ad
ad

Breaking News

Weather Hamper

 Weather Hamper: জালে ইলিশ-এর রেকর্ড! বাধ সাধলো দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়া

আর তাই মৎস্যজীবীদের ট্রলার সুন্দরবন উপকূলের বিভিন্ন ঘাট গুলিতে ভিড়েছে।

weather hamper record number of hilsa caught in nets bad catch

চিত্রঃ নিজস্ব গ্রাফিক্স

Truth of Bengal: রেবতি মালি, দক্ষিণ ২৪ পরগনা:  সুন্দরবন এলাকায় আগামী কয়েকদিন ঝড়-বৃষ্টির দাপট বেশি থাকবে। আবহাওয়া দফতরের পূর্বাভাস এমনটাই। নিম্নচাপের সতর্কবার্তা পেয়ে গভীর সমুদ্রে মাছ ধরতে যাওয়া ট্রলার গুলি ফিরে এসেছে উপকূলে (Weather Hamper)। আবহাওয়া দফতরের কঠোর নিষেধাজ্ঞা, আবহাওয়ার পরিবর্তন না হওয়া পর্যন্ত সমুদ্রে মাছ ধরতে যেতে পারবেন না মৎস্যজীবীরা।

ঘণ্টায় ৩০ থেকে ৪০ কিমি বেগে দমকা হাওয়া, সঙ্গে জলোচ্ছ্বাস হতে পারে নদী ও সমুদ্রে। আর তাই মৎস্যজীবীদের ট্রলার সুন্দরবন উপকূলের বিভিন্ন ঘাট গুলিতে ভিড়েছে (Weather Hamper)। ট্রলার ভর্তি করে তারা নিয়ে এসেছেন সমুদ্রের রূপোলি শস্য। বাঙালির সাধের ইলিশ। এ বছর মৎস্যজীবীদের জালে ধরা পড়েছে প্রত্যাশার থেকেও বেশি। যখন মৎস্যজীবীরা আরও ইলিশ পাওয়ার স্বপ্নে বিভোর ছিলেন ঠিক সেই সময় দুর্যোগের ঘনঘটা। স্বাভাবিকভাবেই হতাশ মৎস্যজীবীরা। তবে মাত্র কয়েক দিনের সমুদ্র সফর থেকেই মৎস্যজীবীরা নিয়ে এসেছেন কয়েকটন ইলিশ। মাত্র দু’দিনের মধ্যেই বাজারে এসেছে প্রায় ২০০ টন ইলিশ। সুন্দরবনের নামখানা, কাকদ্বীপ, পাথরপ্রতিমা, সাগরের ঘাটে ফিরে এসেছে এইসব ট্রলার। দু’মাসের নিষেধাজ্ঞা কাটিয়ে ইলিশ ধরার জন্য গত ১৪ জুন প্রায় দু’হাজার ট্রলার সমুদ্রে পাড়ি দিয়েছিল।

[আরও পড়ুনঃ Political Vindication: “হেরে গিয়ে টাকা আটকে দিয়েছিল”, আদালতে ‘জয়’-এর পর বক্তব্য অভিষেকের]

মৎস্যজীবী সংগঠন সূত্রে জানা গিয়েছে, সোমবার রাত পর্যন্ত প্রায় ৫০ টন ইলিশ বাজারে এসেছিল। এরপর বুধবার গভীর রাত থেকে বহু ট্রলার নামখানা, ফ্রেজারগঞ্জ, কাকদ্বীপ, পাথরপ্রতিমা ও রায়দিঘির খেয়াঘাট গুলিতে আসতে থাকে। প্রায় ২০০টি ট্রলার সমুদ্র থেকে মাছ ধরে নিয়ে উপকূলে ফিরে এসেছে। কাকদ্বীপ ফিশারম্যান ওয়েলফেয়ার অ্যসোসিয়েশনের সম্পাদক বিজন মাইতি বলেন, গত চার বছর ধরে সেভাবে ইলিশের দেখা মেলেনি। মৎস্যজীবীরা আর্থিক ক্ষতির মুখে পড়েছিলেন। কিন্তু ২০২৫ সালের মরশুমের প্রথমেই ভাল ইলিশের দেখা মিলছে। মৎস্যজীবীরাও খুব খুশি।

[লিঙ্কঃ https://www.facebook.com/Banglajagotvofficial/

 দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়ার কারণে মৎস্যজীবীরা মাঝপথে উপকূলে ফিরে এলেও আবহাওয়ার উন্নতি হলে ফের তারা মাছ ধরতে রওনা দেবেন। খুশির খবর, মৌসুমি বায়ু ঢুকে গিয়েছে বঙ্গে। বৃষ্টি বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে সমুদ্রের জলের নোনা ভাব আরও কেটে যাবে। তারপর আরও বেশি পরিমাণে ইলিশ মিলবে বলে মনে করছেন মৎস্যজীবীরা (Weather Hamper)। এ বছর মরশুমের শুরুতেই সমুদ্রে ইলিশের দেখা মিলেছে। সেই পরিমাণটা আরও বাড়বে বলে প্রত্যাশা করছেন তাঁরা। দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়ার কারণে শুরুতেই কিছুটা ধাক্কা খেলেও তা পরে সুদে আসলে মিটে যাবে বলে আশা তাঁদের।