গ্রাফিক্স
Bangla Jago Desk: বৃষ্টিতে ভেসে যাচ্ছে উত্তর। দক্ষিণে নেই বৃষ্টি। নিয়ম মেনে যতটা বৃষ্টি হওয়ার কথা সেই পরিমাণ বৃষ্টি হচ্ছে না। ফলে ঘাটতি থেকে যাচ্ছে। জুলাইয়ের প্রথম সপ্তাহের পর থেকে ঘাটতি শুরু হয়েছে। আগামী কয়েকদিনেও দক্ষিণবঙ্গে ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস নেই। দক্ষিণের জেলাগুলিতে ঘটতির জন্য কিছুটা ব্যাহত হচ্ছে চাষবাস।
নিয়ম মেনে বাংলায় বর্ষা প্রবেশ করেছে। রাজ্যের মধ্যে উত্তরবঙ্গের বিভিন্ন জেলায় অতিবৃষ্টি হলেও বেশ কিছু জেলায় বৃষ্টির পরিমাণ কমেছে। আবহাওয়া দফতরের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী ৬ জুলাই পর্যন্ত বৃষ্টির ঘাটতি নেই রাজ্যে। এই সময়ে স্বাভাবিক বৃষ্টির পরিমাণ ৩৭৯.৪ মিলিমিটার। বৃষ্টি হয়েছে ৩৭৯.৫ মিলিমিটার। তবে উত্তরবঙ্গে অতিবৃষ্টি হলেও দক্ষিণে স্বাভাবিকের থেকে কম হয়েছে বৃষ্টি। জুলাইয়ের প্রথম সপ্তাহের পর দক্ষিণবঙ্গে ৪৯ শতাংশ কম বৃষ্টি হয়েছে। পাশাপাশি উত্তরবঙ্গে বৃষ্টি বেশি হয়েছে ৭১ শতাংশ।
জুলাই মাসের মাঝামাঝি পর্যন্ত দক্ষিণবঙ্গে ভারী বৃষ্টির তেমন সম্ভাবনা নেই। দক্ষিণবঙ্গে বৃষ্টির ঘাটতি বেড়ে চলবে। গত কয়েকদিনের তুলনায় আগামী তিনদিন দক্ষিণবঙ্গে বৃষ্টির মাত্রা কিছুটা বাড়তে পারে বলে জানিয়েছে আলিপুর আবহাওয়া অফিস। তবে দক্ষিণবঙ্গে এখনই ভারী বৃষ্টির কোনও সম্ভাবনা নেই। তিনদিন পর বৃষ্টির মাত্রা ফের কমে যাবে। আপাতত ১৬ জুলাই পর্যন্ত দক্ষিণবঙ্গে এরকমই চলবে বলে আবহাওয়ার পূর্বাভাসে জানানো হয়েছে।
অন্যদিকে উত্তরবঙ্গের জেলাগুলিতে স্বাভাবিকের চেয়ে অনেক বেশি বৃষ্টি হয়েছে। আগামী রবিবার পর্যন্ত উত্তরবঙ্গে ভারী থেকে অতিভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস দেওয়া হয়েছে। উত্তরপ্রদেশ থেকে একটি পূর্ব-পশ্চিম নিম্নচাপ অক্ষরেখা উত্তর-পূর্ব অসমের ওপর পর্যন্ত বিস্তৃত আছে। এই অক্ষরেখাটি হিমালয় সংলগ্ন উত্তরবঙ্গের ওপর দিয়ে গিয়েছে। যার ফলে উত্তরবঙ্গে বেশি বৃষ্টি হচ্ছে। দক্ষিণবঙ্গের একটা অংশের ওপর দিয়ে গিয়েছে মৌসুমি অক্ষরেখা। এর প্রভাবে দক্ষিণবঙ্গে বৃষ্টি হচ্ছে বিক্ষিপ্ত ভাবে।
দক্ষিণবঙ্গে জেলাগুলিতে বৃষ্টি কমে যাওয়ায় ফিরেছে গরম। বেড়েছে রোদে তেজ। ফিরে এসেছে আর্দ্রতাজনিত অস্বস্তি। কলকাতায় বুধবার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ৩৪.৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস। যা স্বাভাবিকের তুলনায় ২ ডিগ্রির মতো বেশি। সেই সঙ্গে সর্বনিম্ন তাপমাত্রাও স্বাভাবিকের চেয়ে প্রায় ২ ডিগ্রি বেশি ছিল।