Bangla Jago Desk: দশমীর উমা বরণ শেষ হতে শুরু হয়েছে বিসর্জনের পালা। এক এক জায়গায় আছে এক এক রকম রীতি। তবে একটু আলাদা রীতি দেখা যায় বসিরহাটের হাসনাবাদে। বসিরহাটের টাকি পূবের রাজবাড়ীর উমার বিসর্জন না হলে এলাকার অন্য কোনও প্রতিমার বিসর্জন হয় না। দশমীর সকালে প্রথমে শুরু হয় মাকে বরণ করা। তারপর সিঁদুর খেলা মধ্য দিয়ে মাকে বিদায় জানান রাজবাড়ির বংশধর থেকে শুরু করে এলাকার বাসিন্দারা। মাকে বিদায়ের সময় মাকে খাওয়ানো হয় কচু শাক ও পান্তা ভাত।
উমা তাই খেয়ে ২৬ বেয়ারার কাঁধে চেপে প্রায় দুই কিলোমিটার রাস্তা পার করে পৌঁছে যান টাকির রাজবাড়ি ঘাটে। সেখানে দুটি নৌকায় তুলে ইছামতীর বুকে মাকে সাত পাক ঘুরিয়ে বিসর্জন দেওয়া হয়। বিসর্জন পর্ব মিটতেই রাজ বাড়িতে আসা দর্শনার্থী থেকে শুরু করে গ্রামবাসী সকলেই মিলে কচু শাক ও পান্তা ভাতের ভোগ খান। কেন এই রীতি? এই সম্পর্কে জানা যায়, বাপের বাড়ি থেকে দেবী যখন কৈলাসে মহাদেবের কাছে ফিরেছিলেন, তখন মহাদেব তাঁকে জিজ্ঞাসা করেছিলেন বাপের বাড়ি থেকে কী খেয়ে এসেছো? উমা তখন জবাবে বলেছিলেন, ‘পান্তা আর কচু শাক’।
সেই রীতি মেনেই বিসর্জনের পর টাকির পূবের বাড়িতে ৩০০ বছরেরও বেশি সময় ধরে চলে আসছে পান্তা ভাত ও কচু শাকের ভোগের আয়োজন। বসিরহাটের সীমান্ত শহর টাকির অতি প্রাচীন এই পূবের বাড়ির পুজো। টাকির তৎকালীন জমিদার জগদ্বন্ধু রায় চৌধুরি এই পুজোর সূচনা করেন। তারপর ইছামতী দিয়ে অনেক জল বয়ে গেলেও পুজোয় রীতিনীতি কোনও পাল্টায়নি আজও।
Free Access