ad
ad

Breaking News

RG Kar case

RG Kar case: আরজি করের বিচারের দাবি উঠল ডেলিভারি সংস্থার খাবারের বিলে

গত কয়েকদিন আগেই এক চিকিৎসক তার প্রেসক্রিপশনে আরজি করের ঘটনার দোষীদের শাস্তি চেয়ে প্রতিবাদের সরব হয়েছিলেন

The demand for RG Kar trial was raised on the delivery company's food bill

নিজস্ব

Bangla Jago Desk: হুগলি ,রাকেশ চক্রবর্তী: গত কয়েকদিন আগেই এক চিকিৎসক তার প্রেসক্রিপশনে আরজি করের ঘটনার দোষীদের শাস্তি চেয়ে প্রতিবাদের সরব হয়েছিলেন। এবার খাদ্য সরবরাহকারী সংস্থার বিলে উঠে এলো আরজি কর ঘটনার দোষীদের শাস্তির দাবি। ব্যান্ডেলের নারায়ণপুর কলোনির বাসিন্দা সুচিস্মিতা ভট্টাচার্য গত তিন বছর ধরে অনলাইনের মাধ্যমে খাবার সরবরাহ করে আসছেন। দিনরাত এক করে মানুষের স্বাদের খাবার পৌঁছে দেওয়ার কাজ করে চলেছেন নিরলস ভাবে। ছ`বছর আগে মানুষের বাড়ি বাড়ি খাবার সরবরাহ করার কাজ শুরু করেছিলেন। বিগত তিন বছর ধরে অনলাইনের ফুড ডেলিভারি অ্যাপের মাধ্যমে তার ব্যবসায় পরিধি বাড়িয়েছেন।

[আরও পড়ুন: দক্ষিণবঙ্গের জেলায় স্বাস্থ্য দফতরে উচ্চ মাধ্যমিক পাশেই নিয়োগ, কীভাবে করবেন আবেদন]

সম্প্রতি আরজি করার ঘটনায় তোলপাড় হয়েছে রাজ্য তথা দেশ ।দোষীর শাস্তির দাবিতে রাজপথে মিছিল করেছে সাধারণ মানুষ থেকে বিভিন্ন কর্মক্ষেত্রের মানুষ। সুচিস্মিতা তিনিও এই প্রতিবাদে সামিল হওয়ার ইচ্ছা প্রকাশ করেন। তবে তিনি যেহেতু খাদ্য সরবরাহ করেন তাই সশরীরে বিভিন্ন প্রতিবাদ মিছিলে বা সভায় হাজির হতে পারছেন না। তাই বলে তার প্রতিবাদের আওয়াজ তিনি থামিয়ে রাখতে চাননি। এবার নিজের কাজের মাধ্যমেই তার প্রতিবাদের আওয়াজকে অন্যভাবে তুলে ধরার চেষ্টা করেছেন। তার যে সংস্থা তার খাদ্যের বিলের মধ্যে তিনি প্রতিবাদের আওয়াজ তুলে ধরেছেন। সেখানে লেখা রয়েছে “উই ওয়ান্ট জাস্টিস ফর আরজিকর কেশ”। তিনি সমাজের কাছে প্রশ্ন তুলেছেন, পশ্চিম বাংলায় কি মহিলারা সুরক্ষিত? মহিলা চিকিৎসকরা কি সুরক্ষিত? সেখানে আরো লেখা, সরবহন আপনিও, বিচার চায় তিলোত্তমা। তার এই অভিনব প্রতিবাদকে স্বাগত জানিয়েছে খাদ্য সরবরাহের সঙ্গে যুক্ত যুবকরাও।

[আরও পড়ুন: লম্বা মানুষদের বড়ো বিপদ, কোন অসুখের আশঙ্কা, কী বলছে গবেষণা]

মানুষের বাড়িতে বাড়িতে সহজেই পৌঁছে যাচ্ছে তিলোত্তমার বিচারের আওয়াজ। আর সেই বিল ভাইরাল হয়েছে সমাজ মাধ্যমে। ইতিমধ্যেই বহু নেটিিজেন এই প্রতিবাদের আওয়াজকে স্বাগত জানিয়েছে। সুচিস্মিতা বলেন, যে কোনো ভাবেই প্রতিবাদ করা যেতে পারে। যে যেভাবে সাবলীল তার সেভাবেই প্রতিবাদ করা দরকার। আমি ব্যবসার সাথে যুক্ত থাকায় মিছিলের সবার সাথে হাঁটতে পারছি না। তবে আমারও প্রতিবাদ থেমে থাকে নি । আমি বিলের মাধ্যমে মানুষের কাছে প্রতিবাদের আওয়াজ পৌঁছে দিচ্ছি। জুনিয়ার ডাক্তাররা দিনের পর দিন রাস্তায় বসে রয়েছেন বিচারের দাবিতে। তাদের পাশে গিয়ে আন্দোলনে যোগ দেওয়া আমার ইচ্ছা ছিল কিন্তু আমি যেহেতু ব্যবসা করি তাই তাদের পাশে বা রাস্তায় নেমে প্রতিবাদ করার সম্ভব হয়নি। আমিও একজন মহিলা তাই তিলোত্তমার ন্যায় বিচারের আমিও দাবি জানাই।