চিত্র: সংগৃহীত
Bangla Jago Desk: ‘ধর্ষণ’, বর্তমান সভ্য সমাজে একটা নিত্য ব্যবহৃত শব্দ হয়ে দাঁড়িয়েছে (Rape Threats)। প্রতিদিন খবরের শিরনামে ফুটে উঠছে নৃশংসতা, ভয়াবহতার ছবি। কোথাও কেউ ধর্ষিত হচ্ছে তো কোথাও কেউ ধর্ষণের হুমকি পাচ্ছে যে। এবার ধর্ষণ-খুনের হুমকি পেলেন চিপস কাণ্ডে মৃত কিশোরের মা ও দিদি। চিপিস কুড়িয়ে চুরির অভিযোগে অপমানিত হতে হয়েছিল, তার ফলস্বরূপ চিঠি লিখে আত্মহত্যা করেছিল পাঁশকুড়ার কিশোর। চিঠিতে লিখেছিল, ‘মা, আমি চুরি করিনি’।
[আরও পড়ুন: Kasba Gangrape Case: জনস্বার্থ মামলায় যুক্ত হওয়ার আবেদন নির্যাতিতার পরিবারের]
পাঁশকুড়া থানায় মৃত কিশোরের মা অভিযোগ করেছেন, অভিযুক্ত সিভিক ভলেন্টিয়ারের বিরুদ্ধে দায়ের হওয়া মামলা তুলে নেওয়ার জন্য তাঁদেরকে হুমকি দেওয়া হচ্ছে। আইসি-র উদ্দেশে লেখা অভিযোগপত্রে মৃতের মা বলেছেন, অভিযুক্তকে গ্রেফতার করার পর থেকেই কয়েক জন পুলিশকর্মী তাঁকে ও তাঁর মেয়েকে হুমকি দিচ্ছেন। সেখানে কয়েক জনের নামও উল্লেখ রয়েছে। অভিযোগপত্রে রয়েছে, ”আমার বাড়িতে এসে চড়াও হয়। আমাকে কেস তুলে নেওয়ার জন্য চাপ সৃষ্টি করে। আমাকে প্রাণে মেরে ফেলার হুমকি দেওয়া হয়। আমার ছেলের মতো আমার মেয়ের অবস্থা করে দেবে বলে। আমাকে আর আমার মেয়েকে ধর্ষণ করে মেরে দেবে বলে (Rape Threats)।” পুলিশ সূত্রে জানানো হয়েছে, ইথিমধ্যে লিখিত অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত শুরু করা হয়েছে।
FB POST: https://www.facebook.com/share/p/1CKRGEggRz/
চলতি বছরের ১৮ মে পাঁশকুড়ার গোঁসাইবেড়-এ শুভঙ্কর দীক্ষিতের (সিভিক ভলেন্টিয়ার) মিষ্টির দোকানের সামনে থেকে চিপ্সের প্যাকেট কুড়িয়ে পায় সপ্তম শ্রেণির ছাত্র কৃষ্ণেন্দু দাস। কিন্তু অভিযোগ করা সে নাকি চুরি করেছে, তবে এই অভিযোগ কত বড় মিথ্যা তা প্রমাণ করে দিয়েছে সিসিটিভি ফুটেজ। চিপস নিয়ে যাচ্ছে দেখে বাইকে চেপে কিশোরের পিছু নিয়ে তাকে অনেক অপমান করে শুভঙ্কর, এমনই অভিযোগ। অপমানিত হয়ে কিশোর বাড়িতে থাকা কীটনাশক খেয়েছে বলে পরিবারের দাবি। প্রায় চার দিন চিকিৎসা চলার পর মৃত্যু হয় তার।