ad
ad

Breaking News

TMC

২৬ ভোটকে সামনে রেখে বিভিন্ন এলাকায় জনসংযোগে তৃণমূলের জেলা সভাপতি

খনো বাকি রয়েছে এক বছরেরও বেশি সময়। ২০২৬ সালে বিধানসভা নির্বাচন।

Trinamool district president in public relations in various areas ahead of 26 votes

চিত্র: নিজস্ব

Bangla Jago Desk: এখনো বাকি রয়েছে এক বছরেরও বেশি সময়। ২০২৬ সালে বিধানসভা নির্বাচন। এক বছরেরও বেশি সময় বাকি থাকতে তাই জনসংযোগ কর্মসূচিতে আরো একবার তৃণমূল নেতৃত্ব। গত লোকসভা নির্বাচনে কোচবিহারের লোকসভা আসনটি বিজেপির হাত থেকে ছিনিয়ে নেয় তৃণমূল কংগ্রেস। জয়ী হন জগদীশচন্দ্র বর্মা বসুনিয়া। শতকরা হিসেবে যদিও শতকরার পরিমাণ ছিল ২% অর্থাৎ তৃণমূল কংগ্রেস ভোটের দু শতাংশ বেশি পেয়েছিল বিজেপির চাইতে।

এরমত অবস্থায় আগামী বিধানসভা নির্বাচনকে আরো একবার পাখির চোখ করেছে তৃণমূলের নেতৃত্ব। গত বিধানসভা নির্বাচনে কোচবিহারের নটি বিধানসভার মধ্যে ৭ টি আসলে জয়লাভ করে বিজেপি দুটি আসনে তৃণমূল কংগ্রেস যদিও পরবর্তীতে একটি আসন থেকে বিজেপির পদত্যাগ করলে সেই আসনে উপনির্বাচনে জয়ী হয় তৃণমূল অর্থাৎ জেলার নটি বিধানসভার ছটিতে বিজেপি এবং তিনটিতে তৃণমূল কংগ্রেস এই মুহূর্তে রয়েছে। এমতাবস্থায় আগামী বিধানসভা নির্বাচনকে তাই একপ্রকার চ্যালেঞ্জ হিসেবে গ্রহণ করেছে তৃণমূল নেতৃত্ব।

বুধবার কোচবিহার ১ নং ব্লকের পাটছাড়া অঞ্চলে স্থানীয় নেতৃত্বকে সাথে নিয়ে কোচবিহার জেলা তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি অভিজিৎ দে ভৌমিক জনসংযোগ কর্মসূচি করলেন। খাতায়-কলমে জনসংযোগ কর্মসূচি হলেও মূলত ওই এলাকায় মানুষের কি কি ক্ষোভ বিক্ষোভ রয়েছে সেই বিষয়গুলি নজর দিতেই প্রত্যেকটি বুথে বুথে পৌঁছে যান তিনি। উল্লেখ্য এই অঞ্চলে কিছুটা হলেও বিরোধীদের ভোট ব্যাংক শক্ত।

বুধবার সকাল থেকেই এলাকার বিভিন্ন বুথে সাধারণ মানুষের সাথে কথা বলেন এবং সমস্যা ও উন্নয়নের কাজকর্ম খতিয়ে দেখেন। এই প্রসঙ্গে অভিজিৎ দে ভৌমিক বলেন – এই এলাকায় মানুষের বেশ কিছু ক্ষোভব বিক্ষোভ রয়েছে আমি সেই সমস্ত ক্ষোব বিক্ষোভ গুলো শুনে কিভাবে তা সমাধান করা যায় সে বিষয়েই কথা বলতে এসেছি। পাশাপাশি তিনি বলেন রাজ্য সরকারের বিভিন্ন উন্নয়নমূলক কর্মসূচি প্রকল্প রয়েছে সেই প্রকল্পগুলি সঠিকভাবে হচ্ছে কিনা এবং এলাকায় আর নতুন করে কি উন্নয়ন করা যায় সে বিষয়েও মানুষের সাথে এবং স্থানীয় নেতৃত্বদের সাথে আলোচনা করছি। আগামী বিধানসভা নির্বাচন প্রসঙ্গে তিনি বলেন একজন রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব সবসময়ই চায় নির্বাচনে জয়লাভ করতে এটা সহজাত ব্যাপার তবে শুধু নির্বাচন নয় মানুষের উন্নয়ন যাতে তরান্বিত হয় তাই তৃণমূল কংগ্রেসের মূল লক্ষ্য।

তিনি আরো বলেন উন্নয়ন প্রসঙ্গে জাতি ধর্ম দল তৃণমূল কংগ্রেস দেখেনা। আর সে কারণেই যেই বুথে আমরা পিছিয়ে ছিলাম সেই সেই বুথে আরো বেশি করে উন্নয়ন করার লক্ষ্যেই এই জনসংযোগ। লোকসভা নির্বাচনে হারার পর একপ্রকার ঘরে গুটিয়ে গেছে বিজেপি। সিতাই বিধানসভা উপনির্বাচনে তাদের নেতৃত্ব সহ কাউকেই দেখতে পাওয়া যায়নি। এমনকি যে সমস্ত এলাকায় বিজেপি বিধায়ক রয়েছে তারাও মানুষের সাথে জনসম্পর্ক হীন। রাজ্যের উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন মন্ত্রী রয়েছেন কোচবিহার জেলায়। ফলে উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন দপ্তরের উন্নয়নমূলক প্রকল্প আরো করার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছে রাজ্যের সরকার।

আর সে কারণেই ২৬ বিধানসভা নির্বাচনের বছর দেরেক আগে থেকেই জনসংযোগ রীতিমতো জোর দিতে শুরু করেছে তৃণমূলের মন্ত্রী থেকে নেতৃত্ব সকলেই। রাজ্যের মূল বিরোধী দল যখন বারবার শাসকদলের কর্মযজ্ঞ নিয়ে প্রশ্ন তোলে সেই সময় কোচবিহার জেলা তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি পৌঁছে যাচ্ছেন বিভিন্ন এলাকায় মানুষের কাছে যা বর্তমান রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ বলেই মত রাজনৈতিক মহলের।