Bangla jago Desk: ঝাড়খণ্ডে আলু পাচার হচ্ছে কিনা তা সীমানায় গিয়ে নজরদারি করলেন মন্ত্রী বেচারাম মান্না। ঝাড়গ্রামও মেদিনীপুরের জেলাশাসকও পুলিশ সুপারদের তিনি নির্দেশ দেন, যেন কোনওভাবেই সরকারি নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা না করা হয়। বাংলার মানুষকে ন্যায্য মূল্যে আলু পৌঁছে দেওয়ার পাশাপাশি অন্যরাজ্যে পাচার রোখার এই দ্বিমুখী কৌশল বাজারের আঁচ কমাচ্ছে।
রাজ্য সরকারের কড়া হুঁশিয়ারিতে উঠেছে আলু ব্যবসায়ীদের ধর্মঘট। বাজারে জোগান বাড়ানোর চেষ্টা চলছে।প্রশাসনের স্পষ্ট বার্তা,বাংলার আলু, বাংলার মানুষ পাওয়ার পর অন্যরাজ্যে যাবে। আপাততঃ মূল্যবৃদ্ধির আঁচ কমাতে রফতানিতে লাগাম টানা হচ্ছে। যারজন্য বিহার-ঝাড়খণ্ড সীমানায় চলছে ধরপাকড়। বাড়ানো হয়েছে কয়েকগুণ নজরদারি। পুলিশ-প্রশাসন এই কাজে মাঠে নামার পর এবার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশে ময়দানে নামলেন কৃষি বিপণন মন্ত্রী বেচারাম মান্না। অসাধু চক্রের শিকড় কোথায় লুকিয়ে তা খুঁজতে তিনি তথ্যতল্লাশ করেন। পাশাপাশি ঝাড়গ্রামও মেদিনীপুরের জেলাশাসকদের নির্দেশ দেন,যাতে কোনওভাবেই অন্যরাজ্যে আলু না যায়। কড়া হাতে অগ্নিমূল্যের আঁচ কমানোর ব্যবস্থা নিতে বলেন বেচারাম মান্না। মন্ত্রী জানান,৬লক্ষ ২হাজার মেট্রিক টন আলু রাজ্যে রয়েছে। ঘূর্ণিঝড় দানার জন্য আলু চাষ পিছিয়ে গেছে। এই অবস্থায় ৪৫দিন এই মজুত আলু কাজে লাগানোর চেষ্টা হচ্ছে।
ঝাড়গ্রামে এসে কৃষি বিপণন মন্ত্রী বেচারাম মান্না বলেন ঘূর্ণিঝড় দানার ফলে আলু উৎপাদনে কিছুটা দেরি হচ্ছে, প্রায় ১৫ টা দিন পিছিয়ে গেছে আলু চাষ। এই সময় নতুন আলু উৎপাদন হয়ে যাওয়ার কথা কিন্তু মনে করা হচ্ছে, ভিন রাজ্যে আলু রফতানি না হলে এ বার নিয়ন্ত্রণে থাকবে আলুর দাম। বাংলা ঝাড়খন্ড সীমান্তবর্তী এলাকাগুলিতে নজরদারি বাড়ানো হচ্ছে। তাই এই রাজ্যের মানুষের স্বার্থে প্রশাসন যে সজাগ ভূমিকা নিচ্ছে তা বাস্তবেও দেখা যাচ্ছে।গ্রাউন্ড জিরোয় গিয়ে জনস্বার্থে এই কাজ করায় মন্ত্রী ও প্রশাসনের কর্তাদের সাধুবাদ জানাচ্ছেন জেলার মানুষ।