ad
ad

Breaking News

Chandananagar

চন্দননগরের মতিচুর সন্দেশের নামকরণ করেন স্বয়ং রবি ঠাকুর! জানেন কি সেই ইতিহাস?

কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর নিজের জীবনকালে বেশ কিছুটা সময় কাটিয়ে গিয়েছিলেন হুগলির চন্দননগরে।

চিত্রঃ নিজস্ব

Bangla Jago Desk:রাকেশ চক্রবর্তী, হুগলি: ২৫ বৈশাখ কবিগুরুর জন্মদিন। ১৬৪ বর্ষ জন্মদিবসে কবি গুরুকে শ্রদ্ধার্ঘ্য জানাচ্ছে গোটা বাংলা। আর বাঙালির রীতি শুভ কাজে মিষ্টিমুখ করা। কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরও একজন মিষ্টি প্রেমী ছিলেন। হুগলির চন্দননগরে এসে মিষ্টি খেয়ে সেই মিষ্টির নামকরণ তিনি নিজেই করেছিলেন।   

কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর নিজের জীবনকালে বেশ কিছুটা সময় কাটিয়ে গিয়েছিলেন হুগলির চন্দননগরে। চন্দননগরের পাতাল বাড়িতে বসে তিনি তার অনেক উপন্যাস ও রচনা করেছেন। বউ ঠাকুরানীর হাট উপন্যাস তিনি রচনা করেছিলেন পাতাল বাড়িতে বসেই। সেই সময়তেই চন্দননগরের একটি প্রসিদ্ধ মিষ্টান্ন দোকানের মিষ্টি আসতো তার কাছে।

কথিত ইতিহাস অনুযায়ী চন্দননগরের সূর্য মোদক এর মিষ্টি ছিল তাঁর খুব প্রিয়। এক বিশেষ সন্দেশ যার নাম মতিচুর সন্দেশ তার নামকরণ করেছিলেন স্বয়ং রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর। নামকরণের তাৎপর্য রয়েছে বিশেষ এই সন্দেশ হাতে নিলেই তা মুক্তোর মতন চূর্ণ হয়ে যায়। সেই থেকেই কবিগুরু নাম দিয়েছিলেন এই সন্দেশের মতিচুর সন্দেশ। 

অতীতের সেই সময় থেকেই এখনো পর্যন্ত ইতিহাসের সাক্ষ্য বহন করে নিয়ে আসছে চন্দননগরের সূর্য মোদকের মতিচুর সন্দেশ। পাঁচ প্রজন্ম পেরিয়ে দোকানের বর্তমান প্রজন্ম এখনো পর্যন্ত ধরে রেখেছে সেই মিষ্টির ঐতিহ্য। পুরাতন প্রথা মেনেই এখনো দুধ ক্ষীর দিয়ে তৈরি হয় এই মতিচুর সন্দেশ।

দোকানের বর্তমান মালিক ভাগ্যশ্রী মোদক তিনি বলেন, কথিত ইতিহাস তিনি শুনে এসেছেন রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর নিজে তিনি এই মতিচুর সন্দেশ কে বলেছিলেন সন্দেশ মুখের দিকে যতক্ষণ চেমানো যায় ততক্ষণই তার স্বাদ মিষ্টি থাকে। এবং তা হাতে নিলেই একেবারেই গুড়ো হয়ে যায়। যা দেখলে মনে হয় একটি মুক্তকে যদি গুঁড়ো করা হয় বা চূর্ণ করা হয় তা যেমন হয় ঠিক তেমনি দেখতে সেই থেকেই কবিগুরু নাম দিয়েছিলেন এই সন্দেশের মতিচুর সন্দেশ।