গ্রাফিক্স: নিজস্ব
Bangla Jago Desk: বিজেপি শাসিত ত্রিপুরায় পৌঁছাতেই পুলিশি বাধার মুখোমুখি হয় বাংলার শাসকদল তৃণমূল কংগ্রেসের প্রতিনিধি দল। এমনিতেই ঘাসফুল শিবিরের পার্টি অফিস ভাঙচুর ঘিরে পরিস্থিতি উত্তপ্ত ছিল ডবল ইঞ্জিন সরকার শাসিত এই রাজ্যের। তার ওপর দলের প্রতিনিধিদের বাধার মুখে পড়া, পরিস্থিতি আরও চাঞ্চল্যকর করে দেয়। জাতীয় রাজনীতিতে শোরগোল পড়েছে এই ঘটনাকে ঘিরে (Tripura Clash)।
ঘটনা প্রসঙ্গে জানা যায়, সেই রাজ্যে পৌঁছানো মাত্রই রোখা হয় তৃণমূল কংগ্রেসের প্রতিনিধিদের। এমনকি তাঁরা পুলিশের সঙ্গে তর্কাতর্কিতেও জড়িয়ে পড়েন। তাঁদের আরও অভিযোগ, বুক করতে দেওয়া হচ্ছে না অটো বা প্রিপেড ট্যাক্সিও। তাঁদের বিমানবন্দর চত্বর ছাড়তে আটকানো হচ্ছে আইনশৃঙ্খলার অবনতির অজুহাতে। শেষ পর্যন্ত ঘটনার প্রতিবাদ জানাতে ধর্নায় বসে পড়লেন কুনাল ঘোষ, সায়নী ঘোষ সহ প্রতিনিধি দলের অন্যান্য সদস্যরা। (Tripura Clash)
লিঙ্কঃ https://www.facebook.com/Banglajagotvofficial
এই ব্যাপারে কুনাল ঘোষ বলেন, “ইচ্ছা করে আটকানো হয়েছে প্রতিনিধি দলকে। সকলেই দেখেছে এখানে যে পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। এই ঘটনা প্রমাণ করছে যে কীভাবে চেষ্টা করা হচ্ছে এখানকার পরিস্থিতি থেকে নজর ঘোরানোর।” প্রসঙ্গত, এদিন ত্রিপুরা যাওয়ার আগে বিমানবন্দরে দাঁড়িয়ে বিস্ফোরক মন্তব্য করেন কুনাল। তিনি বলেন, “ডেড বডি হয়ে আমরা ফিরতে পারি। হুমকি দেওয়া হচ্ছে। সন্ত্রাসের রাজ্য করে ফেলেছে ত্রিপুরাকে। দাঁড়িয়েছিল পুলিশ।” (Tripura Clash)
প্রসঙ্গত, ঘটনার সূত্রপাত জনরোষের কারণে নাগরাকাটায় বিজেপি সাংসদ খগেন মুর্মুর আক্রান্ত হওয়া থেকে। গুরুতর জখম হয়েছিলেন তিনি। আঘাত পেয়েছিলেন শঙ্কর ঘোষও। অভিযোগের আঙুল ওঠে তৃণমূল কংগ্রেসের দিকে। তবে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ে স্পষ্ট করে দেন যে এমন ঘটনা তিনি সমর্থন করেন না এবং সকলকে রাজনীতি ভুলে এক হয়ে পরিস্থিতি মোকাবিলা করার বার্তা দেন। শুধু তাই নয়, তিনি হাসপাতালে গিয়ে দেখা করেন খগেন মুর্মুর সঙ্গেও। তবে পরিস্থিতি উগ্র হয়ে ওঠে বিজেপি শাসিত ত্রিপুরায়। প্রতিবাদ জানাতে হামলা চালানো হয় তৃণমূল কংগ্রেসের সদর দফতরে। তা খতিয়ে দেখতেই সেখানে গেছেন ঘাসফুল শিবিরের প্রতিনিধিরা। (Tripura Clash)