চিত্র: সংগৃহীত
Bangla Jago Desk: ওয়াকফ বিল সংশোধনের মাধ্যমে আসলে দেশের ধর্মনিরপেক্ষতার স্পিরিট ধ্বংস করার চেষ্টা করছে মোদির সরকার। রানি রাসমনি রোডে সংখ্যালঘু সেলের সমাবেশে এই অভিযোগ করলেন সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়। মেয়র ফিরহাদ হাকিম আবার ক্ষমতায় টিকে থাকতে ধর্মের বিভাজন তৈরির চেষ্টা চলছে। বাংলাদেশের সংখ্যালঘু নির্যাতনের কথা তুলে ধরে একসঙ্গে চলার পক্ষে সওয়ালও করেন তিনি।
সংখ্যালঘু মুসলিম সম্প্রদায়ের সম্পত্তির তত্বাবধান করার জন্য রয়েছে ওয়াকফ বোর্ড।পুরনো সেই ওয়াকফ বোর্ডের সংস্কারের জন্যও সম্পত্তির বিদ্ধিবদ্ধকরণের জন্য করা হতে পারে সংস্কার। আসলে ওয়াকফ সম্পত্তি আসলে দেবত্বর সম্পত্তি, কিভাবে ব্যবহার করা হবে তার সিদ্ধান্ত সংশ্লিষ্ট কমিটি গ্রহণ করে থাকে। সেই সম্পত্তির ব্যবহার নিয়ে তা নিয়ে কমিটি সিদ্ধান্ত নেয়। সেখানে রাজ্য সরকারের যেমন প্রতিনিধিত্ব থাকে তেমনি কেন্দ্রের প্রতিনিধিত্ব থাকে।
এই সিস্টেমকে ব্রেক করে কেন্দ্রীয় সরকার ধর্মীয় মেরুকরণ করার চেষ্টা করছে,যা অন্যায় কাজ।একথা এবার দেশজুড়ে ছড়িয়ে দিতে সচেষ্ট হল সর্বভারতীয় তৃণমূল কংগ্রেস।জনমত গড়ার জন্য, শুরু হল সভা-সমাবেশ। রাণী রাসমণি রোডে তৃণমূলের সংখ্যালঘু সেলের আয়োজিত সভায় সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় অভিযোগ করেন, ওয়াকফ বিল সংশোধনের নামে দেশের ধর্ম নিরপেক্ষতার ঐক্য ধ্বংস করে দেওয়ার চেষ্টা করছে মোদী সরকার।
প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে নিশানা করে কল্যাণের অভিযোগ, “বাবরি মসজিদ ধ্বংস করার পর রামমন্দির তৈরি করেছেন। একইভাবে ওদের বাকি সম্পত্তি হাতিয়ে মুসলিম সম্প্রদায়ের সঙ্গে দাঙ্গা বাঁধাতে চাইছেন? তাঁর সাফ কথা, তৃণমূল কংগ্রেস ধর্মের লড়াই হতে দেবে না, দরকার হলে আরও রক্ত দেওয়া হবে, কিন্তু হিন্দু-মুসলিম ঐক্যের ধ্বংস হতে দেব না।” একই সুরে ফিরহাদ হাকিম বলেন, “ক্ষমতায় টিকে থাকতে ধর্মের বিভাজন তৈরির চেষ্টা হচ্ছে। কে কী খাবে, কী পরবে তা কি বিজেপি ঠিক করে দেবে? উত্তরপ্রদেশে সেটাই হচ্ছে, পিটিয়ে মেরে ফেলা হচ্ছে।হিংসাত্মক বাংলাদেশের কথা তুলে ধরে ঐক্যের সুর বাঁধার চেষ্টা করেন ফিরহাদ।
তৃণমূলের অভিযোগ, বিজেপি সরকার আদতে এই বিল এনে সংখ্যালঘুদের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করার চেষ্টা করছে। বিল লাগু করে তাঁরা ধর্মীয় মেরুকরণ করতে চাইছে। এর প্রতিবাদেই তাঁরা আন্দোলন জারি রাখতে চান তৃণমূল নেতৃত্ব।