ad
ad

Breaking News

Rishra

‘ঢপের চপ’ নামেই বাজিমাত! ভিড়ে ঠাসা রিষড়ার গুমটি দোকান

দোকানের নাম নিয়ে কালিপদের বক্তব্য, বন্ধুরা আগে তার দেওয়া গল্প বা খবর বিশ্বাস করত না, বলত —“ঢপের চপ দিস না তো”, “বাতেলা মারিস না”। সেই কথা থেকেই মাথায় আসে, চপের দোকান খুলে নাম দেব 'ঢপের চপ'।

The name 'Dhaper Chop' is a hit! A crowded restaurant in the heart of the city

নিজস্ব চিত্র

Bangla Jago Desk: সৌগত রায়, হুগলি:  হুগলির রিষড়া হরিসভা এলাকায় সন্ধ্যার পর থেকেই জমে ওঠে এক বিশেষ তেলেভাজার দোকান — নাম তার ‘ঢপের চপ’। দোকানের মালিক কালিপদ দত্ত এক সময়ের পেশাদার দর্জি। বছর দশেক জামা-প্যান্ট-স্যুট সেলাই করতেন, কিন্তু সময়ের সঙ্গে পাল্টে গেল তার পেশা। টেলারিংয়ের বাজারে মন্দাভাব দেখা দেওয়ায় ২০১৬ সালে শুরু করেন এই অভিনব নামের চপের দোকান।

কালিপদের ‘ঢপের চপ’ শুধু নামেই নয়, স্বাদেও একেবারে অনন্য। মৌরি, কালোজিরে আর গোলমরিচের ঘ্রাণে তৈরি চপ এতটাই জনপ্রিয় যে রাত আটটার পর এলে তা পাওয়াই যায় না। দোকানের আরও আকর্ষণীয় আইটেম —‘বাতেলা ফুলুরি’, ‘ডুবন্ত আলুবরা’, ‘ঝুলন্ত বেগুনি’, ‘সুগার ফ্রি ভেজিটেবল’। এগুলোর নাম যেমন অদ্ভুত, স্বাদেও তেমনি অসাধারণ, বলছেন নিয়মিত ক্রেতারা।

দোকানের নাম নিয়ে কালিপদের বক্তব্য, বন্ধুরা আগে তার দেওয়া গল্প বা খবর বিশ্বাস করত না, বলত —“ঢপের চপ দিস না তো”, “বাতেলা মারিস না”। সেই কথা থেকেই মাথায় আসে, চপের দোকান খুলে নাম দেব ‘ঢপের চপ’।

রাস্তায় গুমটি করে শুরু করলেও তার স্বপ্ন রয়েছে একদিন একটা স্থায়ী দোকান করার। যদিও এই দোকান চালিয়ে ধনকুবের হননি কালিপদ, তবে স্ত্রী ও ছেলেকে নিয়ে দিব্যি সংসার চলছে। তার কথায় —”গরমে পান্তা ভাত খায় অনেকে, সন্ধ্যায় আমার ফুলুরি আর জলঢালা ভাত —দারুণ চলে।” কালিপদের এই জীবনসংগ্রাম আর তার সৃজনশীল দোকানের গল্প এখন ভাইরাল হয়ে উঠেছে, আর তার ‘ঢপের চপ’ হয়ে উঠেছে রিষড়ার গর্ব।