নিজস্ব চিত্র
Bangla Jago Desk : নদিয়া, মাধব দেবনাথ : আমি অনন্যা, আমাকে রাস্তা দিন, আপনাদের জন্য আমি খাবার নিয়ে এসেছি, সারা পশ্চিমবঙ্গের মধ্যে এই প্রথম এক রেস্তোরাঁয় ভোজন রসিকদের মনোরঞ্জন করছে অনন্যা নামের একটি রোবট। যা দেখে রীতিমত খুশি রেস্তরায় খাবার খেতে আসা সকলে।
অনন্যা নামে রোবটে মজেছে মাদার্স হাটের সমস্ত ভোজন রসিকরা। কিচেন রুম থেকে খাবার বয়ে নিয়ে সোজা খাবার টেবিলে পৌঁছে যাচ্ছে অনন্যা। ভিড়ভাট্টা দেখলেই থমকে যাচ্ছে অনন্যা এবং বলছে “আমি অনন্যা খাবার নিয়ে যাচ্ছি আমাকে রাস্তা দিন”।
দিনের পর দিন ভিড় বেড়েই চলেছে নদিয়ার কৃষ্ণনগরের একটি রেস্তরায়। ২০১৩ সালে তিনজন মহিলা নিয়ে জাতীয় সড়কের ধারে পেট্রোল পাম্পের পিছনে শুরু হয়েছিল মাদার্স হাট। গুটিগুটি পায়ে এগিয়ে ১১ বছরে একটি অভিজাত রেস্তোরার সমকক্ষে পরিণত হয়েছে। কিন্তু কেন রোবটের নাম অনন্যা সে এক অজানা কাহিনী।
[ আরও পড়ুন : Amarnath Yatra: শনিবার থেকে শুরু অমরনাথ যাত্রা, বাহিনীর নিরাপত্তায় মোড়া উপত্যকা ]
যখন প্রথম শুরু হয়েছিল এই রেস্তোরাঁ তিনজন মহিলার মধ্যে একজনের নাম ছিল অনন্যা। যার বাড়ি, নদিয়ার শান্তিপুরের ফুলিয়াতে। রেস্তোরার তিন মহিলার মধ্যে দুজনেই কাজ ছেড়ে চলে যায় কিন্তু থেকে যায় অনন্যা। আর অনন্যার হাত ধরেই আজ মাদার্স হাট পূর্ণতা ও পরিচিতি লাভ করেছে। আর সেই কারণেই অনন্যাকে সম্মান জানাতেই অত্যাধুনিক রোবটের নাম অনন্যা রাখা হয়েছে। এখনো পর্যন্ত মোট চারটি অনন্যা নামের রোবট সকাল থেকে রাত পর্যন্ত ক্রমাগত মানুষের কাছে খাবার পরিবেশন করে চলেছে। রোবটের চলার পথে ভিড়ভাট্টা হলেই দাঁড়িয়ে পড়ছে এবং জায়গা দেওয়ার অনুরোধ করছে।
বাংলার রেস্তোরাঁয় প্রযুক্তির ছোঁয়া pic.twitter.com/x3DRzY95Ad
— Bangla Jago Tv (@BanglaJagotv) June 28, 2024
রেস্তোরাতে খাবার খেতে আসা সকলেই একটু ফাঁক পেলেই অনন্যার ছবি তুলে নিচ্ছে। শিশুরা রোবট অনন্যা কে নিয়ে মজাও করছে খুব। মহিলা পরিচালিত মাদার্স হাট রেস্তোরার বর্তমান মূল আকর্ষণ এখন অনন্যা নামের এই রোবট। তবে রেস্তোরার পরিচালনকারীরা জানাচ্ছেন, গোটা পশ্চিমবঙ্গের মধ্যে এই প্রথম এই ধরনের অভিনবত্ব রোবট এই রেস্তোরায় রয়েছে।
[ আরও পড়ুন : জলে ডুবে শিশু মৃত্যু প্রতিরোধে সুন্দরবনে তৈরী হল কবচ সেন্টার, পরিদর্শনে প্রশাসন ]
বিদেশের টেকনিক্যাল পয়েন্ট ও ভারতের টেকনিক্যাল পয়েন্ট একত্রিত করে এই রোবট তৈরি করা হয়েছে। আগামী দিনে যুগের পরিবর্তনের সাথে সাথে বিজ্ঞানীরা আরো অভিনবত্ব তৈরি করার চেষ্টা করবে। আগামী দিনে এই রোবট মানুষের দৈনিক বিভিন্ন পরিষেবায় এক অন্য রূপ নিতে পারে। যেমন হাসপাতাল থেকে শুরু করে বিশেষ বিশেষ জায়গায় মানুষকে দ্রুত পরিষেবা দেওয়ার জন্য এ রোবট এক অন্য ভূমিকা পালন করবে।