Bangla Jago Desk : লোকসভা ভোটের আগে বাংলার বদনাম করতে সন্দেশখালিতে ষড়যন্ত্র করে বিজেপি।একথা খোদ নিজের মুখে বলছেন বিজেপির মন্ডল সভাপতি গঙ্গাধর কয়াল। এমনকি গেরুয়া নেতার মুখে শোনা যাচ্ছে,তৃণমূল নেতাদের গ্রেফতার না করতে পারলে সন্দেশখালিতে ভোটে দাঁড়াতে পারবে না বিজেপির প্রার্থীরা।শুভেন্দু অধিকারী টাকা ও মোবাইল দিয়ে সাহায্য করেছেন বলেও ভিডিয়োয় স্বীকার করতে দেখা যাচ্ছে গঙ্গাধরকে । এই ডিডিয়োয় সত্যতা আমরা যাচাই করিনি।তবে এই ঘটনাকে সামনে রেখে বিজেপির বাংলা বিরোধী ষড়যন্ত্র ফাঁস হয়ে গেছে বলে তোপ দেগেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়।
বাংলায় প্রচারে এসে মোদি –শাহদের মুখে বারবার শোনা গেছে সন্দেশখালির প্রসঙ্গ।সন্দেশখালিতে নারী নির্যাতনের কথা প্রচারে তুলে ধরে বিজেপি নেতাদের বিঁধতেও দেখা যায়।তৃণমূল কংগ্রেস এই ঘটনার সত্যতা জানতে গ্রাউন্ড জিরোয় স্পেশাল টিম পাঠায়।বিজেপির কয়েকজন মহিলা সমর্থক বাদ দিলে মহিলাদের অধিকাংশই জানায়,এই ধরণের অত্যাচারের কোনও ঘটনার সাক্ষী তাঁরা হননি।তবু কেন ভোটপ্রচারে এই সন্দেশখালি ইস্যু তুলে ধরতে চায় বিজেপি ? এই প্রশ্ন ওঠে।তারমাঝে একটি স্টিং অপারেশনে বিজেপির গোপন ষড়যন্ত্র ফাঁস হতেই ব্যাকফুটে গেরুয়া শিবির,স্পষ্ট হয়েছে,ভোটবাজারে এর পুরোটাই সাজানো চিত্রনাট্য,বেআব্রু বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর বাংলাকে বদনাম করার কৌশল। ভিডিয়ো য় কী বলা হয়েছে ? খোদ সন্দেশখালির বিজেপির মন্ডল সভাপতি গঙ্গাধর কয়ালের মুখে শোনা যাচ্ছে, ধর্ষণের ঘটনাই ঘটেনি অভিযোগ করানো হয়েছে। গোটাটাই শুভেন্দু অধিকারীর নির্দেশ এবং পরিকল্পনামাফিক হয়েছে। এই আন্দোলনকে ধরে রাখার ক্ষমতা কারও নেই। শুভেন্দুদা তাঁর লোকজনকে দিয়ে টাকা, মোবাইল পাঠিয়ে সাপোর্ট দিচ্ছেন।
ভিডিয়োয় সত্যতা বাংলা জাগো খতিয়ে দেখেনি। কিন্তু বিজেপির মণ্ডল সভাপতি স্বীকার করে নিচ্ছেন,পুরোটাই আগেভাগে ছক কষা হয়েছে। বিজেপির মন্ডল সভাপতি গঙ্গাধর কয়াল আরও স্বীকার করছেন, মিথ্যে অভিযোগে তৃণমূল নেতাদের গ্রেফতার করা হয়েছে, তৃণমূল নেতাদের গ্রেফতার না করাতে পারলে আন্দোলন করা যাবে না। শুভেন্দুদা বলেছিলেন, গ্রেফতার না করালে ভোটেও দাঁড়ানো যাবে না। গঙ্গাধরের টিমে ছিলেন জবা সিং।যিনি নিজে বয়ান দেন ধর্ষণকাণ্ডের।যদিও ভিডিয়োয় তিনি স্বীকার করছেন,তাঁকে সাজিয়ে গুছিয়ে বলতে বলা হয়।
বিরোধী দলনেতার পর্দা ফাঁস হতেই সোচ্চার হয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়।মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সোশ্যাল মিডিয়ায় লিখেছেন।
সন্দেশখালির এই স্টিং অপারেশন প্রমাণ করে যে, বিজেপি আসলে কতটা নোংরা এবং ঘৃণ্য একটি দল। বাংলার উন্নত ভাবধারা ও কৃষ্টি-সংস্কৃতির প্রতি আঘাত হানতে, বাংলা-বিরোধীরা রাজ্যের সম্মানহানি করার জন্য ষড়যন্ত্র-চক্রান্ত করে। ভারতের ইতিহাসে এর আগে কখনও দিল্লির কোনো শাসক দল, শুধু প্রতিহিংসার জন্য একটি গোটা রাজ্য এবং সেই রাজ্যের জনগণকে অপমান করার এইরকম চেষ্টা করেনি। ইতিহাস সাক্ষী থাকবে কীভাবে দিল্লির ষড়যন্ত্রমূলক শাসনের বিরুদ্ধে বাংলা গর্জে উঠবে এবং তাদের বিসর্জন নিশ্চিত করবে।
ভোটের আগে শুভেন্দু অধিকারী বোমা ফাটানোর হুঙ্কার দেন।তাতে ২৬হাজার মানুষের চাকরি যায়,অভিষেকের বাড়িতে জঙ্গি হানার ছক কষা হয়।এখন সন্দেশখালি নিয়ে বিজেপির নারী নির্যাতনের সাজানো চিত্রনাট্য ফাঁস হওয়ায় বাংলায় বিজেপির বিশ্বাসযোগ্যতা তলানিতে ঠেকবে বলেও তৃণমূল নেতৃত্ব দাবি করছেন।