Bnagla Jago Desk: বাংলার সম্পদ রক্ষায় বাংলা জাগোর ক্যামেরা পৌঁছে যায় নদীর পারে।দেখা যায়,দেদার বালি চুরি হচ্ছে বোলপুরে। বালি পাচারের ডেরায় পৌঁছে গিয়ে আমরাই প্রথম খবর করি । এরপরই বেআইনি বালিঘাট খুঁজে বের করে পুলিশ শুরু করে ধরপাকড়। বোলপুরের অজয়ের চরে যাঁরা মূল্যবান বালি হাতাচ্ছিল তাঁদের গতবিধিতে নজর রাখতে সর্বক্ষণ মোতায়েন করা হয়েছে পুলিশ।
বাড়ি নির্মাণের জন্য লাগে বালি।তাই কিছু অসাধু চক্র সেই বালি লুঠ করে লাভের গুড় খাওয়ার চেষ্টা করে। আসলে বাংলার সম্পদকে চোরাচক্র মুনাফার রসদ হিসেবে বেছে নেয়।এই ধরণের ঝোঁক দেখে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় রাজ্যে বেআইনি কারবার বন্ধে পুলিশ-প্রশাসনকে কঠোর হওয়ার বার্তা দেন। তবুও দেখা যায়,পুলিশের নজরের ফাঁক দিয়ে বীরভূমে চলছে অবৈধভাবে বালি পাচার চলছে। বালি ভর্তি করে ছুটছে ডাম্পার। অধিকাংশ ক্ষেত্রেই প্রশাসনের নিয়ম লঙ্ঘন করা হচ্ছে বলে অভিযোগ। বীরভূমের অজয়, ময়ূরাক্ষী, কোপাই নদী থেকে অবৈধ ভাবে বালি চুরির অভিযোগ আবারও সামনে আসছে। রাজস্ব ফাঁকি দিয়ে অবৈধভাবে বালি পাচারের সেই কারবার বাংলা জাগোর প্রতিবেদনে সবার আগে আমরাই তুলে ধরেছিলাম।
প্রকাশ্যে সেই ছবি দেখার পর বসে থাকেনি পুলিশ- প্রশাসন। গ্রাউন্ড জিরোয় গিয়ে বেআইনি কারবার রোখার কাজ করে। কোথায় গলদ,কারা ফন্দি করে বালি লুঠ করছে তার অ্যাকশন শুরু করে বোলপুর থানার পুলিশ।মূল্যবান সম্পদ চুরি রুখতে ঘাটে ঘাটে মোতায়েন করা হয়েছে পুলিশ,বেড়েছে নজরদারি। বোলপুর থানার পুলিশের কঠোর পদক্ষেপের জেরে বন্ধ হল বালি লুঠের কারবার।
বোলপুর থানার আইসি লিটন হালদারের নেতৃত্বে অভিযান। যাতে কোনভাবেই পুলিশের চোখকে ফাঁকি দিয়ে বালি পাচার না করতে পারে সেজন্য বাংলা জাগোর খবরের জেরে অবৈধ বালি ঘাটের মাথায় মাথায় বসানো হয়েছে পুলিশ কর্মকর্তাদের। শুক্রবার থেকেই এই পদক্ষেপ নিয়েছে বোলপুর থানার পুলিশ। শনিবার বোলপুর থানার আইসি লিটন হালদারের নেতৃত্বে পুলিশ বাহিনী বোলপুর থানা এলাকায় প্রত্যেকটি অবৈধ বালিঘাট চিহ্নিত করে অভিযান করেন। এভাবেই বাংলার সম্পদ রক্ষায় বাংলার পুলিশ-প্রশাসন যে নজরদারির বাঁধন শক্ত করছে তা এই ছবিটাই বলে দিচ্ছে,,