Bangla Jago Desk: হারিয়ে যাওয়া দিওয়ালি ঘর ফিরে এল দীপাবলিতে। শোলা শিল্পী শেখ সমজানের হাত ধরে ফিরে এল নস্টালজিয়া। শিশু-কিশোর মনে মোবাইলের আসক্তি দূর করতে নয়া ভাবনা শিল্পীর। আর দীপাবলী উৎসবের মধ্যে সম্প্রীতির বন্ধনে জুড়লো সামাজিক সচেতনতা।
কালীপুজো ও দীপাবলি উৎসবে জঙ্গলমহল এলাকায় একটা সময় বহুল পরিচিত নাম ছিল দেওয়ালি ঘরের। আলোক মালায় সাজিয়ে তোলা হতো এই দেওয়ালি ঘর। সাধারণত মাটি দিয়ে তৈরি করা হতো একটি বিশেষ ধরনের ঘর। প্রদীপের আলোয় তার প্রত্যেকটি কোনা ও ভিতর জ্বলজ্বল করতো। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে একটা সময় তা হারিয়ে যায়। সেই হারিয়ে যাওয়া দেওয়ালি ঘর আবার ফিরে এল পশ্চিম মেদিনীপুরের জঙ্গলমহলে। শুধু পশ্চিম মেদিনীপুর বললে ভুল হবে, ঝাড়গ্রাম বাঁকুড়া পুরুলিয়ার জঙ্গলমহল এলাকাতেও এই বাতিঘরের ব্যাপক চল ছিল। সেই দেওয়ালি ঘরকে নতুন রূপে ফিরিয়ে আনা হল। তবে মাটি দিয়ে নয়, এই দিওয়ালি ঘর তৈরি হয়েছে শোলা সহ অন্যান্য সামগ্রী দিয়ে।
আর এই বিলুপ্তপ্রায় দেওয়ালি ঘর ফিরে এল শেখ সমজানের হাত ধরে। কালী পুজো ও দীপাবলির মধ্যে সম্প্রীতিতে বাধা পড়ল দেওয়ালি ঘর। বর্তমান প্রজন্ম মোবাইলে আসক্ত। তাই পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার দেওয়ালি ঘর হারিয়েছে বাংলা ও বাঙালি মনন থেকে। একটা সময় জঙ্গলমহল এলাকায় বাড়িতে বাড়িতে ইট ও মাটি দিয়ে দেওয়ালি ঘর বানিয়ে আলোয় ভরিয়ে তুলত কিশোর-কিশোরীরা। এখন মোবাইলে চোখ দিনরাত। কিশোর মনে পুরনো ঐতিহ্য দেওয়ালি ঘরকে ফিরিয়ে আনতে অভিনব ভাবনা শোলা শিল্পী শেখ সমজানের।
[আরও পড়ুনঃ ভাইফোঁটার আগে ইলিশের আকাল,চড়া দামে ইলিশ কিনতে হবে বোনেদের
হাতে তৈরি রেডিমেড দেওয়ালি ঘর তৈরি করে বিক্রি করে হিন্দু-মুসলিম ভেদাভেদ মুছে দিয়েছেন বছর ৩২ এর শেখ সমজান। একসময়ের বিলুপ্ত প্রাপ্ত এই দেওয়ালি ঘর থার্মোকল দিয়ে তৈরি করে বিক্রি করছেন দেদার। কিনতে রীতিমতো ভিড় জমিয়েছে ক্রেতারা। ঝাড়গ্রাম, বাঁকুড়া, পুরুলিয়া, পশ্চিম মেদিনীপুরের মত জঙ্গলমহল এলাকায় নতুন এবারের দীপাবলিতে নতুন মাত্রা যোগ করেছে এই দেওয়ালি ঘর। তবে প্রদীপের শিখার আলো নয়, এ দিওয়ালি ঘর আলো করবে টুনি লাইট।