চিত্র: সংগৃহীত
Bangla Jago Desk: আমজনতাকে স্বস্তি দিতে রাজ্য সরকার মূল্যনিয়ন্ত্রণে বাড়তি নজর দিচ্ছে। নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসের দাম সহনীয় অবস্থায় রাখার জন্য রাজ্য প্রশাসনের নানা পদক্ষেপ কাজ দিচ্ছে। কেন্দ্রের তথ্য বলছে,জানুয়ারিতে দেশে খুচরো মুদ্রাস্ফীতির হার ছিল ৪.৩১শতাংশ। পশ্চিমবঙ্গে সেই মুদ্রাস্ফীতির হার ৩.৩৮শতাংশের মধ্যে রয়েছে। এই আর্থিক লক্ষ্ণণকে ইতিবাচক বলে মনে করছে অর্থনীতিবিদরা।
দেশজুড়ে মূল্যবৃদ্ধির আঁচের মাঝে পশ্চিমবঙ্গে স্বস্তির সুবাতাস। রাজ্যে জিনিসপত্রের দাম লাগাতার বেড়ে যাওয়ায় প্রশাসন তাতে লাগাম টানার চেষ্টা করে। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশে টাস্ক ফোর্স বাজারে বাজারে নজরদারি বাড়ায়। ফড়েদের মুনাফার কোপ থেকে ক্রেতাদের বাঁচাতে চলে বাজারে হানা।যারজন্য মূল্য নিয়ন্ত্রণে অনেকটাই সফল হয় পশ্চিমবঙ্গ।
শাকসব্জির মতোই চাল-ডাল-ভোজ্য তেলের দামও কিছুটা কমতে দেখা যায়। রিজার্ভ ব্যাঙ্কের মুদ্রানীতি কমিটি দামের ভারসাম্য আনার জন্য নানা প্রয়াস নেয়। কমানো হয় রেপো রেট। রিজার্ভ ব্যাঙ্ক অন্যান্য ব্যাঙ্কের কাছ থেকে যে সুদ নেয়, সেই সুদের হার ২৫বেসিস পয়েন্ট কমানো হয়.বর্তমানে রেপো রেট দাঁড়িয়েছে ৬.২৫শতাংশে। কেন্দ্রীয় সরকারের রিপোর্টে স্পষ্ট, জাতীয় স্তরে মুদ্রাস্ফীতি ওঠাপড়া করলেও বাংলায় মুদ্রাস্ফীতি স্থিতিশীল জায়গায় রয়েছে। উপভোক্তা মূল্য সূচকে দেখা যাচ্ছে, পশ্চিমবঙ্গের মানুষ যথেষ্ট সুরাহার মধ্যে রয়েছে।
অর্থনীতিবিদরা বলছেন,বাজারে জিনিসের মজুদ ও মুদ্রার পরিমাণের মধ্যে ভারসাম্য থাকা দরকার। যদি জিনিসের তুলনায় টাকার জোগান অনেক বেড়ে যায়, তাহলে দেশের কেন্দ্রীয় ব্যাঙ্ক অতিরিক্ত মাত্রায় টাকা ছাপাতে বাধ্য হয়। যারজন্য মুদ্রাস্ফীতি ঘটে।যারজন্য মানুষকে জিনিস কিনতে আগের তুলনায় বেশি টাকা খরচ করতে হয়। ফলে জিনিসের দাম বেড়ে যায়। এই অবস্থায় বাজার অর্থনীতির যুগে বাংলার সরকার বাস্তবমুখী পদক্ষেপ করায় রাজ্যবাসী স্বস্তি পাচ্ছেন বলে অর্থনীতিবিদরা মনে করছেন।