চিত্র: সংগৃহীত
Bangla Jago Desk: শিলিগুড়ি: শিব রাত্রি আসতে এখনও বাকি। তবে সেই রাত্রির জন্য সারাবছর ধরে অপেক্ষা করে থাকেন গ্রাম বাংলার বহু মহিলা। শিবের মাথায় জল ঢেলে স্বামী বা নিজের পছন্দের মানুষের দীর্ঘ আয়ু চেয়ে নেওয়া, নিয়ম নিষ্ঠা এমনকি কেউ কেউ নির্জলা উপস ও করে থাকেন স্বামীর মঙ্গল কামনার জন্য।
শিবের মতো গুণ সম্পন্ন স্বামী পাওয়ার জন্য মহিলারা এই ব্রতী পালন করে থাকেন। বছরের পর বছর ধরে হয়ে আসছে শিব পুজো। আর সেই দিনে শিবের মাথায় জল ঢালতে বাংলার বিভিন্ন মন্দিরে ভিড় করে থাকেন শিব ভক্তরা। কেবল বাংলা নয়, এই পুজো পুরো ভারত জুড়েই পালিত হয়ে থাকে, এই দিন কেউ কেউ নিজের বাড়ির কাছে শিব মন্দিরে জল ঢেলে নিজের উপোস ভাঙেন আবার অনেকে আছেন যারা রীতিমত বাস ট্রেনে করে দূরে কোন জনপ্রিয় শিব মন্দিরে গিয়ে পুজো দেন। আর এইরকমই এক জাগ্রত শিবমন্দির অবস্থিত উত্তরবঙ্গে।
শিলিগুড়ি থেকে মাত্র ৩০ কিলোমিটার দূরেই রয়েছে শিবখোলা গ্রাম, আর এই গ্রামের মধ্যেই অবস্থিত শিবখোলা মন্দির। বহু বছরের প্রাচীন এই মন্দিরের পড়তে পড়তে রয়েছে বহু ইতিহাস। মন্দিরের প্রতিটি দেওয়াল থেকে গন্ধ পাওয়া যায় সেই ইতিহাসের। কথিত আছে এই মন্দিরে আসলে মনের সব মনস্কামনা পূরণ হয়।
এই মন্দির পাহাড় ও ৩ টি নদীর সঙ্গমস্থলে অবস্থিত। এখানে কেবল মহাদেব বিরাজ করেন এমনটা নয়, বিরাজ করেন আরও অনেক দেবদেবী। এই মন্দিরে রয়েছে কালী, বুদ্ধ ও আরও দেবদেবীর মূর্তি। এই মন্দিরে নাকি মহাদেব নিজে আসতেন, মন্দিরের কোন এক অংশে বসে ধ্যান করতেন। এমনকি মন্দিরের গা ঘেঁষে যে নদী প্রবাহিত হয়েছে সেই নদীর জলে জটাও ধুতেন তিনি।
এই মন্দিরের কারণে এই গ্রামের নাম হয়েছে শিবখোলা। শিবখোলা মন্দির থেকে শিবখোলা গ্রামের দূরত্ব ১ কিমি। কিভাবে যাবেন? শিবখোলা গ্রাম এবং মন্দির যাওয়ার জন্য আপনাকে ট্রেনে করে পৌঁছে যেতে হবে শিলিগুড়ি। সেখান থেকে গাড়ি করে শিবখোলা যেতে আপনার সময় লাগবে ২ থেকে ৩ ঘণ্টা। তাহলে দেরি না করে সপ্তানহান্তের ছুটি নিয়ে ঘুরে আসুন প্রাচীন শিবখোলা মন্দির ও পাহাড়ি গ্রাম শিবখোলা থেকে।