ad
ad

Breaking News

Belpahari

Belpahari: পাহাড় পুজোয় পর্যটকের ঢল জঙ্গলমহলের বেলপাহাড়িতে

দেবতাজ্ঞানে পুজো করা হয় পাহাড়কে।

tourists-flock-to-belpahari-in-jangalmahal-for-pahar-puja

চিত্রঃ নিজস্ব গ্রাফিক্স

Bangla Jago Desk: প্রকতিকে সন্তুষ্ট করতে শুরু হয়েছিল এই পুজো, তবে পরম্পরা মেনে প্রতিবছর বৃষ্টির শুরুতে বেশ আড়ম্বর সহকারে পুজো হয়। এটাই হয়ত গ্রামীণ এই পাহাড়ি এলাকায় সর্বশ্রেষ্ঠ পরব। আর এই পুজো পার্বণকে ঘিরে বহু মানুষের সমাগম হয় এখানে। জঙ্গলমহলে প্রকৃতিকে সন্তুষ্ট করতে বহু বছর আগে শুরু হয় পাহাড়পুজো। দেবতাজ্ঞানে পুজো করা হয় পাহাড়কে। যার ফলে বিভিন্ন প্রাকৃতিক দুর্যোগ থেকে রক্ষা পায় এলাকার মানুষ, এমনই মতে শুরু হয় পূজার্চনা। সেই মত পরম্পরা মেনে প্রতিবছর আয়োজন করা হয় পাহাড় পুজোর। আর এই পুজোকে ঘিরে বসে মেলা, লক্ষ লক্ষ মানুষের সমাগম হয় পাহাড় পুজো দেখার জন্য।(Belpahari)

 বিভিন্ন পুজোর কথা তো শুনেছেন। তবে শুনেছেন কি পাহাড়কেও দেবতা জ্ঞানে পুজো করা হয়? হ্যাঁ, প্রকৃতিকে সন্তুষ্ট করতে এই পাহাড়ের পুজো করা হয় প্রতিবছর। বছরের আষাঢ় মাসের তৃতীয় শনিবার বেলপাহাড়ির কানাইসোর পাহাড় পুজো করা হয়। পুজোয় হাজার হাজার মানুষের সমাগম ঘটে। এবারও ঝাড়গ্রামের বেলপাহাড়ি ও ঝাড়খণ্ডের সীমান্তবর্তী এলাকায় কানাইসোর পাহাড় পুজোয় সামিল হয়েছিলেন কয়েক হাজার মানুষ । প্রতি বছর আষাঢ়ের তৃতীয় শনিবার থেকে মাত্র তিন ধরে হয় মেলা। মেতে ওঠেন বাংলা, ঝাড়খণ্ড, বিহার, ওড়িশা রাজ্যের হাজার হাজার মানুষ। (Belpahari)

[আরও পড়ুনঃ Thackeray Unity: ফের একসাথে পথে নামতে চলেছে উদ্ধব-রাজ, জোট ঘোষণার আশায় মহারাষ্ট্র]

ঝাড়গ্রামে ফসল যেন ভাল হয়। তার জন্য পর্যাপ্ত বৃষ্টির প্রার্থনা করে পাহাড় দেবতার পুজো করেন জঙ্গলমহলের আদিবাসী, মূলবাসি সম্প্রদায়ের মানুষজন। আম, কাঁঠাল, জাম নিবেদন করে পাহাড় দেবতার আরাধনা করা হয়।অনেক ক্ষেত্রে পাঁঠা, হাঁস-মুরগি বলির চল রয়েছে। অম্বুবাচির পরে থেকে শনিবার দেখে ঝাড়গ্রামের বেলপাহাড়িতে পাহাড় দেবতার পুজো শুরু হয়। নিয়ম করে প্রতিবছর এই প্রার্থনা করেন জঙ্গলমহলের বাসিন্দারা।(Belpahari)

[লিঙ্কঃ https://www.facebook.com/Banglajagotvofficial]

এ বার এই পাহাড় পুজো শুরু হয়েছে। আর তার জেরে ঝাড়গ্রামে পর্যটকদের ঢল নেমেছে। পাহাড় পুজো দেখতে উপচে পড়েছে ভিড়। আদিম যুগ থেকে মানুষ পাথর-বৃক্ষ এবং পাহাড়কে শক্তিরূপে পুজো করে আসছে।তাঁদের বিশ্বাস পাহাড় দেবতাকে তুষ্ট করতে পারলেই ভালো বৃষ্টি হবে। বৃষ্টি হলেই সুজলা সুফলা হয়ে উঠবে এই বসুন্ধরা। এখন উৎসবে পরিণত হয়েছে। পাহাড় পুজোয় কেবলমাত্র মূলবাসী, আদিবাসী সম্প্রদায়ের মানুষজন নয়, বাইরে থেকে পর্যটকরাও এই উৎসবে সামিল হচ্ছেন।

পাহাড় পুজোর পাশাপাশি বর্ষার সময়ে বেলপাহাড়ির একটি অন্য রূপ দেখা যায়। জেগে উঠে গ্রীষ্মে শুকিয়ে যাওয়া ঝর্নাগুলি। ঘাগরা, হুদহোদি, গাড়রাশিনি , হাতিপাথরের মতো ঝর্নাগুলির সৌন্দর্য এই সময়ে আরও বেড়ে যায়। যা পর্যটকের কাছে বাড়তি পাওনা।