নিজস্ব : গ্রাফিক্স চিত্র
Bangla Jago Desk : ৪ মাস আগে ভেঙে গেছে বাসের সাঁকো। জীবনের ঝুঁকি নিয়ে শালী নদী পারাপার করতে হচ্ছে পাত্রসায়রের মানুষকে। কখন যে কী হয় সেই আশঙ্কায় থাকে পড়ুয়ারাও। এই ছবি বাংলা জাগোর ক্যামেরায় ধরা পড়ে।এরপরই আমরা প্রশাসনের নজরে আনি বিষয়টা। প্রশাসনের কর্তারা আশ্বস্ত করেন, দুর্ঘটনা এড়াতে লাইফ জ্যাকেটের ব্যবস্থা করা হবে, গড়া হবে পাকা সেতু।
[ আরও পড়ুন : ফের বাংলার মেধার বিশ্বজয়, গবেষণায় লক্ষ্যভেদ কোদালিয়ার অধ্যাপকের ]
রুখাসুখা বাঁকুড়ার অন্যতম নদী শালী।একসময় কাজী নজরুল ইসলাম তাঁর ভ্রমণকথায় উল্লেখ করেন, ‘উত্তরে শালী নদী কুলুকুলু বয়, দক্ষিণে শালবন ফুলে বনময়…।এখন সেই শালী জলে টইটম্বুর। ভরা বর্ষায় তাঁর জলস্ফীতিতে বুক দুরদুর করছে লালমাটির জেলার মানুষের।এরমধ্যে ৪মাস আগে ভেঙে যায় বাঁশের সাঁকো।তাতে আরও বিপদ বাড়ে।ভরা নদী দিয়ে যাতায়াত করতে হচ্ছে পাত্রসায়রের মানুষকে। ৮ থেকে ৮০ সবার কাছে এটি ঝুঁকির পারপার হয়ে দাঁড়িয়েছে। সবার আশঙ্কা কখন যে কী হয়।গোস্বামী গ্রাম সহ এই এলাকার মানুষ বলছেন, জীবনের ঝুঁকি বড় বেড়ে গেছে। কেউ কেউ আবার দুর্ঘটনার কথা ভেবে বেশ ভয় পাচ্ছেন।
[ আরও পড়ুন : দেবীপক্ষের সূচনার আগেই দেশের মধ্যে শীর্ষস্থানে রাজ্যে মহিলা চালিত ক্ষুদ্র-মাঝারি শিল্প, উচ্ছ্বসিত মমতা ]
নদী পারাপারের জন্য একমাত্র ভরসা নৌকা।চিরাচরিত জলযানের ওপর ভরসা করেই জীবনের হাল বইতে হয় এই পিছিয়ে পড়া এলাকার মানুষকে।বর্তমানে গ্রামবাংলার নানা অংশের মতোই বাঁকুড়াতেও পড়াশোনার প্রতি আগ্রহ বেড়েছে।স্কুলমুখো হচ্ছে পড়ুয়ারা।তাই ছাত্র-ছাত্রীদের যাতায়াতেও শঙ্কা কাটে না।
পেটের দায়ে দূরদূরান্তে যাওয়া মানুষ, নৌকায় চেপেই পারাপার করেন।কারণ কোনও পাকা সেতু নেই।প্রসূতি মা থেকে রোগী,সবাই এি ঝুঁকির পারপারের যাত্রী হয়ে ওঠেন। স্থানীয় বাসিন্দাদের দাবি , গোস্বামী গ্রাম , মামুদপুর , শালখারা , বৈকুণ্ঠপুর , ফরিদপুর সহ আট থেকে দশটি গ্রামের স্কুলের ছাত্র-ছাত্রীদের স্কুলে যাতায়াত থেকে শুরু করে কোন রোগীকে হাসপাতালে নিয়ে যেতে গেলে প্রতিদিন একরাশ আতঙ্ক নিয়ে নদী পারাপার করতে হয় । তাই দ্রুত শালী নদীর ওপর একটি পাকা সেতু তৈরি করার দাবী জানিয়েছেন তাঁরা । কিভাবে এই ঝুঁকির পারপারে যতি টানা যাবে? প্রশাসনের কর্তারা আগামীদিনে পাকা সেতু গড়ে এই ঝুঁকির পারাপার বন্ধ করতে চায় বলে আশ্বস্ত করেছে।