ad
ad

Breaking News

Nadia

প্রখর রোদে ট্রাফিক কর্মীদের স্বস্তি দিতে মানবিক উদ্যোগ নদিয়া জেলা পুলিশের

প্রতিদিনই জাতীয় সড়ক থেকে শুরু করে শহরের গুরুত্বপূর্ণ মোড়ে, দুর্ঘটনায় আহতদের উদ্ধার থেকে শুরু করে যান নিয়ন্ত্রণ — সব ক্ষেত্রেই ট্রাফিক পুলিশ কর্মীরা নিরবিচারে কাজ করে চলেন।

Nadia District Police's humanitarian initiative to provide relief to traffic workers in the scorching sun

চিত্র : সংগৃহীত

Bangla Jago Desk: মাধব দেবনাথ, নদিয়া: প্রচণ্ড গরমে যখন সাধারণ মানুষ ঘরের বাইরে বেরোতে কষ্ট পাচ্ছেন, তখন রাস্তায় দাঁড়িয়ে কর্তব্য পালন করে চলেছেন ট্রাফিক পুলিশ কর্মীরা। প্রখর রৌদ্র, ধুলোবালি, তীব্র তাপপ্রবাহ বা আকস্মিক ঝড়-বৃষ্টি — সবকিছুর মধ্যেই দায়িত্ব পালনে একনিষ্ঠ এই ট্রাফিক কর্মীদের জন্য এক ব্যতিক্রমী উদ্যোগ নিল নদিয়ার রানাঘাট জেলা ট্রাফিক পুলিশ।

আবহাওয়া দফতরের পূর্বাভাস অনুযায়ী, গ্রীষ্মের দিন যত এগোচ্ছে, তাপমাত্রা ততই বাড়ছে। এমন প্রতিকূল পরিবেশে দিনের পর দিন খোলা আকাশের নিচে কাজ করতে হচ্ছে ট্রাফিক কর্মীদের। শারীরিক ক্লান্তি, জলশূন্যতা ও হিটস্ট্রোকের ঝুঁকি মাথায় রেখে এবার তাঁদের সুরক্ষার কথা ভাবল প্রশাসন।

রবিবার শান্তিপুর থানার অধীনস্থ মোট ২৮ জন ট্রাফিক পুলিশ কর্মীর হাতে তুলে দেওয়া হয় একটি করে বড় ছাতা, পানীয় জলের বোতল, মুখ মোছার জন্য রুমাল, এবং অন্যান্য প্রয়োজনীয় সামগ্রী। উপস্থিত ছিলেন রানাঘাট জেলা পুলিশের ট্রাফিক বিভাগের ডিএসপি সঞ্জয় কুমার, শান্তিপুর ট্রাফিকের অফিসার ইনচার্জ (ওসি) দীপক সিকদার এবং অন্যান্য পদস্থ কর্তারা।

এই অনুষ্ঠানে ট্রাফিক কর্মীদের মুখে ছিল প্রশংসা ও কৃতজ্ঞতার ছাপ। তাঁরা জানিয়েছেন, এই সামান্য কিন্তু অত্যন্ত কার্যকর উপকরণগুলো বাস্তব দায়িত্ব পালনের সময় অনেকটাই স্বস্তি দেবে। প্রচণ্ড গরমে দীর্ঘক্ষণ দাঁড়িয়ে কাজ করাটা যেমন শারীরিকভাবে কষ্টসাধ্য, তেমনি মানসিক চাপেরও বিষয়। এ ধরনের উদ্যোগ তাঁদের দায়িত্ব পালনে উৎসাহ দেবে বলেই মত অনেকের।

[আরও পড়ুন: মুর্শিদাবাদে পুলিশের অভিযানে মধুচক্রের পর্দাফাঁস]

প্রতিদিনই জাতীয় সড়ক থেকে শুরু করে শহরের গুরুত্বপূর্ণ মোড়ে, দুর্ঘটনায় আহতদের উদ্ধার থেকে শুরু করে যান নিয়ন্ত্রণ — সব ক্ষেত্রেই ট্রাফিক পুলিশ কর্মীরা নিরবিচারে কাজ করে চলেন। তাঁরা নিজের জীবনের ঝুঁকি নিয়ে অন্যকে নিরাপদে পথ চলার পরিবেশ দেন। তাই তাঁদের প্রতি এই কৃতজ্ঞতা ও যত্ন প্রদর্শন নিঃসন্দেহে প্রশংসনীয়।

জেলা পুলিশের এই উদ্যোগ একদিকে যেমন মানবিক, অন্যদিকে তা অন্য জেলাগুলোর কাছেও অনুকরণীয় উদাহরণ হতে পারে। ভবিষ্যতে এমন উদ্যোগ আরও বড় পরিসরে চালু করা হবে বলেও প্রশাসনের পক্ষ থেকে ইঙ্গিত দেওয়া হয়েছে।