সংগৃহীত
Bangla Jago Desk: ঝিনাইডাঙা গুলিকাণ্ডে পথে নামলেন কোচবিহার জেলার ঘাসফুল শিবিরের কর্মীরা (Gun Violence)। কোচবিহার উত্তর বিধানসভা কেন্দ্রের একাধিক জায়গায় তাঁদের তরফ থেকে চালানো হচ্ছে বিক্ষোভ। শুধু তাই নয়, রাস্তায় টায়ার জ্বালিয়ে প্রতিবাদ পর্যন্ত করা হয়েছে। তৃণমূল কংগ্রেসের অভিযোগ, বিজেপি আশ্রিত দুষ্কৃতীরা তাদের দলের কর্মীকে গুলি করেছেন। যদিও কোচবিহার উত্তর বিধানসভা কেন্দ্রের বিধায়ক সুকুমার রায় সমস্ত অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। এই ঘটনায় তাঁর পুত্র শুভঙ্কর রায়কে গ্রেফতার করা হয়েছে।
[আরও পড়ুন: Jadeja: নিয়ম ভেঙে মাঠে আগেভাগে হাজির, বিতর্কের মাঝেই জবাব দিলেন ব্যাট হাতে জাডেজা!]
বৃহস্পতিবার রাতে ঝিনাইডাঙায় পাঁচজন দুষ্কৃতী গাড়ি করে এসে তৃণমূল কর্মী রাজু দে-কে গুলি করে ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যান। তড়িঘড়ি আহত তৃণমূল কর্মীকে ভর্তি করা হয় এক বেসরকারি নার্সিংহোমে। পুলিশও তদন্তে নেমে সিসিটিভি ফুটেজ খতিয়ে দেখেছে। তবে এতে বেশ ক্ষুব্ধ হয়েছেন কোচবিহার জেলার অন্যান্য তৃণমূল কর্মীরা। তাঁদের তরফ থেকে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় যে এর প্রতিবাদ জানাতে তাঁরা পথে নামবেন (Gun Violence)।
সিদ্ধান্ত অনুযায়ী শুক্রবার পথে নামেন ঘাসফুল শিবিরের কর্মীরা। মিছিল করার পাশাপাশি টায়ার জ্বালিয়ে ঘটনার প্রতিবাদ জানানো হয়। স্লোগান তোলা হয় কোচবিহার উত্তর বিধানসভা কেন্দ্রের বিধায়ক সুকুমার রায়ের বিরুদ্ধেও। তৃণমূলের অভিযোগ, “রাজু দেকে বিজেপির গুন্ডারা গুলি করেছেন। ও এক বেসরকারি নার্সিংহোমে মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ছে। ওরা দেখছে যেহেতু ওদের পায়ের তলার মাটি সরে যাচ্ছে, তাই দুষ্কৃতী লাগিয়ে এমনটা করছে।” শুধু তাই নয়, দলের তরফ থেকে এটাও জানানো হয় যে বিধায়কের গাড়ি পর্যন্ত পাওয়া গেছে (Gun Violence)।
[আরও পড়ুন: Session Extension: মেয়াদ বাড়ল বাদল অধিবেশনের, একাধিক ইস্যুতে সংসদ উত্তাল হওয়ার আশঙ্কা]
যদিও সুকুমার রায় এই সমস্ত অভিযোগ মিথ্যে বলে দাবি করেছেন। তাঁর বক্তব্য, তাঁর বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করা হচ্ছে। পাশাপাশি, তিনি এই ঘটনায় গোষ্ঠী কন্দলের হাত রয়েছে বলে দাবি করেছেন। ইতিমধ্যেই এই ঘটনায় গ্রেফতার হয়েছেন তাঁর পুত্র শুভঙ্কর রায়। এবার দেখার বিষয় এই ঘটনার জল কতদূর গড়ায়। তদন্তে আর কাদের নাম উঠে আসে, সেটাই এখন দেখার। হত্যার নেপথ্যে কি? রাজনীতি নাকি গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব? তা বলবে সময় (Gun Violence)।