নিজস্ব চিত্র
Bangla Jago Desk: চারশ বছরের রীতি মেনে আজও হয়ে চলেছে সুগান্ধার দোল উৎসব।শোনা যায় চিন্তামণি বসুরায় এই দোল উৎসবের সূচনা করেছিলেন বলে। সুগান্ধার বসুরায় পরিবারের দোলবাড়ির নাট মন্দিরে কালাচাঁদ দেব জিউ ও রাধারাণির দোলযাত্রা দেখতে ভোর থেকেই মানুষের ঢল নামে। রাধাকৃষ্ণকে আবির মাখিয়ে দোলবাড়ির সামনে আমজনতার আবির খেলা শুরু হয়। সারাদিন ধরে চলে পুজোপাঠ ,দোলবাড়ির সামনে শুরু হয় আবির খেলা।
দোলের আগের দিন চাঁচড় হয়। সেখানে ন্যাড়াপোড়া করে অশুভ শক্তির নাশ করা হয়। বসুরায় পরিবারের একাধিক নাট মন্দিরে আরও অনেক বিগ্রহ রয়েছে। সারাবছর তাদের নিত্য পুজো হয় সেই সব বিগ্রহের।
[আরও পড়ুন: ১৩ বছরের বৈভবে নজর আইপিএল-দুনিয়ার]
এই দোল উৎসবকে কেন্দ্র করে প্রতিবছর মেলা বসে সুগন্ধা দোলবাড়ি মাঠ ও স্কুল মাঠে। মেলা চলে প্রায় এক সপ্তাহ ধরে। সুগন্ধা গ্রামের প্রতি বাড়িতে আত্মীয়-স্বজন আসে দোলে। বহু মানুষের সমাগম হয় মেলায়। জিলিপি বাদাম ভাজা আর হরেক খেলনার দোকান, মনোহরি থেকে ঘর সাজানোর পসরা নিয়ে বসে দোকানীরা। নাগরদোলা থেকে ছোটোদের মজার রাইড সবই থাকে মেলায়। দিনে দিনে মেলা কলেবরে বেড়েছে অনেকটাই।
দোলবাড়ি মাঠে যাত্রাপালা অনুষ্ঠিত হয় দোলের রাতে, সেই রীতি আজও চলে আসছে। আগে বসুরায় পরিবার মেলা পরিচালনার দায়িত্বে থাকলেও গত কয়েক বছর ধরে সুগন্ধা গ্রাম পঞ্চায়েত মেলা পরিচালনার দায়িত্ব নিয়েছে। পোলবা থানার পুলিশ মোতায়েন থাকে অপ্রীতিকর অবস্থা সামাল দিতে।
দোলবাড়ির পুরোহীতদের দ্বাদশ বংশধর মানস বন্দ্যোপাধ্যায় জানান, “ভোর চারটের সময় মঙ্গল আরতির পর মন্দির থেকে দোল মঞ্চে দোলনায় বসানো হয় কালাচাঁদ রাধারানীকে, আবির দিয়ে দেবদোল হয়। সারাদিন ধরে চলবে দোল উৎসব। রাতে যাত্রা দেখে কালাচাঁদ রাধারানী মন্দিরে ফিরে যাবেন। এই ভাবেই যুগ যুগ ধরে চলে আসছে সুগন্ধার দোল উৎসব।”