চিত্র: সংগৃহীত
Bangla Jago Desk: পরকিয়ায় জড়িয়ে নববর্ষে আত্মঘাতী যুগল! বজবজের পাইকপাড়া এলাকায় আত্মঘাতী এক মামি-ভাগ্নে। পরকিয়াকয় মজে থাকা মামি-ভাগ্নের সম্পর্কের মাঝে কাঁটা ছিল পরিবার! এক সঙ্গে না বাঁচলেও একসঙ্গে মরণের পথে পা রাখলেন তাঁরা। বেছে নিলেন মৃত্যুর রাস্তা। আত্মহত্যা করার আগে দুজনে ভিডিয়ো কলে কথা বলেন, ভিডিয়ো কলে থাকা কালীন এই ঘটনা ঘটান বলে দাবি।
জানা গিয়েছে, বছর দশেক আগে প্রেম করে পরিবারের সম্মতি নিয়ে নন্দনপুরের বাসিন্দা ১৯ বছরের অনন্যা বিয়ে করেছিলেন পাইকপাড়ার বাসিন্দা রণজিৎ সর্দারকে। দাম্পত্য জীবন ছিল মসৃণ, তাঁদের একটি আড়াই বছরের সন্তানও রয়েছে। রণজিৎ স্থানীয়ভাবে একটি বাইক সারানোর গ্যারেজ চালান। সব ঠিকঠাক চলছিল, কিন্তু হঠাৎই ছন্দপতন।
পরিবার সূত্রে খবর, অনন্যা তাঁর স্বামীর পিসির ছেলে রাকেশ ওরফে রকির সঙ্গে পরকিয়ার সম্পর্কে জড়িয়ে যান। রকি একটি বেসরকারি সংস্থায় কর্মরত ছিলেন, তিনি প্রায়শই অনন্যার বাড়িতে যাতায়াত করতেন। মামি-ভাগ্নের সম্পর্কের আড়ালে গড়ে ওঠে অন্য এক সম্পর্ক, যা প্রথমে কারও চোখে পড়েনি। তবে সময়ের সঙ্গে সঙ্গে বিষয়টি প্রকাশ্যে আসে। দুই পরিবারই স্বাভাবিক ভাবে এই সম্পর্কের বিরোধিতা করে।
পরিবারের বাধা, সামাজিক চাপে রকি ও অনন্যা মানসিকভাবে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েন বলে দাবি। সোমবার রাতে দু’জনে নিজেদের বাড়ি থেকে ফোনে দীর্ঘ সময় কথা বলেন, তারপরেই আত্মহত্যার সিদ্ধান্ত নেন। অনন্যাকে প্রথমে জীবিত অবস্থায় উদ্ধার করে বজবজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলেও শেষরক্ষা হয়নি। চিকিৎসকরা তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। রকির ক্ষেত্রেও একই পরিণতি হয়।
পুলিশ ইতিমধ্যেই দুই জনের মোবাইল বাজেয়াপ্ত করেছে এবং মৃতদেহ দুটি পাঠানো হয়েছে ময়নাতদন্তের জন্য। পরিবারের লোকজন বাকরুদ্ধ, কেউই মেনে নিতে পারছেন না দুটি প্রাণের মর্মান্তিক অবসান।