নিজস্ব চিত্র
Bangla Jago Desk:তরুণ মুখোপাধ্যায়, হুগলি: হুগলির সাংসদ রচনা বন্দ্যোপাধ্যায় বৃহস্পতিবার তাঁর নির্বাচন ক্ষেত্র হুগলির পাণ্ডুয়ায় এসে রামধনু রঙে রঙিন হলেন। কিছুদিন আগে হুগলির ত্রিবেণীর সঙ্গমে এসে সবুজ শাড়ি পড়ে স্নান করেছিলেন।তারও কিছুদিন আগে প্রয়াগরাজের কুম্ভে গিয়ে গেরুয়া শাড়ি পড়েছিলেন।তাঁকে এই রঙ সম্বন্ধে জিজ্ঞাসা করা হলে তিনি বলেছিলেন,‘আমি কালার থেরাপি করি।’ দোলের আগের দিন ফের নিজের সংসদীয় এলাকায় এলেন অভিনেত্রী-সাংসদ।বৃহস্পতিবার পাণ্ডুয়ার ভিটামিন গ্রামে গিয়ে সেখানকার মানুষদের সঙ্গে বসন্ত উৎসবে যোগ দেন রচনা। এদিন তাঁর পোশাক ছিল ছাই রঙের শাড়ি, তার উপর বাসন্তী সবুজ রঙের কাজ।তিনি ভিটামিন গ্রামে এসে মেতে উঠলেন ছোটদের সঙ্গে আবির খেলায়।
এদিন, সাংবাদিকদের কাছে নিজেক সংসদীয় এলাকার উন্নয়নের কথা বলতে গিয়ে রচনা বলেন, পাণ্ডুয়ায় যে হাসপাতালটি আছে, সেই হাসপাতালের শয্যা বাড়ানোর বিষয়টা যেমন তাঁর মাথায় রয়েছে, তার সঙ্গে সঙ্গে এলাকার সামগ্রিক উন্নয়নের জন্য তিনি বিশেষ নজর দেবেন।পাশাপাশি বলাগরের ভয়াবহ গঙ্গার ভাঙন অব্যাহত। সেই নিয়ে কেন্দ্রের সংশ্লিষ্ট দফতরের মন্ত্রীকে চিঠি দিয়েছেন বলে জানালেন হুগলির সাংসদ। রচনা বন্দ্যোপাধ্যায় এই বিষয়ে রীতিমতো সোচ্চার হয়েছিলেন লোকসভায়। এরপর বলাগড়ের ভাঙন পরিদর্শনেসংশ্লিষ্ট দফতরের তিনজন আধিকারিক।রচনা বলেন,‘আমি চেষ্টা করছি যাতে এখানকার এই ভয়ঙ্কর সমস্যা মানুষ মুক্তি পেতে পারে।আমি আমার চেষ্টা চালিয়ে যাব। আমি বরাবরই আশাবাদী, এবারও আমি আশা রাখি, কাজ হবে।’
আরও পড়ুনঃ আইপিএল শুরুর আগেই সক্রিয় কালোবাজারিরা, লাখ টাকা ছাড়াল টিকিট মূল্য
এর সঙ্গে সঙ্গে তিনি হুগলির সঙ্গে হাওড়ার মেট্রো রেলের সংযোগ করার ব্যাপারেও কেন্দ্রীয় রেল দফতরে চিঠি দিয়েছিলেন। সে বিষয়ে বলতে গিয়ে রচনা জানান,‘এটা একটা অনেক বড় কাজ। এক্ষেত্রেও আমি আশা রাখি এই বিশাল প্রকল্পের কাজ হবে এবং হুগলির বিশাল অংশের মানুষ মেট্রোরেলের পরিষেবা পাবেন।’ পাশাপাশি তিনি বলেন,‘এই সময় উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষা চলছে, আমরা খুব সতর্কতার সঙ্গে এই উৎসব পালন করব।উচ্চস্বরে লাউড স্পিকার যাতে বাজানো না হয় সে ব্যাপারটা আমাদের দেখতে হবে। তবে হোলি বছরে একবার আসে এবং এর আনন্দ সবাই ভাগ করে নিতে চায়।আমি আশা করব, যারা পরীক্ষা দিচ্ছে তারা ভালভাবে পরীক্ষা দিয়ে সমাজে প্রতিষ্ঠিত হবে।আমি এর জন্য সমস্ত উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষার্থীদের আমার পক্ষ থেকে শুভেচ্ছা জানাচ্ছি।’
এদিন রচনা ছোটদের সঙ্গে দোল খেলার মেতে ওঠেন। ছোটদের যেমন আবির মাখিয়েছেন,তেমন-ইতিনি নিজেও আবির মাখেন এবং ছোট ছোট বাচ্চাদের হাতে রঙ-আবির-পিচকারি তুলে দেন।