতে পারবে না’, বুলডোজার পদক্ষেপ নিয়ে মন্তব্য সুপ্রিম কোর্টের]
বন্যাবিধ্বস্ত এলাকার প্রতি তাঁর নজর থাকার কথা মন্ত্রিসভার বৈঠকে বারবার উল্লেখ করেছেন মুখ্যমন্ত্রী। তাই তিনি শারদোৎসবে মন্ত্রীদের বন্যা বিধ্বস্ত মানুষের পাশে থাকার নির্দেশ দিয়েছেন। রাজ্যের একাধিক জেলায় পুজোর আগে বন্যা হয়েছে। রবিবার উত্তরবঙ্গের বন্যা পরিস্থিতি পর্যালোচনা করতে গিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। ফিরে এসে মন্ত্রিসভার বৈঠকে উত্তর ও দক্ষিণবঙ্গের বিস্তীর্ণ এলাকার মানুষের দুর্ভোগের কথা তুলে ধরেছেন। পুজোয় বন্যাবিধ্বস্ত মানুষের কাছে ত্রাণ সাহায্য পৌঁছে দিতে প্রশাসনকে তৎপর থাকার নির্দেশ দিয়েছেন তিনি। মন্ত্রিসভায় মন্ত্রীদের উৎসবের চেয়ে বন্যাবিধ্বস্ত মানুষের পাশে থাকার কথা বলেছেন মমতা।