Bangla Jago Desk : বিজেপি শুধু মানুষের মুখের গ্রাস কেড়ে নেয়। চাকরি দিতে পারে না,চাকরি খেয়ে নেয়। আরামবাগে দলীয় প্রার্থী মিতালী বাগের সমর্থনে সভা থেকে মন্তব্য করেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। একইসঙ্গে তিনি এসএসসি নিয়ে সুপ্রিমকোর্টের নির্দেশ প্রসঙ্গে সন্তোষ প্রকাশ করেন।তৃণমূল সুপ্রিমোর বলেন, সুপ্রিমকোর্টের রায় শুনে মনটা স্নিগ্ধ ও তৃপ্ত হয়ে গেছে।দলীয় কর্মীদের বিরোধ ভুলে মানুষের কাজে যুক্ত থাকার আহ্বানও জানিয়েছেন তিনি।
দলের মধ্যে মতভেদ ভুলে এককাট্টাভাবে কাজ করুন।কোনওরকম বিরোধ রাখবেন না।কে বড় কে ছোট সেকথা ভাববেন না।সবাই মিলে মানুষের কাজ করুন।তাঁরাই সবথেকে বড়।আরামবাগে ভোটপ্রচারে গিয়ে দলীয় কর্মীদের একথা উদ্দেশ্যে একথা বলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আরামবাগে এবার তৃণমূলের নতুন মুখ মিতালি বাগ।তিনি বাগদি সম্প্রদায়ের প্রতিনিধি।সমাজের পিছিয়ে পড়া অংশের প্রতিনিধিদের টিকিট দিয়ে তিনি যে সামাজিক সাম্যের আদর্শকে গুরুত্ব দিয়েছেন সেকথা বুঝিয়ে দেন।গতবার এই লোকসভা কেন্দ্রে জয়ী হয়েছিলেন অপরূপা পোদ্দার।তিনি ১হাজারের কাছে ভোটে জয়ী হন।এবার মার্জিন বাড়ানোই লক্ষ্য তৃণমূল কংগ্রেসের।সেকথা বুঝিয়ে দিয়ে দেন তিনি।মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জনতার উদ্দেশ্যে জানান,কোনও ভুল হয়ে থাকলে তারজন্য ক্ষমা চেয়ে নিচ্ছেন তিনি। বিজেপির অন্যায়-অত্যাচারের কথা তুলে ধরেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।সেই সভায় এসএসসি নিয়ে মুখ খোলেন তিনি। মমতার তোপ,বিজেপি চাকরিখেকো বাঘ,২৬হাজার ছেলেমেয়ের চাকরি খেয়ে নিল।আমরা সেদিন থেকে বলেছিলাম,চিন্তা করবেন না,পাশে আছি। সুপ্রিমকোর্টের মঙ্গলবারের নির্দেশ প্রসঙ্গে বলেন রায় শুনে মনটা স্নিগ্ধ, তৃপ্ত হয়ে গেল। এরা মানুষের মুখের গ্রাস কেড়ে নেয়। এরা মানুষ নয়, দানব।’’
আরামবাগের মতোই হুগলি লোকসভা কেন্দ্রের দলীয় প্রার্থী রচনা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সমর্থনে আয়োজিত সভায় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মন্তব্য ,এতদিন মন খারাপ থাকত, কিন্তু কালকের পর মন আনন্দে ভরে গিয়েছে। এই চাকরি খাওয়ার রাজনীতিকে নেতৃত্ব দেওয়ার জন্য তিনি প্রধানমন্ত্রীকে নিশানা করেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।মমতার কটাক্ষ,নরেন্দ্র মোদি,চাকরি দেওয়ার কথা বলে ভোট নেয়,ভোটের পর ভোলবদল করে।১০০দিনের কাজ করিয়ে তিনি গরিব মানুষকে ঠকান,অথচ বাংলার মানুষের কাছে ভোট নেওয়ার জন্য বিমানে উড়ে বেড়ান।
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়. বলেন, ‘‘ছোটবেলায় শুনেছিলাম, ‘ছ্যা ছ্যা ছ্যা কেয়া শরম কি বাত’! একি লজ্জার কথা প্রধানমন্ত্রী মিথ্যা কথা বলেন।তাই মিথ্যা প্রতিশ্রুতিতে কান না দিয়ে মানুষের কাজ করার জন্য তৃণমূলের প্রতিনিধিদের জেতানোর আহ্বানও জানিয়েছেন ,তৃণমূল সুপ্রিমো।