চিত্র: সংগৃহীত
Bangla Jago Desk: ২০২৪ সালের লোকসভা নির্বাচনে তৃণমূল কংগ্রেসের জয়গাথা বাংলার রাজনীতিতে এক নতুন অধ্যায়ের সূচনা করেছিল। এরপর বিভিন্ন ইস্যুতে বিরোধীরা শাসকদলকে চাপে ফেলার চেষ্টা চালিয়েছিল। কিন্তু বাংলার মানুষের রায় আবারও স্পষ্ট করে দিল তৃণমূল কংগ্রেসই তাঁদের প্রথম পছন্দ। এই সত্যটি ছয়টি বিধানসভা কেন্দ্রের উপনির্বাচনের ফলাফল থেকে আরও একবার প্রমাণিত হলো।
নৈহাটি, হাড়োয়া, তালড্যাংরা, মেদিনীপুর, সিতাই এবং মাদারিহাট সবকটি কেন্দ্রে তৃণমূলের বিপুল জয় বিরোধী শিবিরকে কার্যত ছিটকে দিয়েছে। বিশেষ নজর ছিল মাদারিহাট কেন্দ্রের দিকে, কারণ এই আসনটি বিজেপির শক্ত ঘাঁটি হিসাবে পরিচিত ছিল। ২০২১ সালের বিধানসভা নির্বাচনে এখানে জয়ী হয়েছিলেন বিজেপির মনোজ টিগ্গা। তবে এবার, প্রথমবারের মতো মাদারিহাটে তৃণমূলের পতাকা উড়লেন জয়প্রকাশ টোপ্পো।
নৈহাটি কেন্দ্রে তৃণমূল প্রার্থী সনৎ দে ৪৯,১৯৩ ভোটে জয় লাভ করেন। সিতাইতে স্বামী জগদীশচন্দ্র বর্মা বাসুনিয়ার উত্তরাধিকারী হিসাবে তৃণমূল প্রার্থী সঙ্গীতা রায় ১ লক্ষ ৩০ হাজার ১৫৬ ভোটে জয়ী হয়েছেন। হাড়োয়া কেন্দ্রে হাজি নুরুল ইসলামের স্বপ্নপূরণের অঙ্গীকার নিয়ে প্রার্থী হয়েছিলেন তাঁর পুত্র শেখ রবিউল ইসলাম। তিনি ১ লক্ষ ৩১ হাজার ৩৮৮ ভোটে জয় লাভ করেন। বাঁকুড়ার তালড্যাংরায় ৩৩,৮৫৬ ভোটে ফাল্গুনি সিংহবাবু জয়লাভ করেন। মেদিনীপুর কেন্দ্র থেকে সুজয় হাজরা ৩৩,১৯০ ভোটে জয়ী হন। বিজেপির শক্ত ঘাঁটি বলে পরিচিত আলিপুরদুয়ারের মাদারিহাট কেন্দ্রেও পরাজয়ের মুখ দেখল গেরুয়া শিবির। এই কেন্দ্র থেকে ৩০ হাজার ৩০৯ ভোটে জয়ী হয়েছেন তৃণমূল প্রার্থী জয়প্রকাশ টোপ্পো।
২০২১ সালের বিধানসভা নির্বাচনে এই ছয়টি কেন্দ্র থেকে যাঁরা বিধায়ক হিসেবে জয়ী হয়েছিলেন, তাঁরা ২০২৪ সালের লোকসভা নির্বাচনে অংশ নিয়ে সাংসদ হন। ফলে বিধায়ক শূন্য হয়ে পড়েছিল এই কেন্দ্রগুলি। এবারের উপনির্বাচনে তৃণমূলের ছক্কা হাঁকানো বিরোধী শিবিরের জন্য একটি বড় ধাক্কা। রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, তৃণমূলের এই অভূতপূর্ব জয়ের মূল কারণ শাসকদলের প্রতি মানুষের আস্থা এবং সংগঠনের দৃঢ়তা।