নিজস্ব চিত্র
Bangla Jago Desk: জলপাইগুড়ির বানারহাটের লক্ষীপাড়া চা বাগানে রবিবার সকালটা ছিল আবেগঘন এবং মর্যাদাপূর্ণ পরিবেশে ভরপুর। প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী জন বার্লার বাসভবনে আয়োজিত হয়েছিল এক বিশেষ প্রার্থনা সভা, যেখানে তাঁর প্রয়াত স্ত্রী মহিমা বার্লার আত্মার শান্তি কামনায় প্রার্থনা করা হয়। ২৩শে এপ্রিল মহিমা দেবীর প্রয়াণে পরিবার ও পরিজনদের উপর নেমে আসে শোকের ছায়া, সেই শোক ভাগ করে নিতেই হাজির হয়েছিলেন বিভিন্ন স্তরের রাজনৈতিক ও সামাজিক ব্যক্তিত্বরা।
এই দিনে বিশেষভাবে উপস্থিত ছিলেন সিকিমের মুখ্যমন্ত্রী প্রেম সিং তামাং। সঙ্গে ছিলেন দার্জিলিংয়ের সাংসদ রাজু বিস্তা, নাগরাকাটার বিধায়ক পুনা ভেঙরা সহ অন্যান্য বিশিষ্টজনেরা। যদিও জন বার্লার বর্তমান রাজনৈতিক অবস্থান বিজেপি থেকে কিছুটা দূরত্বে, তবুও এদিন তার প্রতি ব্যক্তিগত শ্রদ্ধা ও ভালোবাসা জানাতে হাজির হন বিজেপির সাংসদ এবং বিধায়করাও। রাজনৈতিক সীমারেখা ছাড়িয়ে, এই উপস্থিতি যেন মানুষের মানবিক সম্পর্কের, পারিবারিক বন্ধনের এবং শ্রদ্ধার এক অনন্য নিদর্শন।
প্রার্থনা সভায় ছিল এক আবেগঘন পরিবেশ। অতিথিরা প্রাক্তন মন্ত্রীর পাশে দাঁড়িয়ে তাঁকে ও তাঁর পরিবারকে মানসিক সমর্থন জুগিয়েছেন। জন বার্লা জানান, “সবাই আমার বন্ধু, ভাইয়ের মতো। এই কঠিন সময়ে যারা আমার পাশে এসে দাঁড়িয়েছে, তাদের প্রতি আমি কৃতজ্ঞ। এভাবে পাশে থাকলে মন কিছুটা শান্তি পায়।”
রাজু বিস্তা বলেন, “জন দা আমার কাছে শুধুই একজন রাজনীতিক নন, তিনি আমার বড় দাদার মতো। তাঁর স্ত্রীর প্রয়াণে আমরা গভীর শোকাহত। এই মুহূর্তে আমাদের কর্তব্য শুধু রাজনৈতিক নয়, বরং মানবিক।”
[আরও পড়ুন: ভারত পাকিস্তানের যুদ্ধের আবহে এপাড় বাংলা ও ওপার বাংলার সীমান্তে সম্প্রীতির বার্তা]
এই সফরে উপস্থিত থেকেও সিকিমের মুখ্যমন্ত্রী প্রেম সিং তামাং সাংবাদিকদের সামনে কোনও মন্তব্য করেননি। তবে তাঁর উপস্থিতি নিজেই যথেষ্ট বার্তা বহন করে — ব্যক্তিগত সম্পর্ক এবং সহানুভূতির গুরুত্ব রাজনীতির গণ্ডির চেয়েও বড়।
এই ধরনের ঘটনা সমাজে বারবার মনে করিয়ে দেয়, রাজনৈতিক ভিন্নমত থাকলেও ব্যক্তিগত সম্পর্ক ও সহানুভূতি এক অভিন্ন মানবিক সেতু। জন বার্লার বাড়িতে রবিবারের এই প্রার্থনা সভা ছিল তারই এক নিদর্শন — যেখানে শোক ভাগ করে নেওয়া হয়, আর সম্পর্কের গভীরতা নতুন করে অনুভব করা যায়।