ad
ad

Breaking News

Nadia

আত্মহত্যা না খুন? স্কুল শিক্ষকের ঝুলন্ত মৃতদেহ ঘিরে চাঞ্চল্য

এলাকায় এই ঘটনার পর থেকেই আতঙ্ক ও কৌতূহলের পরিবেশ তৈরি হয়েছে। স্থানীয়দের একাংশের মতে, এটি নিছক আত্মহত্যা নয়, এর পেছনে গভীর ষড়যন্ত্র থাকতে পারে।

Suicide or murder? Sensation surrounds hanging body of school teacher

চিত্র : প্রতীকী

Bangla Jago Desk: মাধব দেবনাথ, নদিয়া: নদিয়া জেলার শান্তিপুর থানার অন্তর্গত ফুলিয়া কৃষিপল্লী এলাকায় এক পার্শ্ব শিক্ষকের রহস্যজনক মৃত্যু ঘিরে ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। ওই শিক্ষক, দিলীপ কুমার মন্ডল, স্থানীয় জিএসপি কৃষিপল্লী প্রাইমারি স্কুলে পার্শ্ব শিক্ষক হিসেবে নিযুক্ত ছিলেন। বৃহস্পতিবার তিনি বাড়ি থেকে বেরিয়েছিলেন, কিন্তু এরপর আর ফেরেননি।

পরদিন সকালে স্থানীয় বাসিন্দারা এক জলাশয়ের পাশে গাছে ঝুলন্ত অবস্থায় দিলীপবাবুর রক্তাক্ত দেহ দেখতে পান। তৎক্ষণাৎ খবর দেওয়া হয় পরিবারের লোকজন ও শান্তিপুর থানায়। পুলিশ এসে মৃতদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য রানাঘাট মহকুমা হাসপাতালে পাঠায়।

প্রাথমিকভাবে দেহের অবস্থান ও রক্তাক্ত চিহ্ন দেখে আত্মহত্যার পাশাপাশি খুনের সম্ভাবনাও উড়িয়ে দিচ্ছেন না তদন্তকারী আধিকারিকরা। পুলিশ জানিয়েছে, ময়নাতদন্তের রিপোর্ট না আসা পর্যন্ত কিছু বলা যাচ্ছে না।

মৃত শিক্ষকের দাদা কৃষ্ণকান্ত মন্ডল জানান, দিলীপবাবু শিক্ষকতার পাশাপাশি ছোটখাটো ব্যবসাও করতেন। তবে তিনি এমন কিছু করবেন বলে পরিবার কখনও ভাবেনি। তাঁর কথায়, “ওর কোনও মানসিক সমস্যা ছিল না। কোনও শত্রুও জানা নেই। তাহলে হঠাৎ এমন ঘটনা কেন ঘটল, বুঝতে পারছি না।”

এদিকে এলাকায় এই ঘটনার পর থেকেই আতঙ্ক ও কৌতূহলের পরিবেশ তৈরি হয়েছে। স্থানীয়দের একাংশের মতে, এটি নিছক আত্মহত্যা নয়, এর পেছনে গভীর ষড়যন্ত্র থাকতে পারে। পুলিশ ইতিমধ্যেই মৃতের মোবাইল ফোন ও ব্যক্তিগত যোগাযোগের সূত্র ধরে তদন্ত শুরু করেছে।

এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে ফুলিয়া কৃষিপল্লী জুড়ে তীব্র আলোড়ন সৃষ্টি হয়েছে। স্থানীয় স্কুলের ছাত্রছাত্রী ও সহকর্মীরাও দুঃখ ও অবাক হয়ে পড়েছে এমন একটি মৃত্যুর খবর শুনে। এখন সকলের নজর ময়নাতদন্তের রিপোর্টের দিকে। সেটি হাতে এলেই এই মৃত্যুর প্রকৃত কারণ সম্পর্কে স্পষ্ট ধারণা পাওয়া যাবে বলে মনে করা হচ্ছে। ঘটনার প্রতিটি দিক খতিয়ে দেখছে শান্তিপুর থানার পুলিশ। এখনও পর্যন্ত কাউকে আটক বা গ্রেফতার করা হয়নি, তবে তদন্ত জারি রয়েছে।