ad
ad

Breaking News

Sundarban

Sundarban: ভূমিকম্প-সহ ঝঞ্ঝা সামলাতে জাপানি মডেল সুন্দরবনে! বাঁশ-খড়-দড়িতে তৈরি হচ্ছে ঘর

সুন্দরবনে ২০ফুটের উপর তৈরি লোহাবিহীন বাঁশের ঢালাই ঘর। জাপানি প্রযুক্তি কাজে লাগিয়ে অত্যাধুনিক খড়ের ছাউনির ঘর।

Sundarban Japan-Inspired Bamboo Homes Built

চিত্রঃ নিজস্ব

Bangla Jago Desk: প্রায়শই থরহরিকম্প হয়ে ওঠে  জাপান।স্বপ্নের বাড়ি চুরমার করে দেয় ভূমিকম্প।প্রশান্ত মহাসাগরের রিং অব ফায়ার নামে অত্যন্ত সক্রিয় টেকটোনিক জোনে রয়েছে জাপান।যেখানে ৪টি প্রধান টেকটোনিক প্লেট,একে অপরের সঙ্গে মিলিত হয়,ফলে ঘন ঘন কম্পন অনুভূত হয় এই দেশটিতে।অবস্থা বুঝে জাপান একটি কঠোর বিল্ডিং কোড তৈরি করেছে। যেখানে বলা হয়েছে,বাড়িগুলিতে ঐতিহ্যগতভাবে কাঠ ব্যবহার করতে হবে।কারণ কাঠ কংক্রিট বা ইটের চেয়ে নমনীয় এবং হালকা। এটি শক্তিশালী ভূমিকম্পের সময় ধসের সম্ভাবনা কমায়।আর সেই জাপানি মডেল কার্যকর করা হল সুন্দরবনে। বিপর্যয়ের সম্ভাবনার কথা মাথায় রেখে সুন্দরবনে বিকল্প মডেল কাজে লাগানো হচ্ছে (Sundarban)।

আরও পড়ুনঃ Arattai: হোয়াটসঅ্যাপকে টক্কর দেশি অ্যাপ ‘আরাটটাই’-এর! ভারতীয় ইউজারদের ধরে রাখতে AI ফিচার

সুন্দরবনে ২০ফুটের উপর তৈরি লোহাবিহীন বাঁশের ঢালাই ঘর। জাপানি প্রযুক্তি কাজে লাগিয়ে অত্যাধুনিক খড়ের ছাউনির ঘর। বিপর্যয়ের হাত থেকে রক্ষা পেতে বিশেষ প্রযুক্তি ব্যবহার দ্বীপ অঞ্চলে। এটা ঘর নাকি ফ্ল্যাট তা দেখে বোঝার উপায়ই নেই। মাটির তৈরি ঘর শীততাপ নিয়ন্ত্রিত, যা সুন্দরবনের নদী উপকূলবর্তী এলাকার মানুষকে স্বস্তি দেবে বলে আশা। এককথায় প্রাকৃতিক বিপর্যয়ের হাত থেকে রক্ষা পাওয়ার রসদ খুঁজে পাচ্ছেন স্থানীয়রা। বাঁশ, খড় এবং দড়ির ব্যবহারেই তৈরি হয়েছে এই ঘর। ইট এবং সিমেন্ট ব্যবহার করা হলেও রডের ব্যবহার করা হয়নি। বাঁশের উপর সিমেন্ট, বালি, স্টোন দিয়ে ঢালাই যা কমপক্ষে ১০০ বছর এই ঘরটিকে রক্ষা করবে বলে মুক্তি নামে সংস্থার দাবি (Sundarban)।

Bangla Jago fb page: https://www.facebook.com/share/17CxRSHVAJ/

সংস্থার পক্ষ থেকে ঘোষণা করা হয়েছে যে সকল দরিদ্র-অসহায় মানুষ অর্থের অভাবে ঘর করতে পারছেন না তাঁদের জন্যই এই ব্যবস্থা। এলাকার মানুষের জন্য তৈরি হচ্ছে এই অত্যাধুনিক প্রযুক্তির বাড়ি। বিগত দিনের ইয়াস, বুলবুল, আমফান, বা ফনির মতো বিধ্বংসী ঝড়ের তাণ্ডবে যখন স্থানীয়রা আঁতকে উঠেছিলেন তখন প্রশাসনের ঘোষণা মতো লোটা কম্বলবেঁধে পরিবারের লোকজনকে নিয়ে তাঁরা নিরাপদ আশ্রয়ের খোঁজে চলে যান।পরিবেশবাদী সংস্থার   আর্থিক সাহায্যে তাঁদের জন্যই তৈরি হচ্ছে এই অত্যাধুনিক প্রযুক্তির বাড়ি। ইতিমধ্যেই ১০০ এর বেশি ঘর বিভিন্ন এলাকায় তৈরি হয়েছে। যেখানে দুই কামরা থেকে শুরু করে এক কামরা পর্যন্ত ঘর তৈরির ব্যবস্থা হয়েছে (Sundarban)।