গ্রাফিক্স: নিজস্ব
Bangla Jago Desk: রাত ৩ টে, তখনো বারাসাত এসিজিএম কোর্টের আলো নেভেনি। চলছে মামলার শুনানি এবং রায়দান প্রক্রিয়া। এই প্রথম বারাসাত এসিজিএম কোর্টে ভোররাত পর্যন্ত চললো রায়দান প্রক্রিয়া। রাত হয়ে গেলেও আদালত থেকে জাননি বিচারক থেকে আইনজীবী কেউই। তবে কী এমন মামালা ছিল যে, রায়দান করতে মাঝরাত হয়ে গেল?
সূত্রের খবর, ১২ই মার্চ ২০২৫ জ্যোতি প্রকাশ দাস নামে এক ব্যক্তিকে গ্রেফতার করে মধ্যমগ্রাম থানার পুলিশ। আইনত ভাবে গ্রেফতার হওয়ার ২৪ ঘন্টার মধ্যেই কোর্টে পেশ করতে হয়। কিন্তু মধ্যমগ্রাম থানার পুলিশ ১৭ তারিখ তাকে কোর্টে পেশ করে। কারণ গ্রেফতারের পরেই অভিযুক্ত অসুস্থ হয়ে পড়েন।
অভিযুক্ত অসুস্থ হয়ে পড়লে তাকে প্রথমে বারাসাত মেডিকেল কলেজে এবং পরবর্তীতে আরজিকর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। যার কারণে তাকে নির্ধারিত সময়ে কোর্টে পেশ করতে পারেনি মধ্যমগ্রাম থানার পুলিশ। আদালতে দেওয়া পুলিশের চার্জশিটে এমনটাই লেখা ছিল।
১৭ তারিখ প্রথমে ওই অভিযুক্তকে এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট কাছে পেস করা হয় এবং তারপর মামলাটিকে স্থানান্তর করা হয় এসিজিএম কোর্টে। সেই কারণে মামলার প্রক্রিয়া শুরু হতে রাত আটটা বেজে যায়। রাত আটটা থেকে শুরু হয় এই মামলা, শুনানি দীর্ঘ সময় ধরে চলে। তাই রায়দান করতে ভোররাত হয়ে যায়।
অবশেষে রাত তিনটের সময় যুক্তি পাল্টা যুক্তির পর শেষ হয় রায়দান প্রক্রিয়া। বিচারপতি এই মামলায় অভিযুক্তকে ১০০০ টাকার ব্যক্তিগত বন্ডে জামিন দেন। এই বিষয় নিয়ে বারাসাত কোর্টের আইনজীবীদের অভিযোগ, মধ্যমগ্রাম থানার গাফিলতির কারণেই রাত তিনটে পর্যন্ত বারাসাত কোর্ট এসিজিএম সাহেবকে থেকে এই মামলার শুনানি করতে হয়। অভিযোগ, মধ্যমগ্রাম থানার গাফিলতির কারণে এই মামলার রায়দান পেতে ভোররাত হয়েছে।