ছবিঃ নিজস্ব
Bangla Jago Desk: ঘরে পানীয় জল পৌঁছে দেওয়ার লক্ষ্যে জোরকদমে কাজ চলছে। চলছে পাইপ লাইন বসানোর কাজ। উত্তর ২৪ পরগনার হাড়োয়ায় এই কাজে প্রতিবন্ধকতা হয়ে দাঁড়িয়েছিল বিদ্যাধরী নদী। অবশেষে সমাধান। নদীর অনেক নীচ দিয়ে অত্যাধুনিক টানেলের মাধ্যমে এক পার থেকে অন্য পারে পৌঁছে দেওয়া হবে পানীয় জল। চলছে বোরিং-এর কাজ।
পরিস্রুত পানীয় জল সাধারণ মানুষের দুয়ারে পৌঁছে দিতে কাজ চলছে জল প্রকল্পের। গোটা রাজ্যজুড়ে এই কাজ চলছে। জোরকদমে প্রকল্পের কাজ চলছে উত্তর ২৪ পরগনা জেলায়। বসিরহাট মহকুমার হাড়োয়া ব্লকে এই কাজ সমস্যা হয়ে দাঁড়িয়েছিল বিদ্যাধরী নদী। হাড়োয়া ব্লক আটটি গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকা নিয়ে গঠিত। মাঝখান দিয়ে বয়ে গিয়েছে বিদ্যাধরী নদী। আর এখানে জল প্রকল্পের কাজ বাস্তবায়িত করতে নানান সমস্যা দেখা দিয়েছিল। বিদ্যাধরী সেতুর ওপর দিয়ে যদি জলের পাইপ নিয়ে যাওয়া হয় সেক্ষেত্রে সেতুকে অতিরিক্ত ভার বহন করতে হবে। যা সেতুর জন্য ঝুঁকিপূর্ণ হবে। কিন্তু সরকারের উদ্যোগে এই সমস্যা এখন সমাধানের পথে। বিদ্যাধরী নদীর ২০ থেকে ৩০ ফুট নিচে দিয়ে প্রায় ৩৮০ মিটার লম্বা পাইপের মাধ্যমে জোড়া হবে হাড়োয়া ব্লকের দুই প্রান্তকে। নদীর অনেক নীচ দিয়ে অত্যাধুনিক টানেলের মাধ্যমে এক পার থেকে অন্য পারে পৌঁছে দেওয়া হবে পানীয় জল। চলছে বোরিংয়ের কাজ। এই কাজ শেষ হলে পানীয় জল পৌঁছে দেওয়া যাবে ঘরে ঘরে। বাধা কাটিয়ে এখন শেষের পথে কাজ। খুশি এলাকার মানুষ। প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, এই জলপ্রকল্পের কাজ শেষ হলে হাড়োয়া ব্লকের প্রায় আড়াই লক্ষ মানুষ উপকৃত হবে। সবাই পাবে পরিস্রুত পানীয় জল।
প্রায় ৪২ ইঞ্চি ব্যাসের টানেল তৈরি হচ্ছে। যে টানেল দিয়ে যাবে মোটা পাইপ। অত্যাধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার করে খোঁড়া হচ্ছে টানেল। নদীর তলদেশে নরম মাটিতে যাতে ধস না নামে, তার জন্য ব্যবহার করা হচ্ছে রাজস্থান থেকে আনা এক ধরনের বিশেষ মাটি। যা টানেলের ভেতরে নরম মাটিকে ধরে রাখছে। প্রতিবন্ধকতা সরিয়ে দ্রুত এই কাজ চলতে থাকায় খুশি হাড়োয়া ব্লকের মানুষ।