চিত্রঃ নিজস্ব গ্রাফিক্স
Bangla Jago Desk: শিরদাঁড়ার ভিতরের টিউমারের সফল অস্ত্রোপচার করে অসাধ্য সাধন করল মালদা মেডিক্যাল কলেজের চিকিত্সকরা। সরকারি হাসাপাতালে নিঃখরচায় এই জটিল অস্ত্রোপচার করা হয়। অসম্ভবকে সম্ভব করে এই হাসাপাতালের চিকিত্সকরা নজির গড়েছেন। শনিবার রোগীকে ছুটি দেওয়া হয়। স্বস্তিতেই বাড়ি ফেরেন বছর ৩৮-এর সাগরদিঘির রিজিয়া বিবি।(Malda)
সরকারি হাসপাতালের পরিকাঠামোর আধুনিকীকরণের জেরে মিলছে উন্নত পরিষেবা। বেসরকারি হাসপাতালের ওপর নির্ভরতা কমছে,কমছে ভেলোর বা ভিনরাজ্যে পাড়ি দেওয়ার ঝোঁক। কলকাতার সুপারস্পেশালিটি হাসপাতাল এসএসকেএম সহ অন্যান্য হাসাপাতালের মতোই জেলা হাসপাতালেও জটিল অস্ত্রোপচার সম্ভব হচ্ছে। এরমধ্যে মালদা মেডিক্যাল কলেজ জটিল অস্ত্রোপচার করে সাড়া ফেলছে।কয়েকমাস আগে, জটিল নিউরো অস্ত্রোপচারে সাফল্য পায় মালদা মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতাল। সরকারি হাসপাতালের পরিকাঠামোতেই সম্পূর্ণ নিঃখরচায় অসাধ্য সাধন করেন চিকিসৎকরা।এবার সেই ধন্বন্তরী চিকিত্সকরা হাসপাতালে শিরদাঁড়ার ভিতরের টিউমারের অস্ত্রোপচার করে নজির গড়লেন। ঝুঁকিপূর্ণ অস্ত্রোপচার করে বিশেষ নজির গড়েছেন নিউরো সার্জেন চিকিৎসক উজ্জ্বল কুমার বিশ্বাস।সাগরদিঘির আধুয়া গ্রামের বাসিন্দা রিজিয়া বিবি অস্ত্রোপচারের পর সুস্থ রয়েছেন।( Malda)
[আরও পড়ুনঃ Malda: সরকারি হাসাপাতালে নিঃখরচায় জটিল অস্ত্রোপচার, অসাধ্য সাধন করল মালদা মেডিক্যাল কলেজ]
মুর্শিদাবাদ জেলার সাগরদিঘির আধুয়া গ্রামের বাসিন্দা রিজিয়া বিবি(৩৮)।রিজিয়া বিবি-র স্বামী নূরে আলম পরিযায়ী শ্রমিকের কাজ করেন। স্বামীর সঙ্গে রিজিয়া বিবিও ভিন রাজ্যে কাজ করতেন। বর্তমানে তাঁদের পাঁচ সন্তান। গত পাঁচ বছর ধরে রিজিয়া বিবি কোমর ব্যাথা সহ,পায়ে ব্যাথা ও পায়ে ঝিন ধরত। প্রথম দিকে গুরুত্ব না দিলেও ব্যথা বাড়তে থাকলে চিকিৎসা করায়। কিন্তু গত একবছর আগে দিল্লিতে গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়েন। সেখানে এইমস হাসপাতালে চিকিৎসা করাতে যান। সেখানেই রোগ ধড়া পড়ে। সেখানে চিকিৎসকেরা জানান শিরদাঁড়ার ভেতরের স্পাইনাল কডের ভিতরে টিউমার হয়েছে। অস্ত্রোপচার দরকার। কিন্তু সেখানে তারিখ পরিবর্তন হতে থাকে। অস্ত্রোপচার হচ্ছিল না।
[লিঙ্কঃ https://www.facebook.com/Banglajagotvofficial]
স্বামী নূরে আলম স্ত্রীকে বাড়ি নিয়ে চলে আসেন। কারণ দিল্লিতে থাকতে খরচ অনেক। বাড়িতে স্ত্রীর সমস্যা ক্রমশ বাড়তে থাকে। অবশেষে মালদা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বর্হিবিভাগে নিয়ে আসেন স্ত্রীকে। সেখানে নিউরো বিভাগের চিকিৎসক উজ্জ্বল কুমার বিশ্বাস অস্ত্রোপচার করার কথা বলেন। এর আগে নূরে আলম বেসরকারি নার্সিংহোমে নিয়ে গিয়েছিলেন। সেখানে অস্ত্রোপচারের জন্য আট লক্ষ টাকা চেয়েছিল। টাকা না থাকায় সম্ভব হয়নি। অবশেষে গত বৃহস্পতিবার মালদা মেডিকেল কলেজে ভর্তি করায় স্ত্রীকে। শুক্রবার সফল অস্ত্রোপচার করেন চিকিৎসক।( Malda)
নিউরো বিভাগের চিকিৎসক সার্জেন উজ্জ্বল কুমার বিশ্বাস বলেন, এই রোগ নির্ণয় প্রথম দিকে সম্ভব নয়। রোগীর পায়ে ব্যাথা, ঝিমুনি হয়। ধীরে ধীরে হাঁটা চলা বন্ধ হয়ে পড়ে। এমনকি অস্ত্রোপচার না করলে প্রস্রাব, পায়খানা সব বন্ধ হয়ে যাওয়ার সম্ভবনা থাকে। এইক্ষেত্রে রোগীর রোগ নির্ণয় ও চিকিৎসা সম্ভব হয়েছে। ধীরে ধীরে রোগী সুস্থ হয়ে উঠবেন।সরকারি হাসপাতালের চিকিত্সকদের দক্ষতা,কর্মকুশলতার প্রশংসা করছে রোগীর পরিজন ও প্রতিবেশীরা।অভিষেক দাসের রিপোর্ট।