ad
ad

Breaking News

Hoogly

সতর্কবার্তাকে উপেক্ষা করে গঙ্গায় নামছে মানুষ! কোন্নগর গঙ্গায় বাড়ছে বিপদ

তবে এই মন্দির জনপ্রিয় হলেও এই মন্দিরের ঘাট স্নান করার জন্য কিন্তু অত্যন্ত বিপদজনক।

People are entering the Ganga ignoring warnings! Danger is increasing in the Konnagar Ganga

চিত্রঃ নিজস্ব

Bangla Jago Desk:রাকেশ চক্রবর্তী, হুগলি: হুগলির কোন্নগরের বারো মন্দির ঘাট। গঙ্গা তীরবর্তী এই বারোমন্দির স্থানীয় মানুষদের কাছে অত্যন্ত জনপ্রিয়। তবে এই মন্দির জনপ্রিয় হলেও এই মন্দিরের ঘাট স্নান করার জন্য কিন্তু অত্যন্ত বিপদজনক। কারণ এই নদীর ঘাটেই রয়েছে এক লুকোনো গহ্বর। যে গহ্বররে একবার পড়লে ভবলিলা সঙ্গো। দু’এক বছর নয় বরং কয়েকশো বছর ধরে এভাবেই বিপদজনক অবস্থায় রয়েছে এই নদীর ঘাটটি। বিপদজনক এর সতর্কবার্তা ও রয়েছে গেটের বাইরে ঘাটের সামনে বড় বড় করে লেখা। তবুও সতর্কবার্তাকে উপেক্ষা করে মানুষজন গঙ্গায় নামছে আর তাতেই বাড়ছে বিপদ।    

গেটের বাইরে কোন্নগর পৌরসভা কর্তৃক এক সতর্ক বার্তা প্রদান করা রয়েছে যেখানে স্পষ্টভাবে লেখা রয়েছে এই গঙ্গার ঘাটে একটি দহ রয়েছে। যারা স্নান করতে নামবেন তারা সাবধানে স্নান করবেন। কী এই দহ! কেনই বা এটি বিপদজনক? এ বিষয়ে কথা বলতে আমরা এলাকার সাধারণ মানুষের কাছে পৌছাই। এলাকার মানুষের সাথে কথা বলে জানা যায়, প্রায় কয়েকশো বছর ধরেই প্রজন্মের পর প্রজন্ম তারাই দহ্য়ের গল্প শুনে এসেছেন তাদের পরিবারের মুখেই। এই দহ হল নদীর মধ্যে থাকা এক বিশাল গর্ত। যে গর্তের মধ্যে অনবরত পাক খেয়ে চলেছে নদীর জল। মূলত ভাটার সময় এই দহ আরো বিপজ্জনক হয়ে ওঠে। একবার এই দহ এর মধ্যে পড়লে সাক্ষাৎ যমরাজের হাতছানি।  

এবিষয়ে স্থানীয় এক বাসিন্দা বাবু দাস বলেন, বারো মন্দির ঘাটে এই দহ রয়েছে ঘাটের সিঁড়ি শেষ হওয়ার কিছুটা পরেই। বাইরে থেকে দেখলে কখনো কখনো বোঝা যায় যে ওই জায়গায় অনবরত ঘুরপাক খেয়ে চলেছে জল। জলের এই স্রোতের টান এতটাই হয় যে ওই গর্তের আশেপাশে কেউ থাকলে তাকে জলের স্রোতে টেনে নামিয়ে নেয় গর্তের মধ্যে। ভালো ভালো সাঁতার জানা সাঁতারুদেরও হিমশিম খেতে হয় এই দহের মধ্যে পড়লে। মানুষজন অসতর্কভাবে গঙ্গায় স্নান করতে নেমে পড়ে আর তাতেই বেড়ে চলে বিপদ।

প্রশাসনের তরফ থেকে বিপদজনক দহ থাকার দরুন ওই গঙ্গার ঘাটে বিশেষ পুজার দিনে স্নান করা নিষিদ্ধ করা হয়েছে। তবে প্রশাসনের সতর্কবার্তা কে উপেক্ষা করে মানুষজন নেমে পড়েন গঙ্গায়। আর যাদের ভাগ্য খারাপ থাকে তারাই গিয়ে পড়েন সেই বিশাল জলের তলায় থাকা গহ্বর অর্থাৎ দহ্য়ের কবলে। আর একবার যারা এর কবলে পড়েছেন তাদের নব্বই শতাংশ মানুষেরই মৃত্যু ঘটেছে। কোন্নগর পৌরসভার পৌরপ্রধান স্বপন দাস জানিয়েছেন এই নির্দিষ্ট গঙ্গার ঘাটে ধারাবাহিকভাবে মানুষের ডুবে যাওয়ার ঘটনা ঘটছে যা নিয়ে চিন্তিত পৌর প্রশাসন । তাই আগামী মাস থেকে গঙ্গার ঘাটে সাধারণ মানুষের স্নান করা বা গঙ্গায়  জলে নামা নিষিদ্ধ করা হবে। রেলিং দিয়ে ঘিরে দেওয়া হবে গঙ্গার ঘাট চত্বর ।