ad
ad

Breaking News

Mamata Banerjee

কোন সংস্থা পারফরমেন্স না করলে ব্ল্যাকলিস্ট করুন, জল জীবন মিশন নিয়ে কড়া মুখ্যমন্ত্রী

পরিযায়ী শ্রমিকদের নির্মাণ কাজে অভিজ্ঞতা রয়েছে। তাদের ডাটা অনুযায়ী কাজে লাগানোর জন্য প্রশাসনকে নির্দেশ দেন তিনি।

Meeting on Jal Jeevan Mission in the Assembly, Chief Minister takes a tough stand

চিত্র : সংগৃহীত

Bangla Jago Desk: রাজ্যের জল জীবন মিশনের কাজ নিয়ে আজ বিধানসভায় গুরুত্বপূর্ণ বৈঠক করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন পূর্তমন্ত্রী পুলক রায়, পঞ্চায়েত মন্ত্রী প্রদীপ মজুমদার, মন্ত্রী মানস ভুইঞা সহ অন্যান্যরা। এছাড়াও ছিলেন মুখ্যসচিব ও স্বরাষ্ট্র সচিব।

মুখ্যমন্ত্রী জল জীবন মিশনের বিভিন্ন ত্রুটি ও দুর্নীতি নিয়ে তীব্র অসন্তোষ প্রকাশ করেন। তিনি জানান, যেসব সংস্থা ঠিকভাবে কাজ করছে না, তাদের অবিলম্বে কালো তালিকাভুক্ত (ব্ল্যাকলিস্ট) করতে হবে। অপরাধ প্রমাণিত হলে তাদের জরিমানা করেও বাদ দেওয়া হবে।

মুখ্যমন্ত্রী বলেন, “জলের পাইপ কেটে ব্যবহার করা বেআইনি। কেউ যদি এই কাজ করে, তাকে গ্রেফতার করা হবে। এ ধরনের অপরাধীদের আড়াল করার চেষ্টা করলে, সংশ্লিষ্ট কর্মীদের চাকরিও কেড়ে নেওয়া হবে।”

ত্রুটি ও অপব্যবহার:

উত্তর ও দক্ষিণ ২৪ পরগনা, পূর্ব মেদিনীপুর, পূর্ব বর্ধমান, মুর্শিদাবাদ ও হাওড়া জেলায় জল প্রকল্পের অপব্যবহারের ঘটনা সর্বাধিক বলে জানা গেছে। মুখ্যমন্ত্রী জানান, ১৮ হাজার ২০০টিরও বেশি স্থানে এই ধরনের অপব্যবহার ধরা পড়েছে। তিনি আরও বলেন, “পাইপ কাটার কারণে বিষাক্ত কিছু ঢুকে গেলে লক্ষ লক্ষ মানুষের জীবন ঝুঁকিতে পড়তে পারে। এটি একটি গুরুতর অপরাধ, যার জন্য কঠোর শাস্তি হবে।”

পরিযায়ী শ্রমিকদের কাজে লাগানোর নির্দেশ:

মুখ্যমন্ত্রী জানান, পরিযায়ী শ্রমিকদের নির্মাণ কাজে অভিজ্ঞতা রয়েছে। তাদের ডাটা অনুযায়ী কাজে লাগানোর জন্য প্রশাসনকে নির্দেশ দেন তিনি। “যারা অন্য রাজ্যে কাজ করতে গিয়ে ফিরে এসেছে, তাদের দক্ষতা কাজে লাগাতে হবে,” বলেন মুখ্যমন্ত্রী।

কেন্দ্রের প্রতি অভিযোগ:

মুখ্যমন্ত্রী অভিযোগ করেন, কেন্দ্রীয় সরকারের অনুমোদন না মেলায় প্রায় ৫০ লক্ষ পরিবার এখনো জল পরিষেবা থেকে বঞ্চিত। তিনি বলেন, “৫৫ হাজার কোটি টাকা খরচ করেছে রাজ্য সরকার, কিন্তু কেন্দ্রীয় সহযোগিতার অভাবে জল প্রকল্পের কাজ থমকে রয়েছে।”

দেউচা-পাঁচামি নিয়ে হুঁশিয়ারি:

বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রী উল্লেখ করেন, দেউচা ও পাঁচামিতে কিছু লোক সমস্যা সৃষ্টি করার চেষ্টা করছে। তিনি স্পষ্ট বার্তা দেন, “আমরা এ ধরনের পরিস্থিতি টলারেট করব না।”

মুখ্যমন্ত্রী জানান, জল জীবন মিশন নিয়ে নজরদারি বাড়ানোর জন্য প্রতি সপ্তাহে সোমবার বৈঠক করবেন। “রাজ্য সরকারের সম্পত্তি নিজের সম্পত্তি ভাববেন না। ব্যক্তি স্বার্থে রাজ্য সরকার কোনো কাজ করে না,” বলেন তিনি।

এই বৈঠকের মাধ্যমে মুখ্যমন্ত্রী যে জল মিশন নিয়ে কড়া পদক্ষেপ নিতে চলেছেন, তা স্পষ্ট হয়ে গেল।