Bangla Jago Desk: ২৫নভেম্বর শুরু হচ্ছে শীতকালীন অধিবেশন। এই অধিবেশনে বেশকিছু গুরুত্বপূর্ণ বিষয় উথ্থাপন করতে পারে শাসকশিবির। কেন্দ্রীয় বঞ্চনার মাঝে এবার ১০০দিনের কাজও আবাস যোজনা নিয়ে বিধানসভায় প্রস্তাব পাস করানো হতে পারে। এছাড়াও উন্নয়নমূলক একাধিক বিল পাসের সম্ভাবনা রয়েছে।এবারের অধিবেশনে থাকতে পারেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বিধানসভার শীতকালীন অধিবেশন শুরু হচ্ছে ২৫নভেম্বর। শীতকালীন অধিবেশনে বেশ কয়েকটি বিল উথ্থাপন করা হতে পারে। যারমধ্যে অন্যতম কেন্দ্রীয় বঞ্চনার আবহে ১০০দিনের কাজও আবাস যোজনা নিয়ে বাংলার স্বার্থবাহী প্রস্তাব পাস। সূত্রের খবর, নভেম্বর মাসের ১৩ তারিখে এই রাজ্যে ছটি উপনির্বাচন রয়েছে।
২৩ তারিখ নির্বাচনের ফলাফল। ২৫ তারিখে অধিবেশন শুরু হলে, উপ নির্বাচনে জয়ী প্রতিনিধিদের শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠান হবার সম্ভাবনা রয়েছে শীতকালীন অধিবেশনে। সাম্প্রতিক কয়েকটি বিষয় নিয়ে আলোচনা হবার সম্ভাবনা রয়েছে। নভেম্বর মাসের ২৫ তারিখে বিধানসভার অধিবেশন শুরু হলে তা চলবে দশ দিন।থাকতে পারেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এমনটাই বিধানসভা সূত্রের খবর। ইতিমধ্যেই অধিবেশনের আলোচনার জন্য বিভিন্ন দফতরের কাছে রিপোর্ট চাওয়া হয়েছে। এরপরেই ঠিক হবে কোন বিল উত্থাপিত হবে। শীতকালীন অধিবেশনে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় গুরুত্বপূর্ণ কিছু আলোচনায় অংশ নিতে পারেন বলেই সূত্রের খবর।
ইতিমধ্যে কলকাতায় এসে অমিত শাহ দাবি করেন,বিজেপিকে ক্ষমতায় আনলে ১০০দিনের কাজের পাই-পয়সার হিসেব দেব। একইসঙ্গে বাংলার সরকারের বিরুদ্ধেও নানা কথা বলেন তিনি। অমিত শাহ দাবি করেন,করেন,এনডিএ সরকার,ইউপিএ সরকারের থেকে বেশি সাহায্য দিয়েছে বাংলাকে।শাহের হিসেব মতো,ইউপিএ আমলে এই রাজ্যকে দেওয়া হয়েছিল ২লক্ষ ৯হাজার কোটি টাকা।কিন্তু চোদ্দো থেকে চব্বিশ এই ১০বছরে মোদি সরকার,দিয়েছে,৭লক্ষ ৭৪হাজার কোটি টাকা। তৃণমূল নেতৃত্ব এই তথ্য খণ্ডন করে পাল্টা সরব হয়। তৃণমূল কংগ্রেস স্পষ্ট করে,শ্বেতপত্র প্রকাশ করে এই অর্থ প্রদানের বিষয়টি প্রকাশ্যে আনা হোক।তাই বঞ্চনার আবহে রাজ্যের মানুষকে ৫০দিনের কাজের গ্যারান্টি দিতে কর্মশ্রী,বাংলা আবাস যোজনায় আরও ১১লক্ষ বাড়ি তৈরির সিদ্ধান্ত রূপায়ণ গুরুত্ব বাড়ছে।
তাই এই প্রস্তাব তাত্পর্যবাহী বলে মত ওয়াকিবহাল মহলের। আপাতত স্থির হয়েছে সাত থেকে দশ দিন চলবে এই অধিবেশন। শেষ বিধানসভার অধিবেশনে অপরাজিতা বিল পাশ হয়েছিল। যদিও তা এখনও আইন হয়নি। রাষ্ট্রপতির কাছে সেই বিল পড়ে রয়েছে। সেই অপরাজিতা বিল সহ ধর্ষণ বিরোধী অবস্থানের কথাও বিধায়কদের আলোচনায় উঠে আসতে পারে।এই অবস্থায় মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় উন্নয়নমুখী কর্মকাণ্ড থেকে বাংলার স্বার্থবাহী কাজের রূপরেখা তুলে ধরতে পারেন বলে আভাস মিলেছে।