Bangla Jago Desk: কলকাতার মেডিক্যাল কলেজের মতোই উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজেরও নিরাপত্তা ব্যবস্থা ঢেলে সাজানো হচ্ছে। বসতে চলেছে ২৮টি নতুন হাইসিকিউরিটি ডোর। নতুন আরও ৪১টি সিসিটিভি বসানো হবে।দুধাপে ২১০টি নজরদারি ক্যামেরা কাজ করছে। মোতায়েন করা হচ্ছে অতিরিক্ত ৬০ জন রক্ষী।চিকিত্সকদের সুরক্ষা বলয়ে রাখার চেষ্টায় প্রশাসন।
আরজিকরের ঘটনার পর সারা রাজ্যের হাসপাতালের নিরাপত্তায় বাড়তি নজর দিয়েছে বাংলার সরকার।বরাদ্দ করা হয়েছে ১১৩ কোটি টাকা।মূলতঃ সিসিটিভি ক্যামেরার সংখ্যা বাড়ানো,চেঞ্জিং রুম,আলোর ব্যবস্থা করার কাজ চলছে জোরকদমে। সুপ্রিমকোর্টেও রাজ্য সরকার জানিয়েছে,চিকিত্সক,স্বাস্থ্যকর্মী-নার্সদের নিরাপত্তায় অগ্রাধিকার দেওয়া হচ্ছে। সেইমতো কলকাতার মেডিক্যাল কলেজও হাসপাতালের মতোই উত্তরবঙ্গের মেডিক্যাল কলেজের নিরাপত্তা আঁটোসাটো করার কাজ জোরদার হল। সেইমতো ২৮টি নতুন অত্যাধুনিক হাই সিকিউরিটি ডোর বসতে চলেছে।
মেডিক্যালের বিভিন্ন বিভাগের চিকিৎসকদের রেস্ট রুমগুলিতে এই অত্যাধুনিক ডোর বসানো হবে। দরজার বাইরে থাকবে ‘ফিঙ্গার প্রিন্ট মেশিন’।সেই মেশিনে চিকিৎসকদের হাতের ছাপ দিলে তবেই খুলবে দরজা।এছাড়াও নতুন করে আরও ৪১টি সিসিটিভি ক্যামেরা মেডিক্যাল কলেজ চত্বরে লাগানো হচ্ছে। এ বিষয়ে উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালের সুপার সঞ্জয় মল্লিক বলেন মেডিক্যালের ৪৪টি রেস্ট রুম নতুন করে সংস্কার করা হয়েছে। প্রথম দফায় ২৮টি ‘হাই সিকিউরিটি ডোর’ লাগানোর কাজ শুরু করা হয়েছে।নতুন করে আরও ৪১টি সিসিটিভি লাগানোর কাজ হবে। ৬০ জন অতিরিক্ত নিরাপত্তা কর্মী মোতায়েনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
এছাড়াও নজরদারি বাড়াতে ক্যাম্পাসজুড়ে পুলিশি টহলদারি বাড়ানো হয়েছে। অপরদিকে এই বিষয়ে জুনিয়র চিকিৎসকরা জানিয়েছেন সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ মেনে উত্তরবঙ্গ মেডিকেল কলেজে হাসপাতালে সেফটি ও সিকিউরিটির যে বিষয়গুলি ছিল তা অনেকটাই হয়েছে। আমরা ভেবেছিলাম যে পুরুষদের জন্য আলাদা সিকিউরিটি ও ফিমেলদের জন্য আলাদা সিকিউরিটি থাকবে, সেটা এখনো পর্যন্ত হয়নি যদিও কিছুটা হলে আমরা আশ্বাস পেয়েছি উদ্বোধন কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে। তারা আশ্বাস দিয়েছে যে সেই সমস্ত আস্তে আস্তে সব কিছু করা হবে।
‘প্রথম দফায় ২৮টি ‘হাই সিকিউরিটি ডোর’ লাগানোর কাজ শুরু হয়েছে। দুই ধাপে ২১০টি সিসিটিভি বসানো হবে। নতুন করে আরও ৪১টি সিসিটিভি লাগানো হবে। ৬০ জন অতিরিক্ত বেসরকারি নিরাপত্তা কর্মী মোতায়েন করা হয়েছে। এর আগে নিরাপত্তা কর্মীর সংখ্যা ছিল ৮০।’সবমিলিয়ে বলা যায়,উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজ এখন কড়া নিরাপত্তার ঘেরাটোপে রয়েছে।যারজন্য চিকিত্সকদের মতোই রোগীরাও আশ্বস্ত বোধ করছে।