চিত্র: সংগৃহীত
Bangla Jago Desk: আরজি কর হাসপাতালের ঘটনার পর, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় গত ৯ সেপ্টেম্বর একটি গুরুত্বপূর্ণ ঘোষণা করেছিলেন। তিনি প্রতিশ্রুতি দেন যে, রাজ্যের সরকারি হাসপাতালগুলির রোগী কল্যাণ সমিতিতে আর কোনও রাজনৈতিক নেতা শীর্ষ পদে থাকবেন না। সেই সমিতির চেয়ারম্যান হিসেবে হাসপাতালের সুপার বা অধ্যক্ষই দায়িত্ব নেবেন।
সেই কথামতো রাজ্য সরকার মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালগুলির পরিচালন ব্যবস্থায় বড়সড় রদবদল এনেছে। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে স্বচ্ছতা ও প্রশাসনিক দক্ষতা বাড়ানোর উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। এর অংশ হিসেবে রাজ্যের সব মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের রোগী কল্যাণ সমিতি পুনর্গঠন করা হয়েছে।
রাজ্যের স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ দপ্তর নতুন রোগী কল্যাণ সমিতির চেয়ারম্যানদের নাম ঘোষণা করেছে। প্রতিটি মেডিক্যাল কলেজে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে গুরুত্বপূর্ণ জনপ্রতিনিধিদের।
উদাহরণ হিসেবে, আরজি কর হাসপাতালে সাম্প্রতিক খুন ও ধর্ষণের ঘটনার পরে শান্তনু সেনকে সরিয়ে সেখানে রোগী কল্যাণ সমিতির নতুন সদস্য হিসেবে আনা হয়েছে কলকাতার ডেপুটি মেয়র অতীন ঘোষকে। মানিকতলা থেকে নবনির্বাচিত বিধায়ক সুপ্তি পান্ডেকে এনআরএস হাসপাতালের রোগী কল্যাণ সমিতির সদস্য করা হয়েছে।
একইভাবে, এসএসকেএম হাসপাতালের রোগী কল্যাণ সমিতির চেয়ারম্যান পদ থেকে অরূপ বিশ্বাসকে সরিয়ে তাঁকে সাধারণ সদস্য করা হয়েছে।
কলকাতার মেডিক্যাল কলেজগুলিতে চেয়ারম্যানদের তালিকা:
আরজিকর হাসপাতাল: অতীন ঘোষ
এসএসকেএম হাসপাতাল: অরূপ বিশ্বাস
নীলরতন সরকার মেডিক্যাল কলেজ: সুপ্তি পাণ্ডে
চিত্তরঞ্জন সেবা সদন: সুব্রত বক্সি
কলকাতা মেডিক্যাল কলেজ: শশী পাঁজা
ন্যাশনাল মেডিক্যাল কলেজ: জাভেদ খান
জেলার মেডিক্যাল কলেজগুলিতে চেয়ারম্যানদের তালিকা:
উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজ: গৌতম দেব
মালদা মেডিক্যাল কলেজ: কৃষ্ণেন্দু নারায়ণ চৌধুরী
কল্যাণী জওহরলাল নেহরু মেডিক্যাল কলেজ: মহুয়া মৈত্র
উলুবেড়িয়া শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় মেডিক্যাল কলেজ: পুলক রায়
সাগরদত্ত মেডিক্যাল কলেজ: মদন মিত্র
এখানে দেখুন পূর্ণাঙ্গ তালিকা:
মেডিক্যাল কলেজের রোগী কল্যাণ সমিতি পুনর্গঠন, দেখে নিন পূর্ণাঙ্গ তালিকা pic.twitter.com/iDGrmOfOIx
— Bangla Jago Tv (@BanglaJagotv) December 2, 2024
রাজ্যের এই উদ্যোগের ফলে হাসপাতালগুলিতে রোগীদের সুবিধা ও পরিষেবার মান উন্নত হবে বলে আশা করা হচ্ছে। জুনিয়র ডাক্তারদের দাবির প্রেক্ষিতে এই পরিবর্তন রাজ্যের স্বাস্থ্য ব্যবস্থায় নতুন দিশা দেখাবে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।