Bengal Jago Desk: অতিথি পাখির কলকাকলিতে মুখর মালদার আদিনা ফরেস্ট।শীত পড়ার আগেই সবুজের ডাকে তাঁরা সাড়া দিচ্ছেন।দুনিয়া ভ্রমণকারী পরিযায়ীরাই প্রাণের পরিবেশে ফিরে আসছে।আজকের দিনে এই পাখিদের আনাগোনা বাড়ায় পক্ষীপ্রেমীরা বেশ উল্লসিত। দেশজুড়ে দূষণের দাপটে পাখির সংখ্যা কমলেও বাংলায় পাখির সংখ্যা বাড়ানোর চেষ্টা চলছে।সবুজের সমারোহ বাড়িয়ে ছবিটা বদলানোর চেষ্টা চলছে।যুগ যুগ ধরে পাখিদের প্রতি যত্ন নেওয়ার কথা বলেছেন কবি –সাহিত্যিক,থেকে সৃষ্টির জগতের মানুষেরা এই পাখিদের নিয়ে কত লেখা উপহার ছিলেন তা বলার অপেক্ষা রাখে না।
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর, জীবনানন্দ দাশের কবিতায় বার বার এসেছে পাখির কথা। পার্সি বিসি শেলির ‘টু এ স্কাইলার্ক’ বা জন কিটসের ‘ওড টু নাইটিঙ্গেল’-এর বিষয়ই পাখি।শুধু কাব্য জগতই নয়, ডানামেলা আদুরে পাখিদের জগতকে লালনপালন করতেই,১১মে পরিযায়ী পাখি দিবস পালন করা হয়।পাখিদের আবাস নিরাপদ রাখতে ও বিচরণ স্বাভাবিক রাখতে প্রত্যেক বছরের ১১ মে দিনটি বিশ্ব পরিযায়ী পাখি দিবস হিসেবে পালন করা হয়। আর সেই পরিযায়ী পাখি দিবসের আগেই মালদায় ভিনদেশী পাখিদের সমাগম বেড়েছে।আশা করা যায় শীতের আগে শামুক খোল, ছোট সারালির মতো পাখির ভিড় বাড়বে।
পুজোর মরশুমে এইসব বিদেশি পাখিদের দল মালদার আদিনা ফরেস্টে প্রজনন ঘটাতেই মূলত এসে থাকে।আর এই বিদেশী পাখি দেখতে অনেক পর্যটকেরাই ভিড় করছেন আদিনা ফরেস্টে। পাখি দেখতে যাঁরা আসছেন তাঁরা অন্যরকম আবহে আলাদা মনের খোরাক পাচ্ছেন।পাখির উল্লাস আর খুনসুটি সবাই তারিয়ে তারিয়ে উপভোগ করছে।পাখিদের সুন্দর পরিবেশকে সবুজে ভরিয়ে রাখতে আমাদের প্রত্যেকের এগিয়ে আসা উচিত বলেই মনে করেন পক্ষীবিশেষজ্ঞরা।