চিত্র: সংগৃহীত
Bangla Jago Desk: বাংলায় কথা বললেই বাংলাদেশী তকমা দেওয়া হচ্ছে বিজেপি শাসিত রাজ্যগুলিতে। শুধু তাই নয়, এই অভিযোগ তুলে রীতিমত নির্যাতন চালানো হচ্ছে এই রাজ্যের পরিযায়ী শ্রমিকদের উপর। এবার এই ঘটনার প্রতিবাদ জানিয়ে বড় পদক্ষেপ নিল শাসকদল তৃণমূল কংগ্রেস। আদালতের শরণাপন্ন হল ঘাসফুল শিবির(Migrant Workers)। দলের তরফ থেকে বুঝিয়ে দেওয়া হল যে এমন অন্যায় কখনোই বরদাস্ত করবে না তারা। সম্প্রতি, বাঙালি পরিযায়ী শ্রমিকদের, বাংলা ভাষায় কথা বলার জন্য, বাংলাদেশী তকমা দিয়ে তাঁদের উপর অত্যাচারের অভিযোগ উঠেছে বিজেপি শাসিত রাজ্যগুলির বিরুদ্ধে। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এই ইস্যুতে সরব হয়েছিলেন। তাঁর হুঁশিয়ারি দেওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই রাজস্থানে মুক্তি পান আটক থাকা বাংলাদেশী পরিযায়ী শ্রমিকরা। বলা ভালো, এই হুঁশিয়ারি পেয়ে রীতিমতো নড়ে চড়ে বসেছিল কেন্দ্র।
কিন্তু ওড়িশা থেকে উঠে এলো আরো বড়সড় অভিযোগ। সূত্র মারফত জানা গিয়েছে যে সেখানে বাঙালি পরিযায়ী শ্রমিকদের চূড়ান্ত পর্যায়ে হেনস্তা করা হয়(Migrant Workers)। কখনও বেতন দেওয়া হয়না, আবার কখনও বিশ্রী আচরণ করা হয়। এক কথায় বলতে গেলে, রীতিমতো বাংলা-বিদ্বেষ চলে, যা দেখে ক্ষুব্ধ এই রাজ্যের রাজনৈতিক মহলের একাংশ। সকলেই মনে করেন যে এর বিরুদ্ধে আওয়াজ তোলা অত্যন্ত প্রয়োজন। এবার পরিযায়ী শ্রমিকদের পাশে দাঁড়িয়ে বড় পদক্ষেপ নিলো শাসকদল তৃণমূল কংগ্রেস। আইনি পথে হাঁটার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় দলের তরফ থেকে। দলের রাজ্যসভার সাংসদ সমিরুল ইসলাম ক্ষোভ উগড়ে দেন এবং স্পষ্ট করে দেন যে বাংলাভাষী মানুষদের হেনস্তা মেনে নেওয়া হবে না। শুধু তাই নয়, তিনি এটাও পরিষ্কার করে দেন যে যতবার এমন হবে, ততবারই দল আইনি লড়াইয়ে নামবে।
FB POST: https://www.facebook.com/Banglajagotvofficial
এক্স হ্যান্ডেলে সমিরুল ইসলাম লেখেন, “ওড়িশা সহ একাধিক বিজেপি শাসিত রাজ্যে যেভাবে বাংলায় কথা বলার জন্য বাঙালি পরিযায়ী শ্রমিকদের উপর নির্যাতন চালানো হচ্ছে, তার বিরোধিতা জানাতে আমরা আদালতে গিয়েছি(Migrant Workers)। এটাই বলব যে যতবারই এমন ঘটনা ঘটবে, ততবারই আমরা আদালতে যাবো। এটা আইন ও সংবিধানের বিরুদ্ধে। যেই হেনস্থা বাংলাভাষী মানুষদের করা হয়েছে, তা কোনভাবেই মেনে নেওয়া হবে না।” অন্যদিকে দলের এক শীর্ষ নেতার বক্তব্য, “বিজেপি ভাবছে বাঙালি শ্রমিকরা দুর্বল। তবে আমরা প্রতিটা মানুষের পাশে থাকবো। শুধু আদালতে নয়, প্রয়োজনে এই যুদ্ধ রাস্তাতেও চলবে।”